ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বক্স কালভার্ট নিয়ে বিপাকে ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশিত: ০৫:০০, ১২ আগস্ট ২০১৭

বক্স কালভার্ট নিয়ে বিপাকে ঢাকা ওয়াসা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বিভিন্ন খালের ওপর নির্মাণ করা বক্সকালভার্টগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছে ঢাকা ওয়াসা। দীর্ঘদিন বর্জ্য জমে পানি নিষ্কাশনের পথ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় জলজট সমস্যা নিরসনে ব্যর্থ হচ্ছে বলে দাবি সংস্থাটির। কালভার্টগুলো উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা উঠলেও বাস্তবে তা অসম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, যে কোন উপায়ে ময়লা পরিষ্কার এবং নতুন করে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করা না গেলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হবে ঢাকার অনেক এলাকা। ঢাকা দক্ষিণের ধোলাইখালের উন্মুক্ত অংশ মাত্র কয়েকশ গজ। কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার খালের বেশিরভাগ অংশই এখন সড়ক। রাস্তার নিচের বক্সকালভার্টের ভেতর দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ রয়েছে বুড়িগঙ্গা নদীর দিকে। কিন্তু এ খাল ও কালভার্টের ভেতরের পুরো অংশই বর্জ্যে পরিপূর্ণ হওয়ায় দ্রুত পানি নিষ্কাশন হয় না। এক স্থানীয় বলেন, ‘বারো ফিট বাই বারো ফিট পাইপ আছে। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র এক ফিটের মতো পরিষ্কার আছে।’ দক্ষিণে সেগুনবাগিচা, ফকিরেরপুল, মতিঝিল, কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল, নাজিমউদ্দিন রোড, উত্তরে মিরপুর, বাউনিয়া বাঁধসহ অনেক এলাকাতেই সড়ক ও আবাসনের মোড়কে ঢাকা পড়ে আছে এমন অনেক খাল। স্থানীয়রা মনে করেন, কিছু জায়গায় বিকল্প সড়ক তৈরি করাও বেশ কঠিন কাজ। স্থানীয় এক নাগরিক বলেন, ‘রাস্তা হয়েছে প্রায় ত্রিশ বছর। এখন সরকার চাইলেও খাল করতে পারবে না। কারণ, এটা প্রাকৃতিক খাল ছিল।’ ঢাকা ওয়াসা জানায়, উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেও খালের বর্জ্য পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। ভোগান্তির কারণে নতুন করে বক্সকালভার্ট নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদের। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ‘ভেতরে মানুষ ঢুকতে পারে না। মানুষ ঢুকলে সে মারা যাবে। রিমোট দিয়েও করে দেখেছি মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ বা অর্ধেক পর্যন্ত করা যায়, তার নিচে যাওয়াই যায় না। ওপেন খাল যে পরিমাণ পানি নিষ্কাশন করতে পারে বক্সকালভার্ট সেটা কোনদিনই পারে না। ঢাকা শহরে বক্সকালভার্ট করা হারাম।’
×