ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাসস্থান গণমানুষের সাংবিধানিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের করণীয়

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

বাসস্থান গণমানুষের সাংবিধানিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের করণীয়

১৯৮৬ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস উদ্যাপন হয়ে থাকে। ১৯৮৬ সালে প্রথম বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল Shelter is my Right বা আশ্রয় আমার অধিকার। বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াসে কালের পরিক্রমায় প্রতিবছরের মতো এ বছরও উদ্যাপিত হচ্ছে বিশ্ব বসতি দিবস। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এবং মানব সভ্যতার ভবিষ্যত ক্রমবিকাশে এই দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্ব বসতি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য : ‘গৃহায়ন নীতিমালা : সাধ্যের আবাস’। প্রাণী জগতের অনেক প্রাণীর আজও যেমনি নিদৃষ্ট বাসস্থান বা গৃহ নেই তেমনি সৃষ্টির আদিকালে প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষেরও গৃহ ছিল না। কিন্তু কালের ব্যবধানে মানুষসহ প্রাণীকুলের অনেক প্রাণীই নিদৃষ্ট বাসস্থান চিহ্নিত করে বসবাস শুরু করে। আজ গৃহ শুধু একটি বাসস্থান বা ঠিকানাই নয় বরং আজকের বিশ্বে গৃহকে মানুষের আয় বা উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক শিল্প হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। Income Generating Factory/ Boosting Factory. বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ সেজন্য ভূমি সম্পদের গুরুত্ব ব্যাপক। ভূমি একটি প্রাকৃতিক মৌলিক সম্পদ যা থেকে আমরা আমাদের মৌলিক মানবিক চাহিদা যেমন- খাদ্য, শিল্প-কারখানার কাঁচামাল, সাধারণ নিত্য ব্যবহার্য উপকরণাদি এবং চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্রের যোগান পেয়ে থাকি। বাংলাদেশে ১৪.৪ মিলিয়ন হেক্টর ভূমির ওপর ১৬০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। মাথাপিছু ভূমির পরিমাণ মাত্র ২৫ শতক যার মধ্যে মাত্র ১৫ শতক কৃষি জমি। দিনে দিনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মাথাপিছু ভূমির পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকা-ের বিস্তৃতি, শিল্পায়ন, নতুন নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণ, হাসপাতাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ফলেও মাথা পিছু ভূমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। ১৯৮৩-৮৪ সালে যেখানে চাষযোগ্য ভূমির পরিমাণ ছিল ২২.৭ মিলিয়ন একর সেখানে ১৯৯৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২০.৭ মিলিয়ন একরে। স্থানীয়ভাবে প্রাপ্য উপকরণ ও সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিপুল জনগোষ্ঠীর আবাসন সঙ্কট নিরসনে নিরাপদ ও টেকসই গৃহায়ন সহজলভ্য এবং দেশের নির্মাণ শিল্পের গুণগতমান বৃদ্ধি ও সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে গবেষণায় উদ্ভাবিত উপকরণ/প্রযুক্তি বিপণন ও সম্প্রসারণ, ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে গৃহায়ন ও নির্মাণ বিষয়ক পরামর্শ সেবা প্রদান এবং নির্মাণ শিল্পের মান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা অব্যাহত রেখে নিম্নোক্ত সুপারিশ অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। ক্স জাতীয় গৃহায়ন নীতির লক্ষ্য উদ্দেশ্য বর্ণনাকালে এই নীতির মূল দর্শন বা ফিলোসপিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ (ক) সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী ‘সবার জন্য গৃহ’ প্রদানে জনগণের নিকট রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার উল্লেখ থাকা সমীচীন হবে। ক্স সকল নাগরিকের জন্য অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তৎপ্রেক্ষিতে গৃহ বা বাসস্থানের মৌলিক প্রতিটি অধিকার পূরণে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের অঙ্গীকারে জাতীয় গৃহায়ন নীতি প্রণীত হতে হবে। তাই স্বল্প ভূমির রাষ্ট্রে ঘনবসতিপূর্ণ বিশাল জনরাশির এদেশের গৃহায়ন নীতির মূল দর্শন বা নীতিতে কৃষি জমি রক্ষা করে সুপরিকল্পিত প্রযুক্তিনির্ভর আবাসন