ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিবিসি প্রতিবেদক

বৃহত্তম ব্যাটারি তৈরির কাজ অর্ধেক এগিয়ে ছেটেলসার কাজে ধীরগতি

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

বৃহত্তম ব্যাটারি তৈরির কাজ অর্ধেক এগিয়ে ছেটেলসার কাজে ধীরগতি

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি বানাতে নিজেদের পরিকল্পনায় অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। টুইটারে টেসলাপ্রধান ইলন মাস্ক আর অস্ট্রেলীয় সফটওয়্যার উদ্যোক্তা মাইক ক্যানন-ব্রুকেসের মধ্যে ধরা একটি বাজি থেকে পরিকল্পনার জন্ম হয়। পরিকল্পনায় শত মেগাওয়াট লিথিয়াম ব্যাটারি বানানোর কথা রয়েছে। ওই বাজিতে মাস্ক বলেছিলেন, টেসলা বায়ুশক্তি থেকে চার্জ হতে সক্ষম এই ব্যাটারি একশ’ দিনে বানিয়ে দেবে। যদি তা না পারে তবে এর জন্য কোন অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। অস্ট্রেলিয়ার ওই অঞ্চলে প্রায়ই বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সমস্যা মোকাবেলায় এই পরিকল্পনা বানানো হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই সময় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এ্যাটলাসিয়ানের অস্ট্রেলীয় প্রতিষ্ঠাতা মাইক ক্যানন-ব্রুকস টুইটারে মাস্ককে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কী এ বিষয়ে সত্যিই প্রতিশ্রুতিশীল কিনা, এর বিপরীতে ইতিবাচক জবাব দেন মাস্ক। এরপর ওই অঞ্চলের একজন সিনেটর সারাহ হ্যানসন-ইয়ং মাস্কের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাইভ জানান, ওই অঞ্চলের যদি দরকার হয়, তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রস্তুত করা হবে। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডায় নিজ প্রতিষ্ঠানের গিগাফ্যাক্টরিতে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। ক্যানন-ব্রুকস মাস্ককে এই প্রকল্পের ‘নীতিমালা ও তহবিল’ সম্পর্কে জানাতে সাত দিন সময় দেন ও এর খরচ সম্পর্কে জানাতে অনুরোধ করেন। জবাবে মাস্ক জানান, ঘণ্টায় একশ’ মেগাওয়াটের বেশি ক্ষমতার ব্যবস্থায় প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় আড়াইশ’ ডলার করে খরচ হবে। এ ক্ষেত্রে চালান, ট্যারিফ আর স্থাপনের মতো বাড়তি খরচগুলো দেশভেদে ভিন্ন হয় আর এগুলো তাদের ‘নিয়ন্ত্রণে নেই’ বলে জানান তিনি। চলতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলীয় শক্তি সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়ার পর একশ’ দিনের এই মেয়াদ শুরু হয়েছে। যদি এই মেয়াদের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হয় তবে প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়বে।
×