ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দোষীদের বহিষ্কার ও শাস্তির আশ্বাসে বুয়েটে আন্দোলন আপাতত স্থগিত

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

দোষীদের বহিষ্কার ও  শাস্তির আশ্বাসে বুয়েটে আন্দোলন আপাতত স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অপরাধীদের বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবারের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে পরবর্তীদের কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে। এদিকে এই সময়ের মধ্যেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রদান ও তার আলোকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেছেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে সব রহস্য বের হয়ে আসবে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এর আগে তেহারি খাওয়ানো নিয়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে বুয়েটজুড়ে। রবিবার শিক্ষার্র্থীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে অশান্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। ঘটনার জন্য দায়ীদের অবিলম্বে বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে প্রগতিশীল সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস বর্জন করে মূল ফটকসহ সব ভবনে তালা লাগিয়ে দেয়। সোমবার ঘোষণা দিয়ে আবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। শিক্ষার্থীরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বদরুজ্জামান ও তানভীর মঞ্জুরকে ঘটনার জন্য দায়ী করে আবারও বলেছেন, অনুষ্ঠানের দায়িত্ব এই শিক্ষকদের ছিল। তারা ইচ্ছে করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ‘এই’ তেহারি খাইয়েছেন। শিক্ষার্থীরা সাতদিনের মধ্যে অপরাধীদের বহিষ্কার ও বিচার দাবি করে বলেছেন, অন্যথায় লাগাতার আন্দোলনে যাওয়া হবে। তারা বলেছেন, বুয়েটে সাম্প্রদায়িকতা চলবে না, জঙ্গীবাদ চলবে না, খাসির কথা বলে গরুর মাংস কেন, জবাব চাই দিতে হবে। কয়েক শিক্ষার্থী জানান, শনিবার রাতে ‘সিভিল সামিট’ অনুষ্ঠান শেষে রাতের আয়োজকরা তেহারি বিতরণ করেন।
×