ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মালয়েশিয়াতেই আকাশের যোগাযোগ ছিল হলি আর্টিজানের সন্ত্রাসীর সঙ্গে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মালয়েশিয়াতেই আকাশের যোগাযোগ ছিল হলি আর্টিজানের সন্ত্রাসীর সঙ্গে

শংকর কুমার দে ॥ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী জঙ্গী নিবরাস ইসলাম মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এক তরুণের সঙ্গে বাংলাদেশে জঙ্গী হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো পিয়ার আহমেদ আকাশ। মালয়েশিয়ার সংবাদ মাধ্যম দ্য স্টার অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো রেস্তরাঁর ব্যবসায়ী পিয়ার আহমেদ আকাশের সঙ্গে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক জঙ্গীর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলায় মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো পিয়ার আহমেদ আকাশের সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ এখনও মেলেনি বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। অপরদিকে গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার ঘটনার আগে ধারণ করা হয় ৫ জঙ্গীর ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গী তৎপরতা নজরদারি সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স আইএসের কথিত সংবাদ সংস্থা আমাক। গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার ঘটনায় জঙ্গী তৎপরতায় নতুন মাত্রা যুক্ত হওয়ার কারণে এখন প্রায়শ রাতেই রাজধানী ঢাকাতে ব্লকরেইড অভিযান চালানো হচ্ছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। মালয়েশিয়ার দ্য স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে একটি সূত্রের (সূত্রের নাম বা ধরন বলা হয়নি) বরাত দিয়ে বলা হয়, মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো ওই রেস্তরাঁ ব্যবসায়ী নিজ দেশে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন এবং নিয়মিত এ বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতেন। বাংলাদেশে একে-৪৭ পাচারের ঘটনায়ও তার সংশ্লিষ্টতা আছে। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে সন্দেহভাজন এক উগ্রপন্থী তরুণের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, যিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। এরপর তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী ও নিহত জঙ্গী নিবরাস ইসলামের সঙ্গে ওই তরুণের পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয় বলে জানা গেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল রেড নোটিস জারির পর সংস্থাটি মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠায় সেখানকার রেস্তরাঁর মালিক পেয়ার আহমেদ ওরফে আকাশ। চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান থেকে খোয়া যাওয়া একটি একে-৪৭ রাইফেল বেচাকেনার অভিযোগে করা ওই মামলা দুটি থেকে জামিনে বেরিয়ে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। প্রায় ১১ বছর আগে ফেনী ও নোয়াখালীতে দায়ের হওয়া দুটি অস্ত্র মামলার আসামি হয়ে জামিন নিয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। ইন্টারপোল তাকে মালয়েশিয়ায় গ্রেফতারের পর বাংলাদেশে পাঠানোর পর তাকে ফেনী কারাগারে আটক রাখা হয়। ঠিক তখনই মালয়েমিয়ার সংবাদ মাধ্যমে তার বিষয়ে গুলশান হলি আর্টিজান বেকারির হামলাকারী জঙ্গীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়ে খবর প্রকাশিত হলে তোলপাড়া সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র পাচারে যুক্ত থাকার সন্দেহে বুকিত বিনতাং এলাকার একজন রেস্তরাঁ ব্যবসায়ী বাংলাদেশের নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল তাকে ধরিয়ে দিতে রেড নোটিস জারি করেছিল। বিজ্ঞপ্তিতে মালয়েশিয়ার পুলিশ ফেরত পাঠানো ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি। পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমে তার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক জঙ্গীর পিয়ার আহমেদ ওরফে আকাশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করা হয় মালয়েশিয়ার সংবাদ মাধ্যম দ্য স্টার অনলাইনে শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো ওই রেস্তরাঁ ব্যবসায়ী পেয়ার আহমেদের আকাশের সঙ্গে গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী এক সন্দেহভাজন জঙ্গীর সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করার পর তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে পিয়ার আহমেদ আকাশের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ ও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কারাবন্দী পিয়ার আহমেদ আকাশের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, সে জঙ্গীবাদে জড়িত নয় বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ। তবে ফেনীর অস্ত্র মামলায় রেড নোটিস থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধের কারণে মালয়েশিয়ায় তার ব্যবসায়িক অংশীদার তাকে ধরিয়ে দিয়েছে বলে পুলিশের কাছে এমন দাবি করেছে তার নিকটাত্মীয়গণ। নিকটাত্মীয়গণের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানান, জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত শাহীন একাডেমি নামে ফেনীর একটি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন পেয়ার আহমেদ আকাশ। ওই স্কুলে পড়াকালে পেয়ার জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সে জড়িয়ে পড়ে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এসএসসি পাস করার পর পেয়ার চট্টগ্রামে লেখাপড়া করেন। পেয়ার আহমেদ লেখাপড়া শেষ করে চট্টগ্রামে ব্যবসা করতেন। ফেনীর মহিপালেও তার মুঠোফোনের দোকান ছিল বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে তার স্বজনরা। অস্ত্র মামলায় ফেসে গ্রেফতার হয়ে জামিন পেয়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান। এক বাংলাদেশীকে সঙ্গে নিয়ে ‘রসনাবিলাস’ নামে রেস্তরাঁ খোলেন। পরে ব্যবসায়িক বিরোধ হয়। এ কারণে ষড়যন্ত্র করে পেয়ার আহমেদকে মালয়েশিয়ার পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তার স্বজনদের দাবি। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র জানান, মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো ওই ব্যক্তির নাম পেয়ার আহমেদ। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে মোঃ ইব্রাহিমের ছেলে। তাকে গত ১৯ আগস্ট মালয়েশিয়ার পুলিশ আটক করে। ২ সেপ্টেম্বর রাতে মালিন্দা এয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত পাঠায়। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন পুলিশের সহযোগিতায় দাগনভূঞা থানার পুলিশ পেয়ার আহমেদকে গ্রেফতার করে এবং ৩ সেপ্টেম্বর দাগনভূঞা থানায় নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে ফেনীর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি অস্ত্র মামলা বিচারাধীন আছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর তাকে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আদালত তাকে ফেনী কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া তিনি নোয়াখালীরও একটি মামলার আসামি বলে পুলিশ সূত্র জানান। পুলিশ সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে র‌্যাবের দায়ের করা ওই মামলায় পেয়ার আহমেদের সঙ্গে আসামি করা হয়েছিল পুলিশের দুজন সার্জেন্টকেও। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি একে-৪৭ রাইফেল। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটি ঘাটে অস্ত্র আটকের সময় সংলগ্ন কয়লার ডিপো পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন ওই দুই পুলিশ সার্জেন্ট। ওই অস্ত্র চালান থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল সরিয়ে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে সার্জেন্ট হেলাল ও সার্জেন্ট আলাউদ্দিনকে ২০০৫ সালে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এই অস্ত্র বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ফেনী ও নোয়াখালীর সুধারাম থানায় দুটি মামলা হয়। নোয়াখালীর মামলায় আসামি দুই সার্জেন্ট তখন আদালতে জবানবন্দীও দেন। তাদের তখন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরে ২০০৭ সালে তারা জামিনে মুক্ত হন। তারা ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলার সাক্ষী ছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই দুই সার্জেন্ট অস্ত্র চোরাচালান ধরে ফেলায় তাদের মামলায় আসামি করা হয় বলে পরবর্তীতে তদন্তে প্রকাশ পায়। এরপর তারা চাকