ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সীতাকুণ্ডে শিশুসহ নিহত জঙ্গী দম্পতিকে বেওয়ারিশ দাফন

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২২ মার্চ ২০১৭

সীতাকুণ্ডে শিশুসহ নিহত জঙ্গী  দম্পতিকে  বেওয়ারিশ  দাফন

চট্টগ্রাম অফিস/সীতাকু- প্রতিনিধি ॥ সীতাকু-ে জঙ্গী সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান, এক শিশুসহ ৪ জঙ্গী নিহত এবং অপর ঘটনায় এক শিশুসহ জঙ্গী দম্পতি গ্রেফতারের ঘটনার পর ওই অঞ্চলে পুলিশসহ সকল মহলে বিভিন্ন জল্পনাকল্পনা অব্যাহত। সীতাকু-ের আমিরাবাদ এলাকার সাধন কুঠির ও প্রেমতলার ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গী আস্তানার সন্ধান লাভের পর পুলিশের সমন্বিত অভিযানে যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলো বিভিন্নভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, ছায়ানীড় ভবনে অভিযানে নিহত দম্পতি কামাল হোসেন ও জোবাইদা ইয়াসমিন এবং তাদের দুই বছরের শিশুসন্তানকে সোমবার বেওয়ারিশ হিসেবে চট্টগ্রাম শহরের চৈতন্যগলি কবরস্থানে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার কামাল ও জোবাইদার পরিবার তাদের লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে শনাক্ত করলেও গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। ফলে পুলিশ শিশুসহ ৩টি মরদেহ আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের কাছে বেওয়ারিশ হিসেবে হস্তান্তর করে। নিহত অপর দুই জঙ্গীর পরিচয় মিললেও তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন থাকায় আলামত হিসেবে তা মর্গে রাখা হয়েছে। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মঙ্গলবার পর্যন্ত আসেনি। তবে মিরপুরের মনিপুরী পাড়ায় বসবাসরত দুই পরিবারের সন্তান রাফিদআল হাসান ও আয়াত আল হাসান ছায়ানীড় ভবনে অভিযানে প্রাণ হারায়। এরা সম্পর্কে খালাত ভাই। এদিকে, সীতাকু- পুলিশ বাদী হয়ে যে ৪টি মামলা করেছে তাতে আসামি করা হয়েছে সাধন কুঠির থেকে গ্রেফতারকৃত দম্পতি জসিম ওরফে জহিরুল ইসলাম ও আরজিনা বেগমকে। এই দুজনই নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারি ইউনিয়নের বাসিন্দা। আরজিনা রোহিঙ্গা নারী হিসেবে চিহ্নিত। এদের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারিতে ইতোপূর্বে বৌদ্ধভিক্ষু ও আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাকা-ের ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি মামলায় পৃথক পৃথকভাবে ১২ দিনের রিমান্ড চলছে। অপরদিকে, সীতাকু-ের ছায়ানীড় ভবনে সোমবারের পর থেকে আর কিছু পাওয়া যায়নি। জঙ্গীদের আস্তানার সেই ফ্ল্যাটটি এখন সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ। তবে পুলিশী নজরদারি রয়েছে। সীতাকু-ে নিহত জঙ্গী ও গ্রেফতারকৃত জঙ্গী দম্পতি নব্য জেএমবির শাখা সংগঠন দাওয়াত ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত। জীবিত দম্পতি জসিম ওরফে জহিরুল ইসলাম ও আরজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গত সোমবার বিকেলে নগরীর আকবর শাহ থানাধীন দুটি বহুতলবিশিষ্ট ভবনে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু দুই ঘণ্টার অভিযানে কোন জঙ্গীকে যেমন পাওয়া যায়নি তেমনি কোন অস্ত্র বা বিস্ফোরকদ্রব্যও মেলেনি। ওই ভবন দুটিতে জঙ্গী নেতাদের আনাগোনা ছিল বলে জঙ্গী জসিম ও আরজিনা পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। আরেকটি আস্তানার তথ্যও তারা দিয়েছে। পুলিশ এ নিয়ে এখনও অভিযান পরিচালনা করেনি। আস্তানাটি কোথায় তাও গোপন রেখেছে।
×