ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিয়ে ঠেকাতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

রোহিঙ্গারা কি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেই স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে?

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গারা কি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেই স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে?

হাসান নাসির/এইচএম এরশাদ ॥ সহিংসতার মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত মিয়ানমার। নেপিডোতে দুদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ফলপ্রসূ বৈঠকের পর এসেছে যুক্ত বিবৃতি, যা বড় ধরনের আশাবাদ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যাদের ফেরাতে এত তৎপরতা সেই রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি কি-না সে প্রশ্নটিও বেশ আলোচিত। কেননা, ফেরার ক্ষেত্রে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়াতে আশ্রিত এই জনগোষ্ঠীর রয়েছে নানা শর্ত। রাখাইনে নিরাপদ বসবাস, সমান অধিকার ও মর্যাদাসহ অধিকারগুলো নিশ্চিত না হলে সেখানে ফিরতে রাজি নয় তারা। এ যদি অবস্থা হয়, তবে রোহিঙ্গাদের অবস্থান বাংলাদেশেই স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে কি-না সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. জেনারেল কিউ সই এর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে দেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ‘মিয়ানমার টাইমস’ যে খবর দিয়েছে তাতেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মতি এবং আন্তরিক উদ্যোগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বাংলাদেশে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কোন সন্ত্রাসী থাকলে তাদের ধরে মিয়ানমার সরকারের কাছে সোপর্দ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে। শুধু তাই নয়, আরসার ৬৮৮ জন সন্ত্রাসীর একটি তালিকাও প্রদান করা হয়েছে বাংলাদেশের কাছে। সে দেশের সরকার মনে করে, এরা বাংলাদেশেই অবস্থান করছে। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রতিবেশী কোন দেশের বিরুদ্ধে তৎপরতায় নিজ দেশের ভূখ- ব্যবহৃত হতে দেয়া হবে না। এমন কেউ থাকলে তাদের অবশ্যই পাকড়াও করে মিয়ানমারের হাতে তুলে দেয়া হবে। এছাড়া সন্ত্রাস প্রশ্নে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স অবস্থানের বিষয়টিও জানিয়ে দেয়ার পাশাপাশি এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রেও সম্মতি রয়েছে বাংলাদেশের। মিয়ানমার টাইমসের খবরে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তরিক সে দেশের সরকার। এজন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হবে নবেম্বর মাসের মধ্যেই। ধাপে ধাপে রোহিঙ্গা প্রত্যাবার্তনের কাজ সম্পন্ন করা হবে। বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী পর্যায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এ সঙ্কটের সমাধান হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তবে পাশাপাশি এও সংশয় রয়েছে যে, কতসংখ্যক রোহিঙ্গা শেষ পর্যন্ত ফিরতে রাজি হবে। কেননা, রোহিঙ্গাদের রয়েছে নাগরিকত্ব, ভূমির ওপর অধিকার, অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সমান মর্যাদাসহ নানা দাবি। কক্সবাজারে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টাও রয়েছে। একটি গোষ্ঠী চায় রোহিঙ্গারা এদেশে থেকে যাক। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মূলত সরকারবিরোধী তথা প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। রোহিঙ্গাদের অধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের দাবি ও স্লোগান সংবলিত ডিজিটাল ব্যানারও দেখা যায় উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালি এলাকায়। সরকারি তত্ত্বাবধানে যাবতীয় কাজ চললেও এর বাইরে রোহিঙ্গা নিয়ে কিছু গ্রুপের সক্রিয়তাও লক্ষণীয়। ক্যাম্পগুলোর প্রতিটি ব্লকে ৫ থেকে ৬টি করে মসজিদ নির্মাণের তৎপরতাও লক্ষণীয়। বিশেষ একটি গোষ্ঠী মানবিক সাহায্যের চেয়েও রোহিঙ্গাদের নানা মন্ত্রে দীক্ষিত করার কাজেও লিপ্ত। উখিয়ার কুতুপালং এবং বালুখালির ক্যাম্পে আশ্রিতদের জনে জনে প্রশ্ন করে খুব কমসংখ্যক রোহিঙ্গার কাছ থেকে পাওয়া যায় নিজভূমে ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায়। বেশিরভাগই বলছে, তারা বাংলাদেশেই থাকতে চায়। নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কারণে রাখাইন প্রদেশের চেয়ে বাংলাদেশকে তারা অধিক বাসযোগ্য মনে করছে। আরাকানে ফিরে গেলে আবারও নির্যাতনের মুখে পড়তে হয় কি-না সেই আশঙ্কা রয়েছে তাদের মধ্যে। এদিকে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে নানা আশঙ্কা থাকলেও এ সঙ্কট নিরসনে এবার দু’দেশের সরকার যে পথে এগোচ্ছে তাতে স্থায়ী সমাধানের পথ বেরিয়ে আসছে, এমনই বিশ্বাস বিশ্লেষকদের। কেননা, এবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি সীমান্তে নিরাপত্তা, যৌথ তৎপরতা এবং দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। দীর্ঘদিনের জান্তাশাসিত মিয়ানমার এখন গণতন্ত্রের দিকে উত্তরণের পথে। সামরিক প্রভাব থাকলেও বেসামরিক সরকার গঠিত হওয়ার পর আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশটির ওপর থেকে কড়াকড়ি উঠিয়ে নিয়েছিল। বিদেশী বিনিয়োগ যাচ্ছিল মিয়ানমারে। ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটছিল। হঠাৎ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির ভাবমূর্তি তলানিতে চলে যায়। বিনিয়োগ বাড়ার সে প্রবণতাও পড়ে হুমকির মুখে। যে আশার সঞ্চার হয়েছিল মিয়ানমারের উন্নয়নে তা ফের অনিশ্চয়তার মুখে পড়ায় সে দেশের সরকারও এ সঙ্কট সমাধানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচির সঙ্গে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রীর বৈঠকও ফলপ্রসূ বলে খবর দিয়েছে সে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো। দেশটির সরকার আবারও বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া এবং আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তারা কাজ করছে। বিবেচনায় রয়েছে জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ৫ দফা প্রস্তাবও। পরিবেশের ক্ষতি মেনে নিতে হচ্ছে মানবিক কারণে ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার সাময়িক বসতি স্থাপনের কারণে উজাড় হয়েছে প্রায় তিন হাজার একর পাহাড় ও বনাঞ্চল। গাছ কেটে ঘর নির্মাণ ছাড়াও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বনের কাঠ। এমন উদ্বিগ্নতার মধ্যে বুধবার উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন করেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেন, পরিবেশের ক্ষতি হলেও তা তেমন বেশি নয়। পরিকল্পিতভাবে পুষিয়ে নেয়া যাবে। মন্ত্রী আরও বলেন, ৩ হাজার একর জায়গায় সঙ্কুলান না হলে প্রয়োজনে আরও ১০ হাজার একর দেয়া হবে। আংশিক ক্ষতি হলেও মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাময়িক এ আশ্রয়ের জন্য কিছু ক্ষতি হলেও মানবিক কারণে তা মেনে নিতে হচ্ছে। পরিবেশমন্ত্রী দুপুরে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি উখিয়া ও টেকনাফে ক্ষতিগ্রস্ত বনাঞ্চল পরিদর্শন করেন। ভারতে থাকা রোহিঙ্গাদের গন্তব্যও বাংলাদেশ ॥ রাখাইন থেকে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা নাফ নদী অতিক্রম করায় ভারতে থাকা রোহিঙ্গাদের পছন্দের গন্তব্যও এখন বাংলাদেশ। বাংলাদেশে যারা এসে পড়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে ভারতে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী। ভারত সরকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকায় সেখানকার রোহিঙ্গারাও বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর রোহিঙ্গাদের পুশ করার চেষ্টাও রয়েছে। বুধবার ভোরে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে ৬ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবার। স্থানীয়রা কথাবার্তায় অনুমান করতে পেরে পুলিশকে জানালে পুলিশ এদের কেদারগঞ্জ বাজার থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদের গেট খুলে দিয়ে এদিকে ঢুকিয়ে দেয়। তারা সাতমাস আগে রাখাইন থেকে ভারতে পালিয়ে পাঞ্জাব চলে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত একমাসে শতাধিক রোহিঙ্গা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এদের কেউ বা এসেছে পালিয়ে, আবার কেউবা হয়েছে পুশইন। পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা রয়েছে বলে জানা যায় বিজিবি সূত্রে। সে কারণে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর নজরদাবিরও বাড়ানো হয়েছে। টেকনাফে আবারও রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবি ॥ টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় বুধবার সকালে আবারও ঘটেছে রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনা। তবে এবার হতাহত নেই। ডুবতে থাকা নৌকা থেকে ৩৫ রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তাদের স্থানীয় দাঙ্গরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সর্বশেষ নৌকাডুবির একটি ঘটনায় ১৪ মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। বুধবার এ নৌকাটি ছাড়াও রোহিঙ্গাবোঝাই আরও কয়েকটি নৌকা এসেছে বলে দাবি করেছেন উদ্ধার পাওয়া রোহিঙ্গারা। টেকনাফ থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান বলেন, নৌকাটি চরে এসে আটকা পড়ে ডুবে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে কূলে নিয়ে আসে। স্থানীয় আবদুল মাবুদ ও হুমায়ুন রশীদ জানান, ফজরের নামাজের আগে শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় একটি নৌকা চরে আটকে ডুবে যাচ্ছে বলে খবর পাই। এ খবরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তারা প্রায় ডুবন্ত নৌকাটি থেকে রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের দ্রুত নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়। এতে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় এ রোহিঙ্গারা। গত ২৯ আগস্ট থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নাফ নদী ও সাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই ছোট-বড় ২৬টি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৮৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এরমধ্যে মধ্যে ১৮৫ জন রোহিঙ্গা। একজন বাংলাদেশি নৌকার মাঝি। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিয়ে ঠেকাতে নির্দেশনা মন্ত্রণালয়ের ॥ বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা যুবতীদের বিয়ে করে মানবতা প্রদর্শনের আহ্বান রয়েছে কিছু গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ব্যাপক প্রচার রয়েছে। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ায় একটি নির্দেশনা জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এতে বাংলাদেশের ছেলেদের সঙ্গে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা মেয়েদের বিয়ে ঠেকাতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। বুধবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণায় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জিএম নাজমুছ শাহাদাৎ সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশি ছেলেদের সঙ্গে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা মেয়েদের বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কতিপয় নিকাহ রেজিস্ট্রার এ অপতৎপরতায় লিপ্ত। একারণে ‘বিশেষ এলাকা’- কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাাম জেলায় বিয়ে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বর-কনে উভয়েই বাংলাদেশি নাগরিক কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। বর-কনের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব নিকাহ রেজিস্ট্রারদের নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এ বিষয়ে গাফিলতি দেখা গেলে দায়ী নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে দেয়া হয়।
×