ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পী খালিদ মাহমুদ মিঠু স্মরণ

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২০ মার্চ ২০১৭

চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পী খালিদ মাহমুদ মিঠু স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হঠাৎ করেই থেমে গেল শিল্পিত এক জীবন। বৃক্ষতলে চাপা পড়ে স্তব্ধ হলো শিল্পের সৃজন। ক্যানভাসে আঁকা হলো না আর কোন চিত্রকর্ম কিংবা তার হাতে নির্মিত হলো নতুন কোন চলচ্চিত্র। এভাবেই অদেখার ভুবনে পাড়ি জমালেন চিত্রশিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা খালিদ মাহমুদ মিঠু। শিল্পের মাধ্যমেই স্মরণ করা হলো এই শিল্পীকে। ধানম-ির গ্যালারি টোয়েন্টিওয়ানে শুরু হলো- তাকে নিবেদিত এ্যামিটি শিরোনামের যৌথ এক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। রবিবার চৈত্রের সন্ধ্যায় এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। যৌথভাবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামসুল হক, প্রখ্যাত শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভিন মাহমুদ। প্রয়াত শিল্পী খালিদ মাহমুদ মিঠুকে উৎসর্গ ও স্মরণ করে প্রদর্শনীটির আয়োজন করে গ্যালারি টোয়েন্টিওয়ান। গত বছর থাইল্যান্ডে এ্যামিটি বা বন্ধুত্ব শিরোনামের প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হয়। আর ঢাকায় বসেই সে প্রদর্শনীর আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন খালিদ মাহমুদ মিঠু। প্রদর্শনীটি ছিল বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড শিল্পীদের প্রথম যৌথ প্রযোজনা। যার ব্যবস্থাপনা ছিল থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাস ও ব্যাংকক অব লিভিং আর্টস। দেশের নয় শিল্পীর রং-তুলির আঁচড়মাখা চিত্রকর্মে সাজানো সেই প্রদর্শনীটি এখন উপস্থাপিত হলো ঢাকায়। আর এ শিল্পের আয়োজনে শরীরী অস্তিত্বের পরিবর্তে মননের আলোড়নে হাজির হলেনÑ অকালে প্রয়াত শিল্পী মিঠু। যেখানে রয়েছে তার চিত্রিত চিত্রকর্ম। প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদশের বিশিষ্ট নয় শিল্পীর সৃজিত ৩৪টি চিত্রকর্ম। যেসব শিল্পীর আঁকা ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রদর্শনী তারা হলেনÑ অধ্যাপক ফরিদা জামান, আফরোজা জামিল কনকা, শামীম সুব্রানা, সামিনা নাফিস, কনক চাঁপা চাকমা, কামরুজ্জামান স্বাধীন, খালিদ মাহমুদ মিঠু, সালমা জাকিয়া বৃষ্টি ও ফারজানা রিপা। প্রদর্শনীটি চলবে আগামী পয়লা এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ‘মানবিক সৌন্দর্যের জন্য কবিতা’ ॥ উগ্রবাদের ভয়াল থাবা যখন বিস্তৃত তখন মানবতার ডাক দিলেন কবিরা। শান্তির বারতা নিয়ে ছুটে গেলেন পাহাড়ি জনপদে। ‘মানবিক সৌন্দর্যের জন্য কবিতা’ শিরোনামে কবিতার শান্তিযাত্রায় এগিয়ে গেলেন কবিরা। রবিবার রাতে রাজধানীর মালিবাগ থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয় এ শান্তিযাত্রা। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। তিনি জানান, কবিতা বাংলার আয়োজনে এবার কক্সবাজারের অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনের দরিয়ানগর কবিতা মেলা। সোমবার সকালে কক্সবাজার শহীদ মিনারে শুরু হবে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তি বার্তা পাঠ করবেন কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। বেলা সাড়ে ১১টায় হুদা কবিতা মঞ্চে শুরু হবে কবিতা পাঠ। তারপর সমুদ্রপাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে বেড়াবেন কবিরা। শোনাবেন মানবিকতার কবিতা। মৌলবাদের আগ্রাসনে ক্ষতবিক্ষত গ্রাম ঘুরে দেখবেন তারা। কথা বলবেন স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে। বিকেলের পর্বটি হবে কক্সবাজার কালচারাল সেন্টারে। সেখানে কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, গান ও নাটিকা প্রদর্শনীর আয়োজন থাকবে বলে জানান আয়োজকরা। মঙ্গলবারের আয়োজনটি হবে বায়তুস শরাফ মিলনায়তনে। সকাল নয়টা থেকে চলবে কবিতা পাঠ পর্ব। তারপর থাকবে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান পর্ব। এদিন সকালের আয়োজন শেষ করে কবিরা যাবেন রামুর বৌদ্ধপল্লীতে। মৌলবাদীদের আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত সেই জনপদে কবিরা বেশ কিছুক্ষণ কাটাবেন। পরে বিকেলের পর্বে বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষে কবিতা চত্বরে বসবে কবিতা পাঠের আসর। অনুষ্ঠান শেষ হবে শান্তিবার্তা পাঠের মাধ্যমে। কবিদের যাত্রার আগে রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারিতাস অডিটরিয়ামে কবিরা একত্রিত হন। অনুষ্ঠানে কবিতা বাংলার নতুন সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন কবিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেনÑ কবি আসাদ মান্নান। সভাপতিত্ব করেন কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। অংশ নিয়েছিলেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, কবি ঝর্ণা রহমান, ফরিদ আহমেদ দুলাল। অন্ষ্ঠুানে উৎসব ঘোষণা পাঠ করেন কবি ইসহাক খান।
×