ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা যাচাইয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে নাগেশ্বরীতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৫ মে ২০১৭

মুক্তিযোদ্ধা যাচাইয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে নাগেশ্বরীতে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ নাগেশ্বরীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির দুর্নীতির অভিযোগে এবং প্রকাশিত তালিকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয় মাঠে এ সভা করে তারা। সভায় অভিযোগ করা হয় নতুন তালিকায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম টাকার বিনিময়ে অন্তর্ভুক্ত করেছে যাচাই কমিটি। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান বীরবলের সভাপতিত্বে উপজেলা কমান্ডের ডিপুটি কমান্ডার মতিয়ার রহমান নান্টু, পৌর কমান্ডার নুর মোহাম্মদ নুরু, মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন, হযরত আলী, নওশাদ হোসেন, এটিএম আজাদ আলী, মতিয়ার রহমান মতি ও সন্তোষপুর ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল খালেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, সদ্য প্রকাশিত তালিকায় হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশই স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। অনেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন শিশু ছিলেন। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন নাম অন্তর্ভুক্ত করেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। তবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাইয়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সরকার বলেন সরকারী নির্দেশনা মতো যাচাই-বাছাই শেষে তালিকা করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ জানান, হাজারেরও বেশি আবেদনকারীর মধ্যে যাচাই করে দুই শ’ ২৪ জনের নাম তালিকায় উঠেছে। বাকিদের চাওয়া থাকতে পারে। এর জন্য উর্ধতন কমিটি ‘জামুকা’ আছে। সেখানে আবেদন বা অভিযোগ করতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত ২১ মে নাগেশ্বরী উপজেলার দুই শ’ ২৪ নতুন মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ বিশ্বনাথে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়েছে। বুধবার ভোরে সদরের নতুন বাজারের টিএ্যান্ডটি রোডের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাশেদা বেগম (৩৫) বিশ্বনাথ উপজেলার মান্দারুকা গ্রামের জিতু মিয়ার স্ত্রী। জিতু মিয়া সপরিবারে উপজেলা সদরের ওই বাসায় ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জিতু মিয়া ও মাশেদা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলে আসছে। এরই জেরে বুধবার ভোরে স্ত্রী মাশেদা বেগমের সঙ্গে জিতু মিয়ার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে জিতু ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাশেদাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। মাশেদার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে দ্রুত ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাশেদাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্বনাথ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনা পর থেকে জিতু মিয়া পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
×