ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিচার বিভাগের হাত পা বেধে দিলে যাবে কোথায়: ফখরুল

প্রকাশিত: ০১:৪২, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

বিচার বিভাগের হাত পা বেধে দিলে যাবে কোথায়: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের হাত পা বেধে দিলে মানুষ যাবে কোথায়? তিনি বলেন, ভারতের কাছ থেকে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দাবিতে প্রয়োজনে জাতিসংঘে যেতে হবে। বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়াউর রহমান গবেষণা পরিষদ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি অবশ্যই নির্বাচন চায়। তবে সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও সরকারের অধীনে। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন চাই। অন্য কোনো পথে নয়। সেই নির্বাচন করার জন্য জায়গা দিতে হবে। আমাদেরকে কথাই বলতে দেয়া হবে না, সভা-সমাবেশ করতে গেলে বলবে নাশকতার করার পরিকল্পনা হচ্ছে। এমন আচরণ করলে কি নির্বাচনে যাওয়া যায়? তিনি বলেন, হাওরের পানি উজান থেকে আসছে। ভারত বাঁধ দিয়ে রাখে। আর বেশি পানি হলে বাঁধ ছেড়ে দেয়। তখন বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল ডুবে যায়। পানির ন্যায্য হিস্যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পানি বণ্টনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পাওনা কোথায়? পাওনার কথা বললেই ভারতবিরোধী হয়ে গেলাম? তিনি বলেন, গঙ্গা ব্যারেজে যে বাঁধের কথা বলা হয়েছে তাও হচ্ছে না। এখন বলা হচ্ছে নো ম্যানস ল্যান্ড করার জন্য তার মানে আরও ৫০ বছর। আমার ন্যায্য অধিকার যদি কেউ হরণ করে নেয় তাহলে প্রতিবাদ করবো না? গাইবান্ধায় বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের অপরাধ তারা নাকি আন্দোলনের সময় অনেক কিছু করেছে। মামলাগুলোতে যাদের স্বাক্ষী আনা হয়েছিল কেউ বলেনি যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা জড়িত ছিল। মজার ব্যাপার হলো যাদের সাজা দেওয়া হলো তাদের সম্পর্কে বিচারকে জিজ্ঞাস করা হলো আপনি তো সব শুনলেন তাদরে অপরাধ কি ছিল, কিভারে সাজা হল? তিনি বললেন, আমার কিছু করার নেই। আমার হাত পা বাধা। জুডিশিয়ারির হাত পা যদি বেধে দেন, সাংবাদিক ভাইদের হাত পা যদি বেধে দেন দেশের মানুষ যাবে কোথায়? বিএনপির কথা বাদ দেন। দেশের মানুষের কোনো নিরাপত্তা আছে? আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন জিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাবীবুর রশিদ হাবীব প্রমুখ।
×