ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকের সহায়তায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল শিখা

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২৬ মে ২০১৭

শিক্ষকের সহায়তায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল শিখা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চারঘাটের তালবাড়িয়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অমতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ইচ্ছার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার জোর করে এ ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশ জানায়, স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তায় ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে হানা দিয়ে আয়োজন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে পুলিশ পৌঁছার অগেই বরসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করেছেন। জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার তালবাড়িয়া দারপাড়া গ্রামের সাহেব আলী তার মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শিখা খাতুনের অমতে পাশের বাঘা উপজেলার আড়ানী পাকা গ্রামের জামরুল ইসলামের ছেলে জনির সঙ্গে বিয়ের দিন ধার্য করেন। দুপুর ১২টার দিকে বরযাত্রীরা বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে তার আগেই কৌশলে ওই ছাত্রী স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমানকে জানায়, স্যার আমি বিয়ে করতে চাই না। আমি লেখাপড়া করতে চাই। কিন্তু আমার পিতা-মাতা ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ের আয়োজন করেছেন। স্যার আমাকে বাঁচান। স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এ ছাত্রীর আকুতির বিষয়টি প্রধান শিক্ষক তাৎক্ষণিক উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদকে অবহিত করেন। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান ও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বাল্যবিয়ের ঘটনাটি চারঘাট মডেল থানার ওসিকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়। তবে কনের বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতির সংবাদ পেয়ে আগেই পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন বর ও বরযাত্রীরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান জানান, মেয়েটি বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। সামনে জেএসসি পরীক্ষায় পাঁচ ছাত্রী ভাল ফল করলে তার মধ্যে শিখা হবে অন্যতম। কিন্তু তার পিতা-মাতা বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে কিছু না জেনে জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। মেয়েটির আকুতির কারণে তারা এ বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েছেন।
×