ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

বাউফলে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা, পিতার অবস্থা আশংকাজনক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল,পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ২ জুলাই ২০২৫

বাউফলে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা, পিতার অবস্থা  আশংকাজনক

ছবি: জনকণ্ঠ

 বাউফলে “গাঁজাখোর” বলে কটূক্তি করায় এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে এবং তার পিতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তিনিও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে ৫ টার দিকে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সীমানা সংলগ্ন ধলু ফকিরের বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে ।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাহিম বয়াতী (১৮)। তিনি বাউফলের নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। 

নিহতের বাবা জাকির বয়াতী, পেশায় মাছ বিক্রেতা, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  ভর্তি  করা হয়েছে ।

জানা গেছে, নিহত ফাহিম সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে বিকেলে ধলু ফকিরের বাজারে বাবার কাছে যাচ্ছিলেন। এ সময় এলাকার চিহ্নিত বখাটে শাকিল তার গতিরোধ করে এবং কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে। 

ঘটনার সময় ফাহিমের বাবা জাকির বয়াতী এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফাহিম অভিযুক্ত শাকিলকে “গাঁজাখোর” বলে কটাক্ষ করলে দুইজনের মধ্যে প্রথমে কথার লড়াই ও পরে হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। 

এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তখনই শাকিল ধারালো ছুরি দিয়ে ফাহিম ও তার বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।

ফাহিমের পায়ের রগ কেটে যাওয়ায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

আহত জাকির বয়াতীকে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেলে এবং পরে বরিশালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তদের একজন সহযোগী শানুকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, পূর্বের শত্রুতার জেরে এই ঘটনাটি গলাচিপা থানা এলাকার শুরু হলেও সংঘর্ষটি ঘটে দশমিনা থানার ভেতরে। তবে উভয় পরিবারই বাউফল উপজেলার বাসিন্দা। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে এবং এ ঘটনায় দশমিনা থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সাব্বির

×