ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হিলারি শেখ হাসিনা ও জয়ের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন ;###;ড. ইউনূস ক্লিনটন গ্লোবাল ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অর্থ দেন ;###;ড. ইউনূসের নোবেলের জন্য লবিং করেন ক্লিনটন ;###;চিঠির পূর্ণ বিবরণী প্রকাশ

হাসিনার ওপর হিলারির চাপ ॥ সিনেটরের চাঞ্চল্যকর চিঠি

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৫ জুন ২০১৭

হাসিনার ওপর হিলারির চাপ ॥ সিনেটরের চাঞ্চল্যকর চিঠি

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ শেখ হাসিনার ওপর হিলারির চাপ প্রয়োগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এই তদন্তের স্বার্থে সিনেট কমিটি অব দি জুডিশিয়ারি চেয়ারম্যান চার্লস ই-গ্রেসলি চিঠি দিয়েছেন ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট সেক্রেটারিকে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ড. ইউনূসের দুর্নীতি তদন্ত বন্ধে হিলারির তৎপরতা বিষয়ে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওপর এ চাপ প্রয়োগ করা হয়। হিলারি সরাসরি এ চাপ প্রয়োগ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। এ ছাড়া শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওপর আর যারা চাপ প্রয়োগ করেন তাদের ভেতর ছিলেন জেমস মরিয়ার্টি (ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত), ড্যান মজেনা (ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত), ড্যান গ্যানি লাজিক ও রাজীব শাহ। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওপর হিলারির নির্দেশে চাপ প্রয়োগ করেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের কয়েক কর্মকর্তা। তাদের সকলের বক্তব্য ছিল ড. ইউনূসের দুর্নীতি যেন তদন্ত না করা হয়। সেক্রেটারিকে লেখা ওই চিঠিতে তদন্তের স্বার্থে ক্লাসিফায়েড ও সান ক্লাসিফায়েড সকল তথ্য জুডিশিয়ারি কমিটিকে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চার্লস ই-গ্রেসলির চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ড. ইউনূস ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের তহবিলে ২,২৫০,০০০ মার্কিন ডলার ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ৫০,০০০ ডলার চাঁদা দেন। চিঠিতে ড. ইউনূসের নোবেল পাওয়া নিয়ে ক্লিনটন যে লবিং করেছিলেন তাও উল্লেখ করা হয়। হিলারির এই চাপ প্রয়োগ বিষয়ে জুডিশিয়ারি তদন্ত কমিটির মেম্বাররা হলেন চার্লস ই. গ্রেসলি, আইওয়া, চেয়ারম্যান, ওরিন জি. হ্যাচ ইউটাহ, লিন্ডসে ও গ্রাহাম দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, জন করনিন, টেক্সাস, মাইকেল এসলি. ইউটাহ, টেড ক্রুজ, টেক্সাস, বেল সেসে, নেব্রাস্কা, জেফ ফ্লেক, এ্যারিজোনা, মাইক ক্র্যাপো, আইডাহো, থম টিলিস, নর্থ ক্যারোলিনা, জন কেনেডি, লুইসিয়ানা, ডায়ানে ফেইনস্টেন, ক্যালিফোর্নিয়া, প্যাট্রিক জে. লেহি, ভারমন্ট, রিচার্ড জে ডারবিন, ইলিনয়িস, শেলডন হোয়াইট হাউস, রোড আইল্যান্ড, এ্যামি ক্লোবুচার, মিনেসোটা, ক্রিস্টোফার এ. কোনস, ডেলওয়ার, রিচার্ড ব্লু মেন্থাল, কানেকটিকাট, ম্যাজি কে. হিরনো, হাওয়াই, কোলান এল ডেডিস চীফ কাউন্সিল এ্যান্ড স্টাফ ডিরেক্টর, জেনিফার ডাক্ট ডেমোক্র্যাটিক স্টাফ ডিরেক্টর। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারিকে চার্লস ই-গ্রেসলি যে চিঠি দেন তার পূর্ণ বিবরণী ইউনাইটেড স্টেটস সিনেট কমিটি অন দ্য জুডিশিয়ারি ওয়াশিংটন ডিসি ২০৫১০-৬২৭৫ জুন ১, ২০১৭ মাননীয় রেক্স, ডব্লিউ টিলারসন সেক্রেটারি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ওয়াশিংটন ডিসি ২০৫২০ প্রিয় সেক্রেটারি টিলারসন : সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে সেক্রেটারি ক্লিনটন ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের (সিজিআই) তহবিলে চাঁদা দানকারী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির তদন্ত বন্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীপুত্র, সজীব ওয়াজেদকে আইআরএস অডিটের হুমকি প্রদান করেন এই বলে, যেন, তিনি তার মাকে তদন্ত বন্ধে প্রভাবিত করেন। মে ১১, ২০১৭-তে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এটি নিশ্চিত করেন যে, মিসেস ক্লিনটন ২০১১-এর মার্চে তার অফিসে ফোন করে ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে পুনর্বহালের দাবি করেন। অর্থের বিনিময়ে প্রভাব বিস্তারের নতুন প্রমাণগুলো এমন ধারণা দেয় যে, ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে দেয়া অনুদানে প্রভাবিত হয়ে সেক্রেটারি ক্লিনটন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টকে এ ধরনের পক্ষপাতিত্বমূলক পদক্ষেপ নিতে প্রভাবিত করেছে। আমি ইতোপূর্বেও আগস্ট ২০১৬-তে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসকে দেয়া আমার পত্রে যেমন জানিয়েছি, ফেডারেল আইন মোতাবেক নির্বাহী বিভাগের কর্মচারী সে বিষয়ে অযোগ্য বিবেচিত হবেন যে বিষয়ে তার সরাসরি বা অনুমিত আর্থিক স্বার্থ রয়েছে কিংবা সে ব্যক্তি জড়িত বা যুক্ত এমন কোন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বার্থ রয়েছে। অথবা তারা স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে যুক্ত এমন প্রতিষ্ঠান যদি না তিনি সে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিন্ন না করেন বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা দায়মুক্তি লাভ না করে থাকেন। আবারও সেক্রেটারি ক্লিনটনের কর্মতৎপরতা যৌক্তিকভাবেই এ সন্দেহ উদ্রেক করে যে, তিনি এ সম্পর্কিত আইন ভঙ্গ করেছেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের সততা সম্পর্কে জনমনে আস্থার সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ক্লিনটনদের সঙ্গে ইউনূসের ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্রপাত যখন ক্লিনটন ছিলেন আরকানসাসের গবর্নর। দশকের পর দশক ইউনূস ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের পতাকাবাহকের কাজ করেছেন এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিল ক্লিনটন ব্যক্তিগতভাবেও ইউনূসের পক্ষে নোবেল কমিটির কাছে লবিং করেছেন, এবং ২০০৬-এ তাকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিবেদন মোতাবেক ইউনূসের কোম্পানি ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভে অনুদান দিয়েছে অন্তত ১০০,০০০ থেকে ২৫০,০০০ মার্কিন ডলার এবং ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে এই অনুদানের পরিমাণ ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার। ক্লিনটনের সেক্রেটারি অব স্টেট নিয়োগ প্রাপ্তির পর ক্লিনটন-ইউনূস সম্পর্ক আরও জমাট বাঁধে। ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের প্রতিবেদন মোতাবেক ইউনূস ও তার ব্যবসায়িক মিত্ররা ট্যাক্সপেয়ার ফান্ডে ১৩ মিলিয়ন ডলারের সুবিধা পেয়েছেন। ২০১১-তে বাংলাদেশ সরকার ইউনূসকে আইনভঙ্গ ও নির্ধারিত বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস এ তার পদ থেকে অপসারণ করে। সে সময় থেকেই ইউনূস এ্যাসোসিয়েটস, ক্লিনটন ফাউন্ডেশন, হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে ই-মেইল বিনিময় হয় বিষয়টি নিয়ে এবং মেরিল মিলসসহ স্টেট ডিপার্টমেন্টে আরও কিছু কর্মকর্তা সম্মিলিতভাবে ইউনূসের বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্তে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেন। এই ই-মেইলগুলো প্রমাণ করে যে, সেক্রেটারি ক্লিনটন এবং কিèনটন ফাউন্ডেশন ইউনূসের বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্ত কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল। ই-মেইলগুলো আরও প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ইউনূসের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধে রীতিমতো চাপ প্রয়োগ করেন। সেই ই-মেইলগুলো এই পত্রে সংযুক্ত হলো। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদের বরাতে জানা যায়, ২০১০-২০১২ পর্যন্ত স্টেট ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার কয়েকটি মতবিনিময় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মি. ওয়াজেদ পরিষ্কার স্মরণ করতে পারেন যে, প্রত্যেকটি বৈঠকে ইউনূসের বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্ত কার্যক্রম প্রসঙ্গটি অনিবার্যভাবেই উপস্থাপিত হতো এবং তা বন্ধে তাকে চাপ প্রয়োগ করা হতো। এ বিষয়ে তিনি যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের নাম : জেমস মরিয়ার্টি-বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা-বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ড্যানিলোজিক-ডেপুটি