ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আধুনিকায়নে বিএফডিসি

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

আধুনিকায়নে  বিএফডিসি

সাজু আহমেদ ॥ বলা হয়ে থাকে প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। তবে সেই দুর্নাম ঘোচাতে বর্তমান সরকার ২০১৬ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বেশকিছু কর্মসূচী হাতে নেয়। মূলত এ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল গত কয়েক বছর ধরেই। এরই ধারাবাহিকতায় এ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিএফডিসিতে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ২০১১-১২ অর্থবছরে ৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের অংশ হিসেবে আনা হয়েছে ডিজিটাল ক্যামেরা, ডিজিটাল ডাবিং থিয়েটার এবং ডিজিটাল এডিটিং মেশিন চালু করা হয়েছে। সরকারের সুদৃষ্টির কারণে বিএফডিসির সর্বত্র এনালগ বদলে গিয়ে ডিজিটাল হয়েছে। বিএফডিসির সর্বত্রই এখন আধুনিকায়নের ছোঁয়া। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএফডিসিতে ২০তলার একটি ভবন নির্মাণেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে থাকবে বেশ কয়েকটি মাল্টিপ্লেক্স। তিন বছর আগে যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল তার বেশিরভাগেরই বাস্তবায়নের পথে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এবার যেন আলোর পথে যাত্রা করছে বিএফডিসি। এর ফলে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক সংস্থায় পরিণত হবে। এই প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সবার আশা এবার বিএফডিসিমুখী হবেন নির্মাতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বিএফডিসিতে একে একে ডাবিং, এডিটিং, কালার কারেকশন, প্রিন্টিং মেশিন, লাইট, ক্যামেরাসহ শূটিং ফ্লোরগুলোর আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আরও যুক্ত হয়েছে প্রিন্টিং মেশিন, কালার এ্যানালাইজার মেশিন ও সেন্টার স্টোর সিস্টেম। এরপর ধীরে ধীরে বাকি যন্ত্রপাতি আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অত্যাধুনিক ক্যামেরা ও পোস্ট প্রোডাকশন সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি তা স্থাপনও করা হয়েছে। বিএফডিসিতে এসেছে ডিজিটাল ক্যামেরা। জানা যায় বিএফডিসি আধুনিকায়নের প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে। গত বছরের আগস্টে এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দু’বার দরপত্র হওয়ার পর অবশেষে ছয়টি ডিজিটাল ক্যামেরা এসেছে। ‘সনি এফ ফিফটি ফাইভ’ মডেলের ক্যামেরা পাঁচটি অন্য একটি রেড স্কাইলাইট ক্যামেরা। এ ছাড়াও পাঁচটি এডিটিং প্যানেল এবং কন্ট্রোল প্রসেসিং ইউনিট আমদানির পর পুরোদমে কাজ চলছে বলে জানা যায়। এরই মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে ৫টি ডিজিটাল এডিটিং প্যানেল, ১টি কালার প্রেডিং মেশিন, ১টি ডাবিং, মিক্সিং ও রি-রেকর্ডিং, ডাটা কনভার্ট করার জন্য ৩টি র-প্রসেসিং মেশিন। এছাড়া কেনা হয়েছে, ৪০ ফুট লম্বা দুটি আধুনিক জিমি-জীব। যার সঙ্গে যুক্ত আছে ১৭ ইঞ্চি মনিটর। কর্মকর্তাদের দাবি, এমন মেশিন দেশে আর কোথাও নেই। এ অবস্থায় বিএফডিসির কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন, সরকারী উদ্যোগের ফলে অচিরেই প্রতিষ্ঠানটির সুদিন ফিরবে। বিশেষ করে চলচ্চিত্র সম্পাদনায় ভারতমুখী নির্ভরতা কমবে।
×