ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

প্রকাশিত: ০৮:৩২, ২ মার্চ ২০১৭

এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সরকারী-বেসরকারীখাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারীখাতের অংশগ্রহণ থাকতে হবে ৭০ ভাগ। বাকি ৩০ ভাগ সরকার বাস্তবায়ন করবে। এজন্য এখন থেকেই সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, আঞ্চলিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং পিপিপি’র কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে নতুন নতুন খাত তৈরির সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। বুধবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এসডিজি থেকে বেসরকারীখাতের ব্যবসায়িক সম্ভাবনার কৌশল নির্ধারণ’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন। পাওয়ার এ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে ওই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। ডিসিসিআই’র সভাপতি আবুল কাসেম খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও এসডিজি বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা আসিফ ইব্রাহীম। আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারীখাত ও সরকারের অংশীদারিত্ব যথাক্রমে ৭০ এবং ৩০ ভাগ। তাই এক্ষেত্রে বেসরকারীখাতের অংশগ্রহণ একান্ত অপরিহার্য। তিনি বলেন, এ লক্ষ্য বাস্তাবয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে কৌশলপত্র প্রণয়নে কাজ করছে এবং আগামী এপ্রিলের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ১ হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয়ের ফলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জসমূহ ব্যবসায়ে নতুন নতুন খাত তৈরির সম্ভাবনা জাগিয়েছে। পাওয়ার এ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বিগত কয়েক দশক যাবত আমরা সারা বিশ্বে বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক অরাজকতা লক্ষ্য করছি। তিনি সত্যিকার অর্থে দারিদ্র্য বিমোচনে বর্তমানে ব্যবহৃত উন্নয়নের মডেলসমূহ সংস্কারের পরামর্শ প্রদান করেন। ড. জিল্লুর বলেন, এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। মূল প্রবন্ধে এসডিজি বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা আসিফ ইব্রাহীম বলেন, প্রাইসওয়াটারহাউজকুপারস-এর তথ্য মতে, সারাবিশ্বে ৭১ ভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এসডিজিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং ১৩ শতাংশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এসডিজি’র প্রভাব নির্ধারণে কৌশলপত্র প্রস্তুত করেছে।
×