ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফাঁকা বুলি দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিভ্রান্ত করা যাবে না ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১২ জুন ২০১৭

ফাঁকা বুলি দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিভ্রান্ত করা যাবে না ॥ কাদের

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ফাঁকা বুলি দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিভ্রান্ত করা যাবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোজার ঈদের পর সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আন্দোলনের হুমকি ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছু নয়। জনগণকে ফাঁকা বুলি দিয়ে বিভ্রান্ত করার দিন চলে গেছে। রবিবার বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুইদিনব্যাপী বর্ধিত সভার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়েদুল কাদের বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করবে এটা যদি সত্য হয়, তা আরব্য রজনীর রূপকথাতেও হয় না। বিএনপির আন্দোলনের আট বছরে ঈদের পর, কোরবানির ঈদের পর, এসএসসি পরীক্ষার পর বলেই আসছে। আমরা জানতে চাই, এবারের আন্দোলন কোন ঈদের পর হবে। আর সেটা কোন বছর? নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন অদ্ভুত দাবি করে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। শেখ হাসিনা সরকার নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সহায়তা করবে। পৃথিবীর কোথাও সহায়ক সরকারের কোন বিধান নেই। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশে একইভাবে নির্বচান হবে। আর এ নিয়ে বিএনপি নেত্রী অদ্ভুত, উদ্ভট দাবি করে আসছেন। আগামী নির্বাচনকে নিয়ে বিদেশী কূটনৈতিকদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যেসব কূটনৈতিক আমাদের দেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে তারা আগে নিজ নিজ দেশের চেহারাটা দেখুন, আয়নায় নিজেদের দেখুন, নিজ দেশ নিয়ে মাথা ঘামান। আগামী নির্বাচন ফ্রি এ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমাদের নির্বাচন নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোর করে বা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মিছিলে না এনে নিজেদের আচরণ দিয়ে রাজনীতিতে আকৃষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, মিছিলে না এলে সাধারণ ছেলেদের হল থেকে বের দেবে, তা হবে না। ছাত্রলীগকে আচরণ দিয়ে তাদের আকৃষ্ট করতে হবে। ছাত্রলীগের নেতৃত্বকে মডার্ন ও এ্যাট্রাক্টিভ করে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ ছাত্রলীগের বেশি লোক করে না। কতিপয় লোক এমন কাজ করে, অথচ বদনাম হয় পুরো দলের। এমন যারা রয়েছে তাদের দল থেকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সেক্রেটারিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এলাকায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা থাকতে পারেন। কিন্তু তাদের পক্ষ নিয়ে নিজেরা নিজেদের প্রতিপক্ষ হওয়া চলবে না। এমন হলে কেউ দোষীদের রক্ষা করতে পারবে না। কমিটি বাতিলের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মাথাব্যথা প্রশমনের জন্য মাথা কেটে ফেললে হবে না। কোন শাখায় কোন অপরাধ হলে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু কমিটি বাতিল হবে কেন? যদি কমিটি বাতিল করতে হয়, তাহলে নতুন কমিটি ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের টিমওয়ার্ক শুরু করার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে ফেসবুকে এমন প্রচার বেশি। তাই গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অপপ্রচার রোধে ছাত্রলীগকে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ১০৯টি জেলা ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদকরা বর্ধিত সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেয়। ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেনÑ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না ও সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান রিপন প্রমুখ।
×