ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুরে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৬ মে ২০১৭

জামালপুরে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ১৫ মে ॥ ঝড়ে বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনশেড ঘরটি পড়ে যাওয়ায় জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর কাছারিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। গত ৬ মে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনশেড ঘরটি বিধ্বস্ত হলেও আজও তারা মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, গত ৬ মে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয় ঘরটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করাতে হচ্ছে। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১৫ জন। শিক্ষক রয়েছেন চারজন। ২০১৫ সালে ঝড়ে একবার ঘরটি ভেঙ্গে গেলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মাঠে ক্লাস করাতে হয়েছে কয়েক মাস। পরে এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ঘরটি পুনর্নির্মাণ করে পাঠদান চলছিল। কিন্তু আবার কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক মাহমুদা জাহান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় প্রতিদিনই ঝড়বৃষ্টি হয়ে থাকে। এ কারণে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতেও সমস্যা হচ্ছে। নওগাঁ নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল এবতেদায়ী দাখিল মাদ্রাসায় শ্রেণীকক্ষের সঙ্কটের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাটির কক্ষে চলছে পাঠদান। পরিত্যক্ত মাটির কক্ষগুলো যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বারবার অবগত করেও কোন কাজ হয়নি বলে জানান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজার রহমান জানান, আশির দশকে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে টিনশেডের মাটির তৈরি কয়টি কক্ষে শুরু হয় পাঠদান কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে মাদ্রাসার দক্ষিণ দিকে তিন কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন তৈরি করা হয় যা শিক্ষার্থীদের তুলনায় অপ্রতুল। বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী তিনশ’ জন। যার মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ২শ’ থেকে আড়াইশ’ শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করছে। মাদ্রাসায় নেই মেয়েদের জন্য আধুনিক মানসম্মত কমনরুম ও ওয়াশরুম। নেই কোন আধুনিক মানসম্মত টয়লেট-বাথরুম। বর্তমানে মাদ্রাসায় মোট ১২টি কক্ষের মধ্য ৭টি কক্ষ মাটির। যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন পাঠ গ্রহণ করছে। তিনটি অফিস কক্ষ। বাকি কক্ষগুলো পরিত্যক্ত হলেও সেগুলোতে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষকরা। দীর্ঘদিনের মরিচা ধরা টিনের ছাউনি যে কোন সময়ে ঝড়ে উড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে তারা।
×