ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জ্ঞান ও প্রযুক্তি আর আমদানি নয়, রফতানি করতে চাই ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২১ এপ্রিল ২০১৭

জ্ঞান ও প্রযুক্তি আর আমদানি নয়, রফতানি করতে চাই ॥ শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমরা জ্ঞান ও প্রযুক্তির আমদানিকারক। কিন্তু এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জ্ঞান ও প্রযুক্তি আমদানি নয় বরং রফতানি করতে চাই আমরা। সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে। জাতিসংঘ বলেছিল, ২০১৫ সালের আগে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ছেলেমেয়ের সমতা নিশ্চিত করতে। আমরা তারও তিন বছর আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে সমতা নিশ্চিত করেছি। বর্তমানে ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে মেয়েরাও উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা ৪৫ ভাগ মেয়ে। বর্তমান সরকার দেশে ৪০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং ৪৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাবরেটরি করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখায় সমানভাবে বিচরণ করতে পারে, সেটাই আমরা নিশ্চিত করছি। অসৎ শিক্ষকদের সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সিংহভাগ শিক্ষকই মাথার মণি। কিন্তু কিছু লোক শিক্ষক নামের কুলাঙ্গার। এরা ক্লাসের বাইরে টাকা নিয়ে পড়ায়, এরা প্রশ্নফাঁসে জড়িত। তাই তারা ধরাও পড়ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়, নিয়মের মধ্যে রাখতে চায়। এর অন্যতম শর্ত হচ্ছে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া। আমরা সকল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে চাপ দিচ্ছি, সময় বেঁধে দিচ্ছি। ইতোমধ্যেই ২৭ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস চালু করেছে। কয়েকটি ছাড়া সব বিশ্ববিদ্যালয়ই স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হলে শর্ত মেনে চালাতে হবে। শর্ত পূরণ না করে কেউ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে পারবে না। সিলেটের বটেশ্বর এলাকায় ৮ একর জমির ওপর গড়ে উঠছে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির অত্যাধুনিক স্থায়ী ক্যাম্পাস। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ সালেহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসের জমির পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছি আমরা। আমি আনন্দিত, আমাদের নির্ধারিত জমির চেয়ে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি প্রায় দ্বিগুণ বেশি জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস করছে। মন্ত্রী আরও বলেন, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ধনী লোকেরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় খুলে এক সময় মুনাফা করেছে। সার্টিফিকেট বিক্রি করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সেই ধারা বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার চায়, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় যেন মান ও আস্থার দিক থেকে উন্নত পর্যায়ের হয়।
×