ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি নেতাকর্মীদের কোমরে জোর আনতে হবে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ১১ অক্টোবর ২০১৭

বিএনপি নেতাকর্মীদের কোমরে জোর আনতে হবে ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের কোমরে জোর আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে জেহাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেই বর্তমান সরকার এখন ভিন্ন মোড়কে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। কিন্তু এবার তারা সফল হবে না। বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণকে সচেতন করে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের নীলনক্সা নস্যাৎ করে দেবে। দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, নিজের কোমরে যদি জোর না থাকে তাহলে বেশিক্ষণ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারব না। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ৫০ বা ৩০ বছর আগে কী ছিলাম সেটি নিয়ে গর্ববোধ করতে পারি, কিন্তু এই মুহূর্তে তরুণ-যুবকদের সঙ্গে নিয়ে দেশ রক্ষার জন্য জনগণকে কতটা উজ্জীবিত করতে পারছি, সেখানেই সাফল্য লুকিয়ে আছে। প্রধান বিচারপতির ছুটির প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছুটি নিয়ে গণমাধ্যমে যে সব তথ্য আসছে, এই দেশের মানুষ পরিষ্কার করে বুঝে গেছে কারসাজি করে সরকার প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর অপরাধ একটাই সত্যিকথা বলা। তিনি আইনের শাসনের কথা বলেছেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। এভাবে তাকে সরিয়ে দেয়া ইতিহাসে নজিরবিহীন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুইয়া, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ। আলামত দেখছেন গয়েশ্বর সরকার পতনের আগে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে অভিমত ব্যক্ত করে দেশে এখন সে আলামত দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গয়েশ্বর রায় বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে অসুস্থ বানিয়েছিলেন আজও তারাই প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বলে যারা ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য করেছেন তারাই একদিন আপনাকে অসুস্থ বলে ছুটিতে পাঠাতে পারেন। তাই স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেন। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আসলে কোন দলই লাভবান হবে না। প্রধান বিচারপতির ছুটি প্রসঙ্গে গয়েশ্বর রায় বলেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা কোন ছুটির আবেদনপত্র লেখেননি, চিঠিটি অদৃশ্য শক্তি লিখেছে। এভাবে তাকে ছুটিতে পাঠানো বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হামলা। ষোড়শ সংশোধনীর রায়তো সাতজন বিচারপতি একসঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাহলে এ রায়কে কেন্দ্র করে এস কে সিনহার ছুটি নিতে হয়, বাকি ছয়জনও ছুটি নেন না কেন? আয়োজক সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
×