ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার কোহলি

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৬ এপ্রিল ২০১৭

উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার কোহলি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রচ্ছদে জায়গা করে নিয়েছিলেন আগেই, এবার ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ খ্যাত উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ নির্বাচিত হলেন বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতেÑ নেতৃত্বে অসাধারণ বছর কাটানোর আরও একটি স্বীকৃতি এটি। তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার হলেন দেশটির তিন ফরমেটের বর্তমান অধিনায়ক। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে এ অর্জন ছিল বীরেন্দর শেবাগের, পরের বছর গৌরবময় অর্জনে নাম ওঠে গ্রেট শচীন টেন্ডুলকরের। ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করা কোহলি ২০১৬ স্বপ্নের বছর পার করেন। টেস্টে ৭৫, ওয়ানডেতে ৯২ এবং টি২০তে ১০৬ গড়, সত্যি অবিশ্বাস্য। আড়াই হাজারের বেশি রান করেছেন, দলকেও টেস্টের শীর্ষস্থান এনে দিয়েছেন তিনি। কোহলি ছাড়া মিসবাহ-উল হক এবং ইউনুস খানও ভিন্ন ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছেন। উইজডেন ক্রিকেটার্স এ্যালমানাকের সম্পাদক লরেন্স বুথের ভাষায়, ২০১৬ সালটা ছিল ‘কোহলির স্বপ্নের বছর।’ লিডিং ক্রিকেটার নির্বাচন করতে তাই খুব বেশি ভাবতে হয়নি তাকে। বছরের শেষভাগে ইংল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারানোর পথে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন কোহলি। ৮ ইনিংসে ১০৯.১৬ গড়ে করেন ৬৫৫ রান। এর মাঝে মুম্বাইয়ে ২৩৫ রানের ইনিংসটির কথা এত দ্রুত ভোলার কথা না কারও। লরেন্সের স্বীকৃতি ‘কোহলি-শচীনের প্রকৃত উত্তরসূরি।’ কোহলি ছাড়াও আরও দুই এশিয়ানের জায়গা হয়েছে এবারের এ্যালমানাকে। ইংল্যান্ডে দুটি ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে পাঁচজন ক্রিকেটারের মাঝে আছেন দুই পাকিস্তানী মিসবাহ-উল-হক ও ইউনিস খান। বাকি তিনজন অবশ্য ইংল্যান্ডেরই। ২০১৬ সালে ইংলিশ পেস আক্রমণের ভরসায় রূপ নেয়া ক্রিস ওকস তো আছেনই। তার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষিক্ত বেন ডাকেটও। মৌসুমে ২৭০৬ রান করা ডাকেটের সঙ্গী হ্যাটট্রিক করে মিডলসেক্সকে কাউন্টি জেতানো পেসার টবি রোনাল্ড-জোনস। উইজডেনকে বলা হয় ক্রিকেটের বাইবেল। খেলাটির সবচেয়ে পুরনো এই রেফারেন্স বইয়ের প্রচ্ছদে খুব বেশি ক্রিকেটারের জায়গা হয়নি। প্রথম ভারতীয় হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকর, সেটি খেলা ছাড়ার পরে, ২০১৪ সালে। আর গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালেই উইজডেন ক্রিকেটার্স এ্যালমানাকের প্রচ্ছদে জায়গা করে ইতিহাস গড়েন কোহলি। ক্রিকেট পাগল ভারতীয়রা তার মাঝে মাস্টার ব্লাস্টারের ছাঁয়া দেখেন, অনেকের মতে তিনিই একদিন শচীনের রেকর্ড ভেঙ্গে দেবেন, মীমাংসাটা সময়ের হাতে তোলা থাকছে। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৮ বছরের কোহলি যে বিশ্বকে মোহিত করে চলেছেন, সন্দেহ নেই। এই বয়সে ক্রিকেট-বাইবেলের প্রচ্ছদে জায়গা করে নেয়া শ্রেষ্ঠত্বের বড় স্বীকৃতি। ২০১৭ উইজডেন এ্যালমানাকের আগুন-হলুদ রঙের প্রচ্ছদে সুপার কোহলিকে রিভার্স সুইপের ভঙ্গিতে দেখা যাচ্ছে। উইজডেন সম্পাদক লরেন্স বুথ যেটিকে একজন আধুনিক তারকার প্রতিচ্ছবি হিসেবেই দেখছেন, ‘এই ছবি বোঝাচ্ছে কোহলি আপাদমস্তক একজন আধুনিক ক্রিকেটার।’ উইজডেনকে মনে করা হয় ক্রিকেটের শুদ্ধতার ধারক ও বাহক। সবমিলিয়ে বয়স তিরিশ ছোঁয়ার আগেই সুপার কোহলি হাজারও তরুণের আইডল। এ্যালমানাকের প্রচ্ছদে জায়গা দেয়ার পাশাপাশি ১৮৮৯ সাল থেকে উইজডেন-পর্ষদ তাদের নিজেদের বিবেচনায় বর্ষসেরা ক্রিকেটারও নির্বাচন করে আসছে।
×