ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতিসংঘ পরমাণু আলোচনা

পরমাণু চুক্তিতে সব দেশের সই করা উচিত

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৮ মার্চ ২০১৭

পরমাণু চুক্তিতে সব দেশের সই করা উচিত

বড় পরাশক্তিধর দেশগুলোর ‘আপত্তি সত্ত্বেও একশ’র বেশি দেশ জাতিসংঘে এই প্রথমবারের মতো পরমাণু অস্ত্র প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করবে। খবর এএফপির। এ নিয়ে গত অক্টোবরে ১২৩টির মতো দেশ ঘোষণা করেছিল, পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তিকে আইনগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনার লক্ষ্যে তারা জাতিসংঘ সম্মেলনের আয়োজন করবে। সে সময় বিশ্বের বহু ঘোষিত ও অঘোষিত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এর বিরোধিতা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও ইসরাইল এই সম্মেলনের বিরোধিতা করে ভোট দেয় এবং ভারত, চীন ও পাকিস্তান ভোট দানে বিরত থাকে। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, সারাবিশ্বে সর্বপ্রথম যে দেশটি আণবিক বোমা হামলার শিকার হয় সেই জাপানও এর বিপক্ষে ভোট দেয়। এটি সবারই জানা যে, ১৯৪৫ সালে সে দেশের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যথাক্রমে ৬ ও ৯ আগস্ট তিনদিনের ব্যবধানে দুটি এটম বোমা হামলায় সমৃদ্ধ শহর দুটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। এই সম্মেলনের উদ্যোক্তা দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সুইডেনের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। এবং তাদের এ উদ্যোগের পেছনে থেকে সমর্থন যুগিয়েছে শত শত এনজিও। জাতিসংঘে পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত আলোচনার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে তারা উত্তর কোরীয়ার যুদ্ধংদেহী নেতা কিম জং উনের সাম্প্রতি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেপাটে আচরণের কথা তুলে ধরেছেন। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের কিছু আগে এক টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ে বলেছেন যে, আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে দেব এবং শেষ পর্যন্ত আমরাই টিকে থাকব। তার এ কথার প্রেক্ষিতে অনুমান করা যায় শীঘ্রই বিশ্ব পরমাণু অস্ত্রের সম্প্রসারণ নিয়ে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। পরমাণু অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চুক্তি নিয়ে সম্মেলনে অনুদানের বিরুদ্ধে শক্তিধর দেশগুলোর ভোটদান সত্ত্বেও এর সমর্থকরা ১৯৯৭ সালে স্থলমাইনের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে আন্দোলন এবং ২০০৮ সালে ক্লাস্টার বোমা বন্ধে গৃহীত তৎপরতার সাফল্যজনক পরিণতিতে উৎসাতি হয়ে পরমাণু অস্ত্র সম্প্রসারণ বন্ধের আন্দোলন জোরদার করতে এগিয়ে এসেছেন। এ প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গট ওয়ালস্টর্ম জাতিসংঘে বলেন, আমি মনে করি যে এটি একটি দীর্ঘসময় সাপেক্ষ কাজ এ বিষয়ে অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।
×