ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাম্পাস ভাস্কর্য

স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা’ ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দু। স্বাধীনতা দিবস থেকে শুরু করে সকল জাতীয় দিবসে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পিত হয় এই বেদিতে। মনোমুগ্ধকর এ শিল্পকর্মটি দেখলে চারদিক থেকে চার রকম দৃশ্যের অবতারণা হয়। মূল ভাস্কর্যটিতে কতগুলো হাত অনেকটা আমাদের জাতীয় ফুল শাপলার পাপড়ির মতো বেষ্টন করে আছে। সর্ব উচ্চে দুটি হাত ৪টি শান্তির পায়রা উড়িয়ে দিচ্ছে। বেদিসহ মূল সৌধের পেছনে বৃত্তচাপ সদৃশ দুটি দেয়াল মূল ভাস্কর্যটিকে দুটি হাতের ন্যায় আগলে আছে। যেখানে ম্যুরাল বা টেরাকোটার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে চিত্রিত আছে আবহমান বাংলা, ’৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর ছাত্র আন্দোলন থেকে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চের কালরাত্রি, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন, আমাদের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ এবং পরিশেষে আমাদের কাক্সিক্ষত বিজয়। তাই এর শৈল্পিক সৌন্দর্য ও বিশালত্ব সকলকে আকৃষ্ট করে। ’৭১- এর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যেকটি ঘটনা এবং বিষয়ের সংখ্যাগুলোকে আয়তন এবং মেসেজের মাধ্যমে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। ভূমি থেকে ৫২ ফুট উচ্চতার মনুমেন্ট ভাস্কর্যটি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বৃত্তাকার ৬টি ধাপের ওপর মূল ভাস্কর্যটি দাঁড়িয়ে আছে, যা বাঙালীর প্রাণের দাবি ৬ দফার গণ-আন্দোলনকে প্রকাশ করে। এই ৬টি ধাপ ৭ ফুট উচ্চতায় যা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে প্রকাশ করে। ভাস্কর্যের সবচেয়ে উচ্চে নর-নারীর দুটি হাত শান্তির ৪টি কপোতকে যেন মুক্ত করে দিচ্ছে। এখানে দুটি বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে -একটি বিষয় মুক্তি বা স্বাধীনতা এবং অপরটি আমাদের ’৭২-এর সংবিধানের ৪টি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে। তাই ভাস্কর্যটি বাঙালী চেতনায় শাণিত। এর সৌন্দর্য ও বিশেষত্ব উপভোগ করতে শিক্ষার্থী ছাড়াও প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত থাকে ক্যাম্পাস। লেখা ও ছবি : মোঃ রেদোয়ান হোসেন
×