স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়েন রুনির আগের সেই ধার এখন আর নেই। ধীর হয়ে গেছে তার পা। এখনও কিভাবে খেলছেন তিনি? চারপাশ থেকেই এমন সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইংলিশ স্ট্রাইকার। কিন্তু এখনও যে ফুরিয়ে যাননি সুযোগ ফেলেই তার প্রমাণ দিচ্ছেন ওয়েন রুনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইংলিশ স্ট্রাইকার এখনও দুর্বার। বৃহস্পতিবার তাই করে দেখালেন আরেকবার। উয়েফা ইউরোপা লীগে ফেইনুর্ডের বিপক্ষে এদিন তার গোলেই প্রথম এগিয়ে যায় ইংলিশ জায়ান্টরা। ম্যাচ শুরুর ৩৫ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে সমর্থকদের উল্লাসে ভাসার উপলক্ষ এনে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার দল সহজ জয় (৪-০) নিয়েই মাঠ ছাড়ে।
ফেইনুর্ডের বিপক্ষে গোল করে নতুন একটি রেকর্ডও গড়েন ওয়েন রুনি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে তিনিই এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সবচেয়ে সফল ক্লাব রেড ডেভিলদের হয়ে তার গোলসংখ্যা এখন ৩৯। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ৩৮ গোল করে এতোদিন এই রেকর্ডটাকে নিজের করে রেখেছিলেন সাবেক ডাচ তারকা রড ভ্যান নিস্টলরয়। ইউনাইটেডের জার্সিতে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন রায়ান গিগস। তার গোলসংখ্যা ২৯। ২৮ ও ২৬ গোল নিয়ে এই তালিকার চার ও পাঁচ নম্বরে রয়েছেন যথাক্রমে ডেনিস ল এবং পল স্কোলস।
শুধু ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাতেই নয়, ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ গোলদাতারই খুব দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন রুনি। আর মাত্র এক গোল করতে পারলেই রেড ডেভিলদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে থাকা স্যার ববি চার্লটনের রেকর্ডে ভাগ বসাবেন রুনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার চার্লটনের গোলসংখ্যা ২৪৯। দুটি গোল করতে পারলেই সাবেক এই কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়বেন ৩১ বছর বয়সী রুনি। এর আগে চার্লটনকে টপকেই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতার মালিক হন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়ক রুনি।
ইংল্যান্ডের প্রস্তাব!
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অলাভজনক হওয়ায় এবং ওয়ানডে ও টি২০’র সঙ্গে ভারসাম্য আনতে আইসিসিকে টেস্টের সংখ্যা কমানোর প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন এই প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন এখন অস্ট্রেলিয়ায়। তিনিই জানিয়েছেন, এটি জুনে লন্ডনের বার্ষিক সভায় পাস হতে পারে। তাহলে ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবছর খেলা টেস্টের সংখ্যা কমে আসবে। রিচার্ডসনের ব্যাখ্যা, ‘আমরা আসলে মাত্রাতিরিক্ত টেস্ট না খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। কারণ অনেক দেশ টেস্ট দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয় না। তাই অপ্রয়োজনীয় টেস্টের বোঝা কারও ওপর চাপাতে চাই না। এখন বছরে ৪৫-৫০ টেস্ট খেলা হয়। আমরা এই সংখ্যাকে বছরে ৩৫-৪০ করতে চাই। ওয়ানডে এবং টি২০’র কথাও ভাবতে হবে। আসলেই বেশি বেশি ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। আমরা কম ক্রিকেট চাই, কিন্তু ভাল মানের এবং যৌক্তিক।’ আইসিসি প্রাথমিকভাবে টেস্টে দুটি স্তর করার কথা ভাবছিল। তাতে ১০ টেস্ট দলের শীর্ষ পর্যায়ে থাকা দেশ প্রথম এবং অন্যরা দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যেত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: