ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে কেউ দুর্নীতি করার সাহস পাবে না

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৫ মার্চ ২০১৭

জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে কেউ দুর্নীতি করার সাহস পাবে না

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৪ মার্চ ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যদি দুর্নীতি না করেন, তাহলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ দুর্নীতি করার সাহস পাবে না। জনপ্রতিনিধিদের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মানুষের স্বার্থে এলাকার উন্নয়নে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এজন্য তিনি জনগণকেও সকল নির্বাচনে বুঝেশুনে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। মঙ্গলবার বিকেলে হাওড় অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম উপজেলার খেলার মাঠে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের কাছ থেকে যেমন মানুষের টাকা গ্রহণ করা উচিত নয়, তেমনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও মানুষের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া সমুচিত হবে না। রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেনÑ মোঃ আফজাল হোসেন এমপি, এ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দারী বাচ্চু, অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস প্রমুখ। এ সময় রাষ্ট্রপতির সামরিক ও প্রেস সচিব, বঙ্গভবনের সামরিক-বেসামরিক অন্যান্য কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হাওড়ের ভৌগোলিক অবস্থানের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ১৯৬৯ সালের ছাত্র রাজনীতি থেকে এলাকার মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা। প্রায় ৬০ বছর ধরে রাজনৈতিক জীবনে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের পশ্চাৎ হাওড়াঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীতকরণসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কেননা ছাত্রজীবন থেকেই দেখেছি হাওড়ের লোকজনকে শহরাঞ্চলের লোকেরা অবজ্ঞা-অবহেলা করত। তাই তখন থেকেই মনে কষ্ট অনুভব করাসহ এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়েছি। এক সময় এ অঞ্চলে মানুষ মারা গেলে পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হতো। এখানে কোন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। বিয়ে-শাদীর ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পাস ছেলেমেয়ে পাওয়া যেত না। এ অঞ্চলের লোকজনের সরকারী চাকরি হতো না। এক ফসলি জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হতো। রাস্তাঘাট ছিল না। এ অবস্থায় ১৯৬৯ সালে প্রথম নির্বাচনে পাস করার পর থেকে অদ্যাবধি এ অবহেলিত হাওড়বাসীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এ সময় তিনি তৎকালীন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দুই বছর দুই মাস জেল খাটার কথা উল্লেখ করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি ‘অষ্টগ্রাম রোটারি ডিগ্রী কলেজ’-এর ২৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তৃতা করেন। সেখান থেকে তিনি অষ্টগ্রামের খেলার মাঠে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে জনতার উদ্দেশে বক্তৃতা করেন। ওই দিন তিনি অষ্টগ্রাম ডাকবাংলোয় রাতযাপন করেন। আজ বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে অষ্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরির্দশন করে বেলা সাড়ে ১১টায় অষ্টগ্রাম হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে করে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হবেন রাষ্ট্রপতি।
×