ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

দৃকে দশ দেশের আলোকচিত্রীর চিত্র প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ৬ অক্টোবর ২০১৭

দৃকে দশ দেশের আলোকচিত্রীর চিত্র প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক আয়োজনে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশসহ ১০ দেশের একশ’ আলোকচিত্রী। এসব আলোকচিত্রীর ক্যামেরাবন্দী হয়েছে নানা দেশের প্রাণী ও প্রকৃতির বৈচিত্র্যময়তা। দুরন্তপনা শিরোনামের একটি ছবিতে দেখা মিলল সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা অতিথি পাখির। ছবিটি ফ্রেমবন্দী করেছেন তরুণ আলোকচিত্রী রাফিয়া আহমেদ। পশু-পাখিসহ নিসর্গের নান্দনিকতা মেলে ধরা এমনসব ছবি নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ধানম-ির দৃক গ্যালারিতে শুরু হলো তিন দিনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী। শিরোনাম ‘ওয়াইল্ড লাইফ এ্যান্ড নেচার ইমিগ্রেশন ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন’। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডি ফটো ক্যাফে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পী মেহ্রিন। প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইসরাইল, পোল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নিউজিল্যান্ডের একশ’ আলোকচিত্রী। তাদের ক্যামেরার লেন্সে দর্শক দেখতে পাচ্ছেন সেসব দেশের প্রকৃতি, মানুষের যাপিত জীবন, জীবজন্তুর মোহনীয় নানা ভঙ্গিমা। আয়োজকরা জানান শুধু আলোকচিত্র প্রদর্শনীই নয়, থাকছে বিভিন্ন দেশের আলোকচিত্রীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের প্রক্রিয়াও। তিন দিনের এ আয়োজনে থাকছে দেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রীদের সঙ্গে আলাপন, মন্তব্য ও প্রশ্নোত্তরের আনুষ্ঠানিকতাও। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন এ প্রদর্শনী বিকেল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আজ থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ॥ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ১৬ দিনব্যাপী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে ৪৪টি চলচ্চিত্র নিয়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আজ বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এ উৎসব উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে রিয়াজুল রিজু পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়স্কোপ’। উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার থেকে চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রতিদিন বেলা ৩টা, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। বৃহস্পতিবার একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ সকল তথ্য জানান একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় আরও কথা বলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক ড. সাজেদুল আউয়াল, একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি লাইলুন নাহার স্বেমি, চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা চলচ্চিত্র শিল্পকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার দাবি জানান। উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের উৎসবে মোট ৫টি বিভাগে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। বিভাগগুলো হলোÑ বাংলাদেশ ধ্রুপদী চলচ্চিত্র, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র (২০১৫-২০১৬) এবং নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। সমকালীন ১১টি চলচ্চিত্র নিয়ে থাকবে বিশেষ প্রতিযোগিতা বিভাগ। এই বিভাগে জুরি কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে ৩টি শাখায় প্রদান করা হবে। নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পাবেক ২ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা পাবেন ১ লাখ টাকা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি পাবে ৫০ হাজার টাকা। ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহ্্উদ্দিন শাকেরকে চেয়ারম্যান করে এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক, চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমি, চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি ড. জাকির হোসেন রাজু এবং শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী। কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর আনন্দানুষ্ঠান ॥ ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শিশু-কিশোরদের সবচেয়ে বড় সংগঠন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা। সময়ের পরিক্রমায় সংগঠনটি পদার্পণ করল প্রতিষ্ঠার ৬১ বছরে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সেগুনবাগিচার মেলা মিলনায়তনে আনন্দানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নৃত্য-গীতে সাজানো আনন্দমুখর এ আয়োজনে কচি-কাঁচা বম্বে সুইটস প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং সঙ্গীত প্রতিযোগিতার সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বম্বে সুইটসের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা শ্রী ডি. ডি. ঘোষাল। সভাপতিত্ব করেন মেলার সভাপতি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
×