ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সবচেয়ে লম্বা বিড়াল

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১২ নভেম্বর ২০১৬

সবচেয়ে লম্বা  বিড়াল

শখ করে অনেকেই কুকুর-বিড়াল পোষেণ। বিশেষ করে যারা বিড়াল পোষেণ তাদের অবশ্য বিড়ালের জন্য খুব বেশি বাড়তি জায়গা নিয়ে ভাবতে হয় না। কারণ অল্প জায়গার মধ্যে ঘুরে ফিরে বেড়াতে পারে বিড়াল। বিড়ালের জন্য বড়সড় একটি ঘর দিতে হলেও তার জন্য কোন আফসোস নেই কেলসি গিলের। দৈত্যাকৃতির বিড়ালের সন্ধান পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্যে। অবিশ্বাস্য এর দেহের আকার। দৈর্ঘ্যে এটি ছোটখাট আকৃতির মানুষের সমান। প্রায় ৪ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই দশাসই বিড়ালটি পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা বিড়ালের স্বীকৃতি পেয়ে গেছে। লুডো নামের এই বিড়ালকে গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে। গিল বলেন, লুডোকে অনেকে আবার দূর থেকে কুকুর ভেবে ভুল করে। লুডোর দৈর্ঘ্য ৩ ফুট, ১১ ইঞ্চি। এর আগের রেকর্ডটি ছিল স্টুয়ার্ট গিলিগ্যান নামের অন্য এক বিড়ালের। সেটি ছিল লুডোর চেয়ে ৫ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা। লুডোর মালিক কেলসি গিল যুক্তরাজ্যের পশ্চিম ইয়র্কসায়ারের বাসিন্দা। হ্যারিপটার চলচ্চিত্রে মাইন কুন প্রজাতির এই বিড়াল দেখে এ রকম একটি বিড়াল পোষার সাধ জাগে তার। তাই তিনি লুডোকে বাচ্চা অবস্থায় সংগ্রহ করেন। তখন লুডোর বয়স ছিল মাত্র ১৩ সপ্তাহ। এরপর এর শরীরের বাড়বাড়ন্ত দেখে গিল বুঝতে পারেন তিনি সঠিক প্রজাতিটিই বেছে নিয়েছেন। গিলের মতে, লুডো খুবই অলস স্বভাবের। দেহের বিশাল আকৃতির কারণে অন্য বিড়ালদের চেয়ে ওকে দেখতে একটু বেঢপ দেখায়। বেশি ওজনের কারণে ও খুব একটা চলাফেরা করতে পারে না। কোথাও যেতে হলে ওকে কুকুরবাহী যানে (ডগ ক্যারিয়ার) চড়িয়ে নিতে হয়। # সবচেয়ে বড় এবং পুরনো ডিম! ডিমটির বয়স ৪০০ বছরেরও বেশি। কিন্তু ডিমটি এখনও নষ্ট হয়নি। ডিমটি এখনও তার নিজের চেহারায় টিকে আছে। আর এই ডিমটিই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং বয়স্ক ডিম। ডিমটি মাদাগাস্কার বিলুপ্ত ঞযব এরধহঃ ঊষবঢ়যধহঃ ইরৎফ বা হাতি পাখির ডিম। বিলুপ্ত হওয়ার আগে এই পাখিই ছিল সবচেয়ে বড় পাখি। ১৭ শতকের দিকে এই পাখি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই পাখি লম্বায় ছিল প্রায় ১০ ফুট আর এর ওজন ছিল প্রায় ২০ কেজি। কিন্তু এই পাখি উড়তে পারত না। এই ডিমটি লম্বায় ১২ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ৮ ইঞ্চি। ডিমটি সাধারণ মুরগির ডিমের থেকে প্রায় ১০০ গুণ বড়। বিশেষজ্ঞের মতে ডিমটি ডায়নোসরের ডিমের থেকেও বড়। এই ডিমটি প্রথম খুঁজে পান ডেভিড নামের একজন ব্যক্তি যিনি মাদাগাস্কার নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র বানাচ্ছিলেন। এর পরে ডিমটি ছিল জন শেফার্ড নামের এক জীব বিশেষজ্ঞের কাছে। পরে তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, তারা ডিমটিকে নিলামে বিক্রি করবেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল এই ডিমটিকে নিলামে তোলা হয়। ধারণা করা হয়েছিল ডিমটি ৪৫ হাজার ডলারে বিক্রি করা হবে কিন্তু বিক্রি হয় এক লাখ ১ হাজার ৮১৩ ডলারে! ইব্রাহিম নোমান
×