ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তামণি ভাল নেই,বারবার জ্বর আসছে

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২০ অক্টোবর ২০১৭

মুক্তামণি ভাল নেই,বারবার জ্বর আসছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাল নেই মুক্তামণি। হঠাৎ করেই তিন দিন আগে তার শাসকষ্ট শুরু হয়। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছে। হাতে ক্যানোলা লাগানো। শরীরে স্যালাইন চলছে। কারণ তিন দিন যাবত সে কিছু খেতেও পারছে না। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার জন্য তার মুখে লাগানো হয়েছে অক্সিজেন মাস্ক। কিছুক্ষণ পর পর জ্বর আসছে। সব মিলিয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ মুক্তামণি। তবে তার হাতে স্কিন গ্রাফটিংয়ের পর হাতটি এখন প্রায় সুস্থ হওয়ার পথে। কিন্তু হঠাৎ মুক্তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তার পরিবারসহ চিকিৎসকরাও। মুক্তামণির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের জাতীয় সমন্বয়ক ডাঃ সামন্তলাল সেন বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে জানান, তিন দিন আগে হঠাৎ করেই তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা শুরু হয়। এরপর দ্রুত তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যার কারণ হিসেবে এ চিকিৎসক জানান, মুক্তামণির একটি ‘ফুসফুস’ নষ্ট। আর এ কারণেই তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা অনেক আগেই বিষয়টি জেনেছি। তার চিকিৎসাও চলছে। আমরা ভেবেছিলাম তার হাতটি সুস্থ করার পর তার ফুসফুসের চিকিৎসা করব। কিন্তু এখন যেহেতু তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এজন্যই আমরা অক্সিজেন মাস্ক দিয়েছি। সঙ্গে চিকিৎসা চলছে। জানা যায়, গত ১০ অক্টোবর মুক্তামণির হাতে প্রথম চামড়া লাগানোর (স্কিন গ্রাফটিং) পরদিনই তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। গত পাঁচ দিন আগে মুক্তার হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেয়া হয়। তখনই তার হাত দৃশ্যমান হয়। তবে এ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ওর হাত অনেকটাই চিকন দেখাবে কিন্তু তেমনটি হয়নি। এখনও হাতটি অনেক মোটা রয়েছে। তবুও আমার মেয়েটা যদি সুস্থ থাকত!’ তিনি জানান, হাত খোলার পর মুক্তামণি খুবই খুশি হয়েছিল। সে ভেবেছিল শীঘ্রই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে। হঠাৎ করেই শরীরটা আবার খারাপ হয়ে গেল। সবাই আমার মেয়ে মুক্তামণির জন্য দোয়া করবেন।
×