ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে আজগরদের

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে আজগরদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমেই ক্রিকেটে দুর্দান্ত দলে পরিণত হচ্ছে আফগানিস্তান। বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থানটা পোক্ত করছে তারা। এতদিন সমমানের দলগুলোর বিরুদ্ধে সিরিজ খেলেছে তারা। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও হল্যান্ডের সঙ্গে নিয়মিত খেলে নিজেদের ক্রিকেটকে আরও উন্নত করেছে তারা। জিম্বাবুইয়ে ব্যতীত এই প্রথম আর কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করছে তারা। আর এখানেই আরেকটি অবিস্মরণীয় অর্জনের সুযোগ তাদের সামনে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে এখন ১-১ সমতায় তারা। তবে বুধবার ম্যাচ জয়ের পর বাড়তি কোন উৎসব, অপার আনন্দ উদযাপনের লেশমাত্র ছিল না আফগান ক্রিকেটারদের মধ্যে। যেন এটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে আসল ব্যাপার অন্য, সেটা জানালেন সাবেক অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ স্পিনার মোহাম্মদ নবি। তিনি জানিয়েছেন সিরিজ জয়ের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাই করবে আফগানিস্তান এবং এরপরই উৎসব করবে তারা। বাংলাদেশ সফরে আসার আগে টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে ছিল আফগানরা। সর্বশেষ খেলা কয়েকটি সিরিজে দারুণ নৈপুণ্যও দেখিয়েছে। ব্যাক-টু-ব্যাক দুটি সিরিজে টেস্ট খেলুড়ে দেশ জিম্বাবুইয়েকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। এরপর স্কটল্যান্ড সফরে ১-০ ব্যবধানে জয় ও আয়ারল্যান্ড সফরে ২-২ সমতায় শেষ করেছে তারা। তাই দারুণ উজ্জীবিত হয়েই বাংলাদেশ সফরে আসে আফগানরা। এছাড়া ২০১৪ সালে এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল তারা। এবার সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও দুর্দান্ত স্পিন আক্রমণে বিসিবি একাদশকে ধসিয়ে দিয়ে ৬৬ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছিল। প্রথম ওয়ানডেতে একেবারে জেতা ম্যাচটাই হাতছাড়া করে তারা। সেই পরাজয়টাকে অনেকেই অভিজ্ঞতার কারণে হয়েছে বলে বিবেচনা করেছিলেন। এ বিষয়ে নবি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটা পুরোপুরিই আমাদের জেতার ছিল, কিন্তু আমরা হেরে গেছি। তাসকিন খুবই ভাল বল করে আমার এবং অধিনায়কের উইকেট নিয়েছিল যা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। কিন্তু মানুষ অনেক বেশি বলাবলি করছিল জেতা ম্যাচটা আমরা কেন হারলাম?’ দারুণ লড়াইয়ের পর প্রথম ওয়ানডেতে ৭ রানের দুর্ভাগ্যজনক পরাজয়টাকে মানতে পারেনি আফগানরা এবং ঘোষণা দিয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচেই ভালভাবে ঘুরে দাঁড়াবে তারা। সেটাই হলো, ব্যাটিং-বোলিং এবং ফিল্ডিং তিন বিভাগেই র‌্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বরে থাকা দলকে নাস্তানাবুদ করে ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। নবি বলেন, ‘পূর্ণ সদস্য দেশের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াটা সহযোগী দলগুলোর জন্য অবশ্যই বিশাল কিছু, বিশেষ করে আফগানিস্তানের জন্য যারা ক্রিকেটে দিনকে দিন উন্নতি করেই চলেছে। আমরা আলোচনা করেছিলাম যে জেতার জন্যই খেলব, হারের জন্য নয়। সেটাই আমাদের বোলিংয়ে প্রভাব ফেলেছে। স্পিনাররা পরিকল্পনা অনুসারে বোলিং করতে পেরেছে, তবে শেষদিকে আমরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটা উইকেট হারিয়েছি।’ প্রথম ম্যাচের দুর্ভাগ্যটা আর বরণ করতে হয়নি দ্বিতীয় ম্যাচে। চার-ছক্কা হাঁকানোর দিকে মনোযোগী না হয়ে এক/দুই রান করে নিয়ে জয় পেয়েছে আফগানরা। এমন একটি জয়ের পরও আফগানরা সেভাবে উল্লাস করেনি। এ বিষয়ে নবি বলেন, ‘আমরা জেতার পর সত্যিই অনেক খুশি। আফগানিস্তানের সব মানুষ আমাদের খেলা দেখেছেন এবং অবশ্যই তারা খুশি হয়েছেন।’
×