ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক

বিদ্যুত আমদানিতে ভারতের কাছে কর অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিদ্যুত আমদানিতে ভারতের কাছে কর অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারত থেকে বিদ্যুত আমদানিতে করারোপ অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে অব্যাহতি চাওয়া হয়। ভারতের নীতিমালা অনুযায়ী দেশটির ভূখ- থেকে বিদ্যুত আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ ভাগ কর দেয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এর আগে ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এই কর প্রদান করতে হয়নি। তবে নতুন করে আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কর দিতে হবে। ভারতের বিদ্যুত সচিব অজয় কুমার ভাল্লার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বুধবার প্রতিনিধি দলের একাংশ ঢাকায় ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক করে। অন্য অংশ রামপালে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানির বোর্ড মিটিংয়ে যোগ দেন। ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে কর অব্যাহতির বিষয়টি তুলেছিলাম। তারা বলেছে, বৃহস্পতিবারের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করা হবে। এছাড়া ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুত খাতের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ভারত এবং বাংলাদেশের বিদ্যুত সচিবের নেতৃত্বে স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত। কমিটিতে নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলোর সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে দুই দেশের বিদ্যুত বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ে ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই মূলত সহায়তার ক্ষেত্র ঠিক করা হয়। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক সূত্র জানায়, এবারের বৈঠকে ভারত এবং প্রতিবেশী অন্য দেশ থেকে বিদ্যুত আমদানির বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ নিকট ভবিষ্যতে ভারত থেকে আরও বিদ্যুত আমদানির পরিকল্পনা করছে। ভারত ছাড়াও নেপালে ভারতীয় কোম্পানি জিএমআরের কাছ থেকে জলবিদ্যুত আমদানি এবং ভুটানের কুরি জলবিদ্যুত কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে জানানো হয়, ইতোমধ্যে ভারতীয় ঠিকাদার কোম্পানি কাজ শুরু করেছে। বিদ্যুত কেন্দ্রটির পায়েলিংয়ের কাজ চলছে। বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের আগে কয়েক হাজার পায়েলিং করতে হয়। সাধারণত এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুত কেন্দ্রে সাড়ে সাত থেকে আট হাজার পায়েলিং করতে হয়। এরপর বিদ্যুত কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ বসানোর কাজ শুরু হয়। বৈঠকে এছাড়া ভারতীয় কোম্পানি আদানি এবং রিলায়েন্সের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। আদানি ভারতের অভ্যন্তরে ঝাড়খ-ে এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করে বাংলাদেশে বিদ্যুত বিক্রি করবে। অন্যদিকে রিলায়েন্স পাওয়ার মহেশখালিতে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি মেঘনাঘাটে একটি ৭৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে।
×