ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফ্যাশন দুনিয়া সব সময় নতুন কিছু খোঁজে। তাছাড়া সুতা বা কাপড়ের গহনাগুলো খুব আরামদায়ক। যাদের ধাতুতে এলার্জি হয় তাদের জন্য কাপড়ের গহনা খুবই ভাল বিকল্প। সুতার গহনাগুলো খুব রংচংয়ে। বলতে গেলে সব পোশাকের সঙ্গেই মিলিয়ে মিলিয়ে কেনা যায়। আর দামে সস্তা বলে আলাদা আ

ভিন্ন রূপে গহনা

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

ভিন্ন রূপে গহনা

এক সময় গহনা মানে ছিল সোনা বা রুপার কারুকাজ। গহনা বলতে খুব চকচকে মসৃণ কিছু বোঝা হতো। চলতি ফ্যাশন দুনিয়ায় গহনা শুধু দামী ধাতু বা ডিজাইনে সীমাবদ্ধ নেই। গহনার উপকরণ এবং নক্সায় বদল এসেছে অনেক। অমসৃণ, ফিকে দেখতে ধাতুর গহনার চাহিদাই এখন বেশি। সোনা রুপা বা অন্য কোন ধাতুর সঙ্গে অনেক আগেই রত্ন পাথর, মুক্তার ব্যবহার ছিল। এখন গহনার উপকরণে কাঠ, কড়ি, মাটি ইত্যাদিও যুক্ত হয় নিজস্ব মহিমায়। এ বছরের মূল আকর্ষণ হচ্ছে কাপড়ের গহনা। কখনও কাপড়ের লম্বা মালা কখনও ইয়ক দিয়ে কাপড়ের চন্দ্র হার। যেটাই হোক কাপড় এখন গহনার উপকরণ হিসেবে দাপটে অবস্থানে আছে। এ তো গেল উপকরণের কথা। এ বছরের ফ্যাশনে গহনার ডিজাইনেও এসেছে মজার সব পরিবর্তন। এখানে নক্সাই মূল কথা নয়। আছে হ্যান্ড পেইন্ট, রিক্সা আর্ট, বিডস এমনকি সুতার কাজও। ফ্যাশন দুনিয়া সব সময় নতুন কিছু খোঁজে। তাছাড়া সুতা বা কাপড়ের গহনাগুলো খুব আরামদায়ক। যাদের ধাতুতে এলার্জি হয় তাদের জন্য কাপড়ের গহনা খুবই ভাল বিকল্প। সুতার গহনাগুলো খুব রংচংয়ে। বলতে গেলে সব পোশাকের সঙ্গেই মিলিয়ে মিলিয়ে কেনা যায়। আর দামে সস্তা বলে আলাদা আলাদা পোশাকের জন্য আলাদা আলাদা গহনা কিনতে সমস্যাও হয় না। কাপড় ও সুতায় তৈরি গহনা পাওয়া যাবে, সাদাকালো, বিশ্বরং, বিবিয়ানা, যাত্রা, অরণ্য, আইডিয়া ক্রাফট প্রভৃতি ফ্যাশন হাউসের আউটলেটগুলোতে। দাম শুরু দেড় শ’ টাকা থেকে। রুপার গহনার দাম ফ্যাশন হাউস ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে হাজার দুয়েক টাকার মধ্যে সুন্দর রুপার গহনা হয়ে যায়। রুপার গহনা পাওয়া যাবে আড়ং, যাত্রা ও অঞ্জনসে। ফ্যাশন জুয়েলারি নামে এই গহনায় কাঠ, সুতা, হালকা ধাতু, রঙিন বিডস ছাড়াও বিভিন্ন গাছের বীজ দিয়ে তৈরি গহনার সন্ধান পাওয়া যায়। এই গহনার মধ্যে কানের দুল, মালা, নেকলেস, নূপুর, বালা সবই পাওয়া যায়। দামে সস্তা বলে এ বিভাগের গহনার প্রতি ‘টিনেইজ’ ক্রেতাদের আগ্রহ খুব বেশি। দাদি নানিদের আমলের হাতে তৈরি গহনা কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। তাদের মকরমুখী বালা, পাতলা পাতের হার কাটাইয়ের কাজ করা গহনা এখন রুপা বা পিতলে তৈরি হচ্ছে। হালকা পাতলা এ গহনাগুলো সোনালির পাশাপাশি তামাটে-রুপা বা অক্সডাইজ রংয়ে বেশই সমাদৃত। দেশাল, অঞ্জনস, বিবিয়ানায় পাওয়া যাবে এ ধরনের গহনা। বাজার ঘুরে দেখা গেল, দেশীয় সব গহনার পাশাপাশি তিব্বতী গহনারও বেশ কদর। তিব্বতী গহনার বৈশিষ্ট্য হলো- এগুলোর উজ্জ্বল রংয়ের পাথরের ব্যবহার এবং মিনার কাজ। এই গহনার ধাতুও বেশ ভারি আর রংগুলোও বেশ অভিনব। মূলত ফিরোজা রংয়ের সঙ্গে উজ্জ্বল হলুদ, নীল, কমলা, লাল রং মিলিয়ে বানানো এ গহনাগুলো খুব আকর্ষণীয়। দাম শুরু ১ হাজার টাকা থেকে। পাওয়া যাবে বিশ্বরং, আইডিয়া ক্রাফট প্রভৃতি ফ্যাশন হাউসে। মডেল : নিপা ও বারিস ছবি : আহমেদ আরিফ
×