ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পিতা-পুত্র ও সহোদর কাউন্সিলর প্রার্থী

নির্বাচনের টুকিটাকি

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

নির্বাচনের টুকিটাকি

সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডে পিতা হাজী মোঃ ইউনুছ মিয়া ও পুত্র ওমর ফারুক কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। পিতা ইউনুছ মিয়ার প্রতীক ‘লাটিম’ ও পুত্র ওমর ফারুকের প্রতীক ‘ঝুড়ি’। তবে পিতা ইউনুছ মিয়ার কোন পোস্টার নির্বাচনী মাঠে এখনও দেখা যায়নি। স্থানীয়রা বলছে, পিতা ইউনুছ মিয়া পুত্র ওমর ফারুকের ডামি প্রার্র্থী। তাই তিনি প্রচার করছেন না। তিনি পুত্রের পক্ষেই ভোট চাইছেন বলে জানা গেছে। পুত্র ওমর ফারুক নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তার পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো ১নং ওয়ার্ড এলাকায়। এদিকে একই ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ আব্দুর রহিম এবারও কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছে। তার প্রতীক ‘মিষ্টি কুমড়া’। অন্যদিকে একই ওয়ার্ডে তার আপন ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম নতুন করে এবার কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তার প্রতীক ‘ঘুড়ি’। আব্দুর রহিম ও সিরাজুল ইসলাম তাদের পোস্টার দিয়ে ১নং ওয়ার্ড এলাকা ছেয়ে ফেলেছেন। দু’জনেই ভোট চেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। দিন-রাত চালাচ্ছেন গণসংযোগ। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। দু’ভাই কাউন্সির প্রার্থী হওয়ায় তাদের আত্মীয়-স্বজনরাও দ্বিধাবিভক্তি হয়ে পড়েছেন। তাদের প্রতিবেশীরাও পড়েছেন বেকায়দায়। ৫ বছরে আইভী যা করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী মেয়র থাকাকালীন গত ৫ বছরে ৬৬৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৩ টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। ২০১১ সালে গঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী। ডাঃ আইভী এবার আওয়ামী লীগ দলের মেয়র প্রার্থী। আগামী ২২ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে আইভীর পক্ষে একটি ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনার পাশাপাশি বিগত ৫ বছর উন্নয়নের কর্মকা- নিয়ে একটি নির্বাচনী প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। বিলি করা প্রচারপত্র সূত্রে জানা গেছে, ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী ৬৬৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৩ টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। এর মধ্যে অনেক প্রকল্প শেষ হয়েছে। কিছু প্রকল্প নির্মাণাধীন ও প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পও রয়েছে। যেসব প্রকল্প সম্পন্ন করা হয়েছে সেগুলো হলো- ১০ নং ওয়ার্ডে নগর মাতৃসদন হাসপাতাল, ১৩ নং ওয়ার্ডে সিটি কবরস্থান জামে মসজিদ, একই ওয়ার্ডে মাধবীলতা সিটি প্লাজা-১, ১৫ নং ওয়ার্ডে পদ্ম সিটি প্লাজা ১ ও ৩, একই ওয়ার্ডে আলাউদ্দিন খান স্টেডিয়াম, ২১ নং ওয়ার্ডে মাতৃসদন হাসপাতাল, ২৫ নং ওয়ার্ডে লক্ষণখোলা ঈদগাহ মাঠ এবং পঞ্চবটি এলাকায় এ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্ক। নির্মণাধীন প্রকল্পগুলো হলো- ৫ নং ওয়ার্ডে সিটি কমিউনিটি সেন্টার কাম এ্যাপার্টমেন্ট, ১৩ নং ওয়ার্ডে মাধবীলতা প্লাজা-২, ১৫ নং ওয়ার্ডে ১০ তলা নগর ভবন, ১৬ নং ওয়ার্ডে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব লেক/পার্ক, একই ওয়ার্ডে আলী আহাম্মদ চুনকা সিটি পাঠাগার ও মিলনায়তন, দোয়েল সিটি প্লাজা- ১ ও ২, ১৭ নং ওয়ার্ডে শিমুল সিটি প্লাজা-১ ও ২৫ নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ লক্ষ্মণখোলা জামে মসজিদ। এছাড়াও প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ৮ নং ওয়ার্ডে দোলনচাঁপা সিটি প্লাজা-১, ১২ নং ওয়ার্ডে ২৫ তলা শাপলা সিটি প্লাজা-১, ১৫ নং ওয়ার্ডে ২০ তলা অপরাজিতা সিটি সেন্টার ও ১৬ নং ওয়ার্ডে বাবুরাইল খাল উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্প। এদিকে গত ২০১১-২০১২ অর্থ বছর থেকে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের নবেম্বর পর্যন্ত ২০৮ দশমিক ৭৮৩ কিলোমিটার রাস্তা, ৪৭ দশমিক ৭২ কিলোমিটার ফুটপাথ ও ১৭৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে ১৯-২১ নং ওয়ার্ডে মদনগঞ্জ পাওয়ার গ্রীড থেকে ত্রিবেনী ব্রিজ পর্যন্ত কার্পেটিং দ্বারা ১০০ ফুট প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ কাজটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে সংযুক্ত ৩৩টি শাখা রাস্তার কাজ সমাপ্ত হয়েছে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৭ হাজার ৬৫৪ মিটার, ফুটপাথ ২ হাজার ১৪৮ মিটার ও ড্রেন ৮ হাজার ৮২ মিটার। রাস্তাটির প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ২৯ কোটি ২৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। ব্যয়িতব্য টাকার পরিমাণ ২৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রাস্তাটি নির্মাণের ফলে ১৯, ২০, ২১ নং ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা মুক্তসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। রাস্তায় এলইডি লাইট স্থাপন ॥ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে ৮ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬০ কি.মি. ও সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ৮ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬০ কি.মি. করে মোট ১৭ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ১২০ কি.মি. সড়কে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় কদমরসুল অঞ্চলে ২ হাজার ৬৫৮টি, সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ২ হাজার ৭৭টি এবং নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ১৭১টিসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৪৮৬টি এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। কবরস্থান ও শ্মশান উন্নয়ন ॥ ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৮ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত প্রতিটি কবরস্থানে এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। ৯ নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি কবরস্থানে মাটি ভরাট ও এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। ১৩ নং ওয়ার্ডের মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানের রাস্তা, বাতি ও লাশঘর নির্মাণ করা হয়েছে এবং শ্মশানে দ্বিতল বিশিষ্ট মূল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ১৭ নং ওয়ার্ডের কবরস্থান ও ছোট কবরস্থানে এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। ১৯ নং ওয়ার্ডে মদনগঞ্জ কবরস্থানে সীমানা প্রাচীর, এলইডি বাতি স্থাপন, লাশঘর নির্মাণ এবং ঘাটলাসহ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। ২৩ নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ কবরস্থানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতাল ॥ দরিদ্র নারী ও পুরুষের বিনামূল্যে সেবা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ৪টি নগরে মাতৃসদন হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০ নং ও ২১ ওয়ার্ডে অবস্থিত ২টি মাতৃসদন হাসপাতাল নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ১৬ ও ২৫ নং ওয়ার্ডে হাসপাতালের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ।
×