হকাররা ক্ষেপলে সব লণ্ড ভণ্ড হয়ে যাবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এভাবে উচ্ছেদ করে হকারদের ক্ষেপাবেন না, হকাররা যদি ক্ষেপে যায় তাহলে সবকিছু ল-ভ- হয়ে যাবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন হকার্স সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক আবুল হোসাইন। এদিকে ডিএসসিসি কতর্ৃৃপক্ষ ফুটপাথ ও সড়ক থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা ও হকার সরাতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বুধবার হকার্স উচ্ছেদ বন্ধ ও পুনর্বাসনের আইন প্রণয়নের দাবিতে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হকারদের ১৬টি সংগঠনের এই জোট। প্রসঙ্গত, রাজধানীর মতিঝিল ও গুলিস্তান থেকে উচ্ছেদের পর ধারাবাহিক কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন হকাররা। তার ধারাবাহিকতায় বুধবার বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মেয়র সাঈদ খোকনকে উদ্দেশ করে হকার্স নেতা বলেন, ফুটপাথ থেকে উঠিয়ে দেয়ার পর হকাররা খুব খারাপ সময় পার করছে। তবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে হকাররা বসে থাকবে না। হকারদের মাথা এখনও ঠা-া রয়েছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে হকার ভাইদের মাথা কতক্ষণ ঠা-া থাকবে জানি না। কারণ একটা কথা আছে, ক্ষুধার্ত মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। তাই আপনি (মেয়র) দয়া করে এই ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে ক্ষেপাবেন না। মেয়র ফুটপাথে হকারদের সন্ধ্যার পর বসতে দিতে রাজি হলেও তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে হকার্স সমন্বয় পরিষদ। এছাড়া পার্কে বসার ক্ষেত্রেও তাদের আপত্তি রয়েছে। আবুল হোসাইন বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, হকারদের ওপরও সেভাবেই নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে নির্যাতন করে হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। হকার নেতা পরিচয় দিয়ে মেয়রের সঙ্গে বৈঠককারীদের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কিছু সুবিধাবাদী নিজেকে হকার নেতা দাবি করে সুবিধা নিচ্ছে। এদের যদি হকারদের প্রতিনিধি দেখানো হয়, তাহলে হকাররা তা মানবে না। সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ থেকে মিছিল করে হকাররা। মিছিলটি স্টেডিয়াম হয়ে মতিঝিলে গিয়ে শেষ হয়। এদিকে, বিক্ষোভের মধ্যেও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। বেলা ১১টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময় গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ, জিরো পয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম, স্টেডিয়াম, মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তবে ফুটপাথে হকাররা না থাকায় কোন দোকানপাট উচ্ছেদের প্রয়োজন হয়নি। ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, মতিঝিল এবং গুলিস্তান এলাকার ফুটপাথ অনেক ফাঁকা। পথচারীরা নির্বিঘœ চলতে পারছে। তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। দক্ষিণ সিটির এ অভিযান সফল। এটি নিয়মিত চলবে।