ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নরসিংদীতে রামবুটান চাষে সাফল্যে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০২:২৭, ২৩ আগস্ট ২০১৭

নরসিংদীতে রামবুটান চাষে সাফল্যে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী ॥ রামবুটান চাষে আগ্রহ বাড়ছে নরসিংদীর কৃষকদের। দেখতে কদম ফুলের মতো হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সুস্বাদু ও জনপ্রিয় রামবুটান ফল লিচুর মত স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। সম্প্রতি এই ফল চাষে সফলতা পেয়েছে নরসিংদীর শিবপুরের কৃষক জামাল উদ্দিন। তার এ সফলতায় আশা জাগিয়েছে এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মনে। অধিক লাভজনক আর নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর দৃষ্টিনন্দন এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, প্রয়োজনীয় সহায়তা ও দিক নির্দেশনা পেলে আগামী দিনে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে নতুনত্ব যোগ করতে পারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনপ্রিয় এ ফল রামবুটান। নরসিংদীর শিবপুরের কৃষক জামাল উদ্দীন জানান, জীবিকার তাগীদে কাজের সন্ধানে প্রথমে মালয়েশিয়া এবং পরে ব্রুনাই যান কৃষক জামাল উদ্দিন। প্রায় ১৫ বছর পর ২০০৬ সালে দেশে ফেরার সময় এক কেজি রামবুটান ফল নিয়ে আসেন তিনি। সে ফলের বীজগুলো তিনি দেশীয় পদ্ধতিতে রোপণ করেন। পরীক্ষামূলকভাবে তার লটকন বাগানের ভেতরেই ১৭টি রামবুটানের চারা রোপণ করেন তিনি। এর মধ্যে ১০টি চারা মারা যায়। বাকি সাতটি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে থাকে। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো কিছু ফল আসলেও প্রতি বছর ফলের পরিমান বাড়তে থাকে। চলতি বছর পাঁচটি গাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকার রামবুটান বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি। বাজারে প্রতি কেজি রামবুটান বিক্রি হচ্ছে ৮শত টাকা থেকে ১হাজার টাকা পর্যন্ত। জামাল উদ্দিনের সফলতায় ইতোমধ্যে আনন্দিত এলাকার অন্যান্য চাষীরা। তারাও আগ্রহ প্রকাশ ও চাষ শুরু করছেন বিদেশী ফল রামবুটান। এছাড়া এখানকার মাটি ও আবহাওয়া রামবুটান চাষে উপযোগী হওয়ায় এই অঞ্চলে রামবুটান চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানান, গুণগত মান সম্মত চারা ও প্রযুক্তিগত চাষ পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে দেয়া গেলে লটকনের পাশাপাশি রামবুটান চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। রামবুটান চাষে স্বয়ংসম্পূর্ন হতে পারলে দেশের বাইরে থেকে রামবুটান আমদানী করতে হবে না। নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ লতাফত হোসেন জানান, এই অঞ্চলের রামবুটান নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে লটকনের পর নরসিংদীর রামবুটান রাঙ্গাবে দেশবাসীকে এমনটাই আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
×