ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনাকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চিটাগাং

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

খুলনাকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চিটাগাং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম পাঁচ ম্যাচের মধ্যে ৪টিতেই হেরেছিল চিটাগাং ভাইকিংস। টানা চার ম্যাচে হেরেছিল। এর পর যে জেতা শুরু করে, টানা পাঁচ ম্যাচে জয় তুলে নেয়। মঙ্গলবার খুলনা টাইটান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এমনকি পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানেও উঠে যায় চিটাগাং। ১২ পয়েন্ট নিয়ে খুলনাকে দ্বিতীয় স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে নামিয়ে দেয় চিটাগাং। খুলনার করা ১৩১ রান অতিক্রম করতে গিয়ে তামিম ইকবালের অপরাজিত ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮.৪ ওভারে ১৩৫ রান করে জয় পায় চিটাগাং। চিটাগাংয়ের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। তামিম-গেইল মিলে চার-ছক্কা হাঁকাতে থাকেন। কিন্তু যেই দল ৩৯ রানে যায়, গেইল ১৯ রান করে আউট হয়ে যান। এর পর ৫৪ রানেই ৩ উইকেটের পতন ঘটে যায়। এর মধ্যে দলের ৪৭ রানের সময় ২৪ রানে থাকা তামিম ইকবাল একবার ‘নতুন জীবন’ও পান। শুভাগত হোম চৌধুরী ক্যাচ ধরতে পারেননি। না হলে ৪ উইকেটের পতন ঘটে যেত। চিটাগাংও বিপাকে পড়ে যেত। আর ১০ রান যোগ হতেই যখন জাকির আউট হয়ে যান তখন চিটাগাংয়ের ঘাড়ে বিপত্তি যোগ হয়। সেই বিপত্তি দূর করেন তামিম। অনেক ধৈর্য ধরে খেলে ৪৯ বলে অর্ধশতক করেন। তার অর্ধশতকের সময়ই চিটাগাংয়ের স্কোরবোর্ডে ১০০ রানও জমা হয়। জহুরুল ইসলাম অমিকে নিয়ে জয়ের দিকে এগিয়েও যেতে থাকেন। ৩৭ রানের জুটি হতেই অমি (২২) আউট হয়ে যান। তখন ১০১ রান ছিল। চিটাগাংয়ের জিততে ২৪ বলে ৩০ রানের দরকার ছিল। এমন সময় ব্যাট হাতে নামেন মোহাম্মদ নবী। যিনি চিটাগাংয়ের সবচেয়ে বড় ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ১৮ বলে জিততে ২৫ রানের দরকার ছিল। এমন সময় নবীর ক্যাচটি ধরতে ব্যর্থ হন শুভাগত। ক্যাচটি ধরলে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যেত চিটাগাং। শেষ পর্যন্ত তামিম ও নবী মিলেই ম্যাচ জিতিয়ে দেন। ১৩৫ রান করে জিতে যায় চিটাগাং। ৫৯ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রান করেন তামিম। নবী অপরাজিত ১৭ রান করেন। বরাবরের মতো এবারও ব্যাটিংয়ে খুলনা খারাপ নৈপুণ্য দেখানো বজায় রেখেছে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একটি তরতাজা ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। ৩৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা। এরপর তো মনে হয়েছিল, ১০০ রান করাই খুলনার জন্য কঠিন। কিন্তু ঠিকই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ১৩০ রানে চলে যায় খুলনা। ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৩১ রান করে খুলনা। পঞ্চম উইকেটে গিয়ে মাহমুদুল্লাহ ও আরিফুল হক মিলে যে ৪৪ রানের জুটি গড়েন, এই জুটিতেই রক্ষা হয় খুলনার। ৮২ রানে আরিফুল (১৮) আউটের পর তো ৯৫ রানে মাহমুদুল্লাহও সাজঘরে ফেরেন। তবে আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। যে ইনিংস মাজা ভেঙ্গে যাওয়া খুলনার ইনিংসকে মজবুত করে তোলে। সপ্তম উইকেটে গিয়ে ১৮ রান করা নিকোলাস পুরান ও ১৫ রান করা কেভন কুপার মিলে ৩২ রানের জুটি গড়েই দলকে ১৩০ রানের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু গেইল-তামিমদের সামনে কী এ রানে জয় সম্ভব? সম্ভব হয়নি। প্রথম লেগে খুলনা জিতলেও এবার জিততে পারেনি। এবার চিটাগাংয়েরই জয় হয়েছে। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানেও উঠে এসেছে চিটাগাং। স্কোর ॥ খুলনা টাইটান্স-চিটাগাং ভাইকিংস ম্যাচ টস ॥ খুলনা (ব্যাটিং)। খুলনা ইনিংস ১৩১/৮; ২০ ওভার (ওয়েসেলস ২০, তাইবুর ১, কাপালী ৩, শুভাগত ২, মাহমুদুল্লাহ ৪২, আরিফুল ১৮, পুরান ১৮, কুপার ১৫, মোশাররফ ১*, জুনায়েদ ০*; ইমরান ২/১৬, তাসকিন ২/২৮)। চিটাগাং ইনিংস ১৩৫/৫; ১৮.৪ ওভার (তামিম ৬৬*, গেইল ১৯, বিজয় ৩, মালিক ১, জাকির ৩, জহুরুল ২২, নবী ১৭*)। ফল ॥ চিটাগাং ভাইকিংস ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা ॥ তামিম ইকবাল (চিটাগাং ভাইকিংস)।
×