ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় কিশোরীদের পিঠা উৎসবে মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৮ জানুয়ারি ২০১৭

বগুড়ায় কিশোরীদের পিঠা উৎসবে মিলনমেলা

সমুদ্র হক ॥ নয়নপুরি পিঠা। ধৈর্য পিঠা। দুধ চক্র পিঠা। চিরুণী পিঠা। ঝিনুক পিঠা। উট পিঠা। মনময়ূরী পিঠা... প্রজন্মের কিশোরীরা নিজেরা পিঠা বানিয়ে আরও যে কত নাম দিয়েছে। এই কিশোরীরা পিঠাকে ঘিরেই বাঙালীর গভীরের চিরন্তন সংস্কৃতি তুলে ধরেছে। যা দেখে প্রবীণদের বলতেই হয়েছে- এই প্রজন্ম দেশের সম্মান হিমালয়সম চূড়ায় পৌঁছে দেবে। শনিবার বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (ভিএম স্কুল) প্রাঙ্গণে শিশু ও কিশোরী শিক্ষার্থীরা এমনই পিঠার মিলনমেলা বসিয়েছিল। প্রতিটি শ্রেণীর, স্কুলের স্বাউট ও গার্লস গাইডের স্টল ছিল পিঠা উৎসব মেলায়। স্টলগুলোতে গিয়ে মনে হলো- বাহারী ও নকশী পিঠাগুলো হাসি দিয়ে মিটিমিটি নয়ন মেলে আছে। শিশু কিশোরীরা প্রাণের উচ্ছ্বাসে কে কিভাবে কোন পিঠা বানিয়েছে কোন পিঠার নাম কি ভাবে এলো তার বর্ণনা দিচ্ছে। ছাত্রীদের আব্দারে মমতায় মাখা এমন পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন। বললেন, একাডেমিক পাঠের বাইরে শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ক্রিয়েটিভিটি, ইমাজিনেশন বাড়াতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গুরুত্ব দেয়া হয় ছাত্রীদের এক্সট্রা কারিকুলাম এ্যাকটিভিটিজকে। যাতে তারা আগামীর পথে এগিয়ে যেতে পারে। এই পিঠা মেলার সঙ্গে স্কুলের মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। যেখানে শিক্ষার্থীরা গান কবিতা আবৃত্তি নাটক নাচ পরিবেশন করে। পিঠা মেলাকে ঘিরেই বই পড়া প্রতিযোগিতা থাকে। এতে সহযোগিতা দেয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। পিঠা উৎসবে স্টলের সুন্দর নামগুলো ছাত্রীদের দেয়া। যেমন পিঠা প্রীতি, রসের পিঠা বাড়ি, পিঠার উনুন, পিঠার হাড়ি...নানা নাম। পিঠার নাম নয়নপুরি হলো কেন! এ প্রশ্নে নবম শ্রেণীর রাফিয়া বললে, দেখছেন না পিঠা নয়ন মেলে আছে তাই নয়নপুরি। একেবারে নিজস্ব বুদ্ধিতে ঝটপট উত্তর। আগের রাতে নানী ও মা তাকে হাতেকলমে পিঠা বানানো শিখিয়েছেন। সে ফুল পিঠা, ডিম সুজি মিষ্টি ও ঝাল কুশলী পিঠা এনেছে।
×