ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে বিতর্ক

পদত্যাগ করলেন ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পদত্যাগ করলেন ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন পদত্যাগ করেছেন। নিয়োগের এক মাস না যেতেই তার পদত্যাগ ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটা ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে পদত্যাগ করলেন মাইকেল ফ্লিন। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, লে. জেনারেল জোসেফ কিথ কেলেগকে ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এদিকে ফ্লিনের পদত্যাগকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে অভিহিত করেছে রাশিয়া। খবর বিবিসি ও এএফপির। ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার আগেই ফ্লিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে ফ্লিনের বিরুদ্ধে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মাইকেল ফ্লিন নির্বাচনী প্রচারের জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। কখনও কখনও ট্রাম্পের প্রচার সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দিতেও দেখা গেছে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এ প্রধানকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ফ্লিনের রুশ যোগাযোগ নিয়ে হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, ফ্লিন রাশিয়ার ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে পারেন। ডেমোক্রেট নেতারা তখন ফ্লিনের অপসারণ দাবি করলেও ফ্লিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রুশ দূতের সঙ্গে আলোচনার কথা অস্বীকার করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও পরে ফ্লিনের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। পদত্যাগপত্রে ফ্লিন লিখেছেন, রাশিয়ার দূতের সঙ্গে তার টেলিফোন আলাপের বিষয়ে ‘অসম্পূর্ণ তথ্য’ দেয়া হয়েছিল, তবে সেটা ‘ইচ্ছাকৃত নয়’। মাইকেল ফ্লিনের পদত্যাগের বিষয়ে রাশিয়া কোন মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, ফ্লিনের পদত্যাগ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নাই। কারণ এটা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সিনিয়র ডেমোক্রেট এ্যাডাম স্কিফ বলেন, ফ্লিনের পদত্যাগের ফলে ট্রাম্পের প্রচার ও রাশিয়ার মধ্যে যে যোগাযোগ ছিল না, সে প্রশ্নের অবসান হবে না। কংগ্রেসের ডেমোক্রেট সদস্য জন কনিয়ার্স ও ইলিজাহ কামিংস মাইকেল ফ্লিনের বিষয়ে কংগ্রেসে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও এফবিআইয়ের ব্রিফিং দাবি করেছেন।
×