গড়ার সর্বাত্মক প্রয়াস সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়। ক্স সমগ্র বাংলাদেশকে আজও একটি গ্রাম বললেও অত্যুক্তি হবে না। দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৫ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে এবং দেশের সর্বমোট গৃহের মধ্যে ৭৫ ভাগ গ্রামে অবস্থিত। সেই প্রেক্ষিতে বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের আদলে এদেশেও জাতীয় গৃহায়ননীতি প্রণীত হলে তা সঠিক ও যথার্থ হবে না। ক্স এদেশের জাতীয় গৃহায়ননীতির অধিকাংশ অংশজুড়ে গ্রামীণ গৃহ বা আবাসন ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উল্লেখ থাকতে হবে। সে কারণে জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালার উপাদান (Element) এর একটি অনুচ্ছেদ হিসেবে গ্রামীণ গৃহায়ন উল্লেখ করা হলে তা সমগ্র জাতিকেই অস্বীকার করা হবে। যা কোনক্রমেই বাঞ্ছনীয় নয়। ক্স একথা সর্বজনস্বীকৃত হবে, শহর এবং গ্রামের গৃহনির্মাণ, নির্মাণ কৌশল/পদ্ধতি, সুযোগ-সুবিধা গৃহ ব্যবস্থাপনা ভূমি ব্যবহারের নিয়ম পদ্ধতি এক হবে না। তৎপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালায় (১) গ্রামীণ গৃহায়ন নীতি (২) শহরের গৃহায়ননীতি নামক পৃথক ২টি অংশ থাকা বাঞ্ছনীয়। আবার গ্রাম ও শহরের গৃহ বা আবাসনের ক্ষেত্রে একই ধরনের কিছু নিয়ম পদ্ধতি থাকবে। প্রসঙ্গত রাষ্ট্রের অনগ্রসর বা কম সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত নাগরিকদের অগ্রাধিকার প্রদানের কারণেও গ্রামীণ গৃহায়ন অধিকতর গুরুত্ব পাওয়া উচিত। সুতরাং জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালার মূল দর্শন বা লক্ষ্যে ২টি মূল লক্ষ্য উল্লেখ থাকতে হবে। গ্রামীণ গৃহায়ন ও শহরের গৃহায়ন উভয় ক্ষেত্রেই পৃথকভাবে নিয়ম, পদ্ধতি পৃথক অনুচ্ছেদ-উপ-অনুচ্ছেদে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকতে হবে (প্রণীত নীতিমালা প্রতি পর্বে কোনটি কোন অংশে যাবে-তা ধারাবাহিকভাবে লিপিবদ্ধ করা যেতে পারে)। গণমানুষের বাসস্থানের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ সুবিবেচনাপূর্বক জরুরী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ১. দেশে প্রয়োজনে/ অপ্রয়োজনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও জনগণের মৌলিক অধিকার বাসস্থান বিষয়ে কোন মন্ত্রণালয় আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফলে জনগণের অধিকারের এই মৌলিক বিষয়টি বিগত ৪৭ বছর অব্যাহতভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। তাই, দেশের সমগ্র নাগরিক তথা গণমানুষের বাসস্থান সমস্যার সমাধান ও পরিকল্পিত বাড়ি-ঘর, গ্রাম নির্মাণে অত্যন্ত জরুরী ভিত্তি গৃহায়ন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা উচিত। ২. জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালার মূল নীতিতে রাষ্ট্র কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণপূর্বক বেশি বা কম মূল্যে অন্যকোন নাগরিককে প্লট বরাদ্দ প্রদান করবে না- তার উল্লেখ থাকতে হবে। ৩. জনগণের আবাসন সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্র কর্তৃক প্লট বরাদ্দ নীতি সম্পূণরূপে বন্ধ করে ন্যায্য মূল্যে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নীতি গ্রহণ করতে হবে। ৪. জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালায় মূল দর্শন বা নীতিতে বাড়ি ঘর, কল কারখানা নির্মাণের ক্ষেত্রে আনুভূমিক (ঐড়ৎরুড়হঃধষ ঊীঃবহংরড়হ/ঊীঢ়ধহংরড়হ) বর্ধিতকরণ সম্পূর্ণরূপে নিরুৎসাহিত করবে এবং উর্ধমুখী (Vertical Extension) নির্মাণ কাজকে সাহায্য সহযোগিতা প্রদানপূর্বক উৎসাহিত করবে। ৫. কৃষি জমি রক্ষার্থে গ্রামীণ জনপদের সর্বত্র ঘর বাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর, বাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছু পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিটি উপজেলা/ইউনিয়ন সার্ভে করে ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন এবং সরকারী আইনের মাধ্যমে কঠোরভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে। ৬. বাংলাদেশ পৃথিবীর অধিক বৃষ্টিপাত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত। বার্ষিক গড় বৃষ্টি ২৩০০ মি:মি:। বাংলাদেশের গৃহায়ন নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পানি সংরক্ষণাগার ক্ষতিগ্রস্ত করা ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রুদ্ধ/ অবরুদ্ধ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে সচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। বন্যাপ্রবণ এই দেশে গৃহায়ন নীতিমালা প্রণয়নে বন্যার সর্বোচ্চ উচ্চতা (সরকারীভাবে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানির উচ্চতার মান নির্ধারণ) গৃহের ভিটির উচ্চতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট উচ্চতায় ঘর বাড়ি, শহর/গ্রাম নির্মাণ করার নির্দেশনা থাকতে হবে। ৭. জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের শহরভিত্তিক কার্যক্রম সীমিত করে প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক কার্যক্রম গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলায় বিস্তৃত করা। অনতিবিলম্বে উপজেলায় হাউজিং কর্তৃপক্ষের দফতর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ দফতর উপজেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করা যতদিন সম্ভব হবে না, ততদিন উপজেলায় কর্মরত অন্য সংস্থার (এলজিইডি, পিএইচই, শিক্ষা প্রকৌশল ইত্যাদি) প্রকৌশলীদেরকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে গৃহায়ননীতি অনুযায়ী পরিকল্পিত গ্রামীণ ব্যবস্থার জন্য দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। ৮. দেশব্যাপী জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃতকরণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পর্যালোচনান্তে স্ব-স্ব এলাকায় শিক্ষক, প্রকৌশলী, স্থপতি, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি (সরকারী/ বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে) নিয়ে প্রথমে উপজেলা পর্যায়ে একটি করে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ‘পরিকল্পিত গ্রামীণ জনপদ উন্নয়ন কমিটি’ গঠন করা। ৯. কৃষি জমি রক্ষা ও পরিকল্পিত গ্রাম গড়ার রাষ্ট্রীয় নীতি সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নার্থে প্রতিটি উপজেলার সকল গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল উপজেলা প্রধানদের অধীনে একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও একজন জুনিয়র আর্কিটেক্টকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করা এবং প্রতিটি গ্রামের নকশা প্রদানপূর্বক পরিকল্পিত গ্রামীণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ১০. গৃহকে শুধু বাসস্থানই নয় বরং গৃহ আয়/ উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক কারখানা হিসেবে গণ্য করে গ্রামীণ জনপদে স্বল্পমূল্যে পরিকল্পিত বাড়ি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সাইজের নকশা প্রণয়ন ও বিনামূল্যে প্রদানসহ সকল কারিগরি পরামর্শ প্রদানের দায়িত্ব জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে প্রদান করা। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মডেল নকশা অনুযায়ী বাড়ি ঘর নির্মাণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা। ১১. কৃষি জমি রক্ষার্থে এবং ভবিষ্যত বংশধরদের জায়গা করে দিতে কোন ব্যক্তি বা পরিবারকেই ৯শত বর্গফুটের বেশি আকারের বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরির অনুমোদন না দেয়ার নির্দেশ জারি করা। ১২. আবাদযোগ্য চাষী জমি নিয়ে বিশাল আকারের বাগানবাড়ি নির্মাণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। সরকারী গৃহায়ন নীতি বহির্ভূতভাবে আবাদী জমি বিনষ্ট বা অপব্যয় করা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ১৩. দেশে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে সফল করার লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধে সক্ষম যে সকল দম্পতি এক সন্তান নিয়ে স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করবে তাদেরকে শূন্য সুদে এবং দুই এর অধিক সন্তান নিয়ে যে সকল দম্পতি স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করবে তাদেরকে ১% হারে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের ঘোষণা দেয়া। লেখক : সভাপতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইডি) [email protected]
×