ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৭ আগস্ট ২০১৭

টুকরো খবর

ভারতে বাড়ছে ডালের দাম দুই সপ্তাহ আগে মুম্বাইয়ের পাইকারি বাজারে অড়হর ৩৪ রুপি কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে পণ্যটির দাম ৪২ রুপি স্পর্শ করেছে। একইভাবে মাষকলাই ও মুগ ডালের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে এ দুই পণ্য কেজিপ্রতি ৪০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৫৪ রুপি ও ৩৬ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে। ৫ আগস্ট ভারতের কেন্দ্র্রীয় সরকার অড়হর আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অড়হর আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ভারতের মুম্বাইয়ের পাইকারি বাজারে ডালের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে মুগ ও মাষকলাই সংগ্রহ মৌসুম শুরুর আগে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা দামের এ উত্থানকে ইতিবাচক বলে বিবেচনা করছেন, যদিও এখন পর্যন্ত পণ্যের দাম সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন সীমার নিচে রয়েছে। তবে ইন্ডিয়া পালসেস এ্যান্ড গ্রেইনস এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রবীণ ডংরে মনে করেন, প্রধান ডাল উৎপাদক রাজ্যগুলোয় অনিয়মিত ও অনাবৃষ্টি নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগের কারণেও পণ্যের দাম বাড়ছে। তিনি বলেছেন, ডাল আবাদ একেবারে শেষ পর্যায়ে। তবে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকে বৃষ্টির অবস্থা ভাল নয়। চলতি মাসের শুরু থেকে অড়হর আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপের কারণে আরও এক মাস ডালের দাম বাড়বে। ডাল ব্যবসায়ী সুনীল বলদেব বলেছেন, দামের ঊর্ধ্বমুখিতা রাজস্থান ও গুজরাটে স্বল্পমেয়াদি (৬০ দিন) মুগ ডালের আবাদ বাড়িয়ে দিতে পারে। সরকার আমদানিকারকের বদলে যদি সবাইকে ডাল রফতানির অনুমতি দেয়, তবে পণ্যটির বাজার আরও চাঙ্গা হবে। ফিলিপিন্সের চিনির উৎপাদন ১১.৭% বেড়েছে চিনি উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় ফিলিপিন্সের অবস্থান ১৬তম। দেশটিতে চলতি ২০১৬-১৭ উৎপাদন মৌসুমের (সেপ্টেম্বর-আগস্ট) আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পণ্যটির উৎপাদন আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। খবর বিজনেস মিরর এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি উৎপাদন মৌসুমে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেশটিতে মোট ২৫ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে; যা আগের উৎপাদন মৌসুমের তুলনায় ১১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ সালের একই সময় দেশটিতে ২২ লাখ ৩৮ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। চলতি উৎপাদন মৌসুমে এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে ২২ লাখ ৫০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল এসআরএ। সে হিসাবে সংস্থাটির পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে চিনি উৎপাদন। এ সময় পূর্বাভাসের তুলনায় পণ্যটির উৎপাদন ১১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি হয়েছে। শেষ তথ্যানুযায়ী পণ্যটির উৎপাদন ২৫ লাখ টনের বেশি হয়েছে। উৎপাদন মৌসুমের বাকি সময়ে পণ্যটির উৎপাদনের এ হার বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি উৎপাদন মৌসুমে পণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ সব রেকর্ড ও পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। পিএসএমএর তথ্যানুযায়ী, এর আগে ১৯৭৬-৭৭ উৎপাদন মৌসুমে ফিলিপিন্সে রেকর্ড ২৬ লাখ ৮৫ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। গত ২০১৫-১৬ মৌসুমে দেশটিতে ৪ লাখ ১১ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে আখ আবাদ হয়েছিল। এ কারণে পণ্যটির উৎপাদনও আগের মৌসুমের তুলনায় বেড়েছে। এর জের ধরে দেশটিতে চিনি উৎপাদন রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। চা উৎপাদনে শীর্ষস্থানসমূহ ভাল মানের ও বেশি দামের চা উৎপাদনে শীর্ষস্থানে রয়েছে দেশের তিন বাগান মধুপুর, খৈয়াছড়া ও ক্লিভডন। গত মৌসুমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতি ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রথম ১৫টি নিলামেও এ তিন বাগানে উৎপাদিত চা সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত চায়ের ১৫টি আন্তর্জাতিক নিলামের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ১৫তম নিলাম পর্যন্ত সিলেটের মধুপুর বাগানে উৎপাদিত মোট ২ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৮ কেজি চা বিক্রি হয়েছে, যার গড় মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৬৮ টাকা। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অবস্থিত খৈয়াছড়া বাগানে উৎপাদিত ২ লাখ ২৯ হাজার ৫২ কেজি চা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি গড়ে ২৫৪ টাকায়। অন্যদিকে ১৫টি নিলামে মৌলভীবাজারের ক্লিভডন বাগানে উৎপাদিত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৩৩ কেজি চা বিক্রি হয়েছে, যার গড় মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৪৩ টাকা। চলতি মৌসুমে ভাল মানের ও বেশি দামের চা সরবরাহকারী শীর্ষ ২০ বাগান সম্মিলিতভাবে ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৬৯২ দশমিক ৪ কেজি চা বিক্রি করেছে, যা মোট বিক্রি হওয়া চায়ের ২৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। ভাল মানের ও বেশি দামের চা উৎপাদনকারী শীর্ষ ২০টি বাগানের মধ্যে পণ্যটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সরবরাহ করেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী চা বাগান। বাগানটি থেকে নিলামে সব মিলে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮০ দশমিক ৫ কেজি চা সরবরাহ করা হয়েছে, যার গড় মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ২১৯ টাকা। --অর্থনীতি ডেস্ক
×