চীফ অব মিশন বাংলাদেশ রাজীব শাহ-প্রশাসক, ইউএসএইড মি. ওয়াজেদ সুনির্দিষ্টভাবে দুটি আলাপচারিতার কথা মনে করতে পারেন যাতে ডেপুটি চীফ অব মিশন জন ড্যানিলোজিক বলে, মি. ওয়াজেদ আইআরএসের অডিটের মুখোমুখি হতে পারেন যদি তিনি ইউনূসের বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্ত কার্যক্রম বন্ধে তার মাকে বোঝাতে ব্যর্থ হন। মি. ওয়াজেদ এও বলেন, কখনও কখনও স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্তারা ক্ষমা প্রার্থনার সুরেই বিষয়টি বারংবার উত্থাপন করতেন। আর এটিও পরিষ্কারভাবেই জানাতেন যে তারা কেবল স্টেট ডিপার্টমেন্টের সর্বোচ্চ কর্তার বার্তা বাহকের ভূমিকা পালন করছেন। মি. ওয়াজেদ আরও জানান, ওই একই কর্মকর্তারা তাকে এও জানান ইউনূস নিজে সেক্রেটারি ক্লিনটন ও তার কার্যালয়ে কর্মরতদের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করছেন। আর সে কারণেই সেক্রেটারি ক্লিনটন ও তার কার্যালয় ইউনূসের পক্ষ নিয়ে বিষয়টি মধ্যস্থ করতে বাংলাদেশস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। যদি সেক্রেটারি অব স্টেট তার অবস্থানকে ব্যবহার করে একটি সার্বভৌম সরকার পরিচালিত স্বাধীন তদন্ত কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করেন কেবল তার ব্যক্তিগত ও আর্থিক স্বার্থ যা ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত সে কারণে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক বিদেশ নীতির পরিপন্থী এমন এটি কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে তার অবস্থানকে পারিবারিক ফাউন্ডেশনের স্বার্থে ব্যবহার একই রকম অগ্রহণযোগ্য। এটি নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কোন ভূমিকা ছিল কি না প্রধানমন্ত্রী পুত্রকে তদন্ত বন্ধে আইআরএস অডিটের হুমকি প্রদানের। প্রাক্তন সেক্রেটারি ক্লিনটন এবং তার কর্মচারীদের সঙ্গে ইউনূসের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধের হস্তক্ষেপের বিষয়টির সত্যতা নিরূপণে দয়া করে নিম্নবর্ণিত তথ্যগুলো সরবরাহ করুন : ১। স্টেট ডিপার্টমেন্টের কোন কর্মকর্তা কি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মি. ওয়াজেদকে এমন ধারণা দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশে পরিচালিত তদন্ত কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি আইআরএস অডিট বা কোন হয়রানির শিকার হতে পারেন। বিষয়টি সে রকম হলে দয়া করে এ বিষয়ে যোগাযোগের সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করুন (২) বিষয়টি কি বিবেচনার জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল বা ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এ প্রেরণ করা হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তবে কেন হয়নি? (৩) এই পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত স্টেট ডিপার্টমেন্টের ই-মেইলগুলোর অসম্পাদিত বা মূল কপি সরবরাহ করুন। আমি ধারণা করি আপনার জবাব এবং প্রাসঙ্গিক কিছু দলিল আনক্লাসিফায়েড। দয়া করে সমস্ত আনক্লাসিফায়েড দলিলপত্র সরাসরি কমিটিতে প্রেরণ করুন। নির্বাহী আদেশ ১৩৫২৬ বলে এই চাহিদাপত্রে কোন দলিল গোপনীয় শ্রেণীভুক্ত হয়ে থাকলে আনক্লাসিফায়েড দলিলগুলো আলাদা করুন এবং তা সরাসরি কমিটিতে প্রেরণ করুন। এবং গোপনীয় দলিলপত্রের তালিকা সিনেট সিকিউরিটি অফিসে প্রেরণ করুন। যদিও এই কমিটি গোপনীয় তথ্যাদি ব্যবহার সংক্রান্ত সমস্ত আইন ও বিধির সঙ্গে সম্মত। তবে এটি বাধ্যকর নয়, যে তারা নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার বা আদেশের দোহাই নিয়ে কোন একপক্ষীয় দলিল গ্রহণ করবে। এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে সহযোগিতার জন্য আপনাকে অগ্রিম ধন্যবাদ। দয়া করে পত্রের বিপরীতে এবং উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর তালিকাভুক্ত করে জুন ১৫, ২০১৭-এর মধ্যে প্রেরণ করুন। আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আমার কমিটি স্টাফ জোশ ফ্লিন ব্রাউনের সঙ্গে (২০২) ২২৪-৫২২৫-এ যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার চার্লস ই-গ্রেসলি চেয়ারম্যান সিনেট কমিটি অব দ্য জুডিশিয়ারি সিসি মাননীয় স্টিভ এ লিনিক, ইন্সপেক্টর জেনারেল স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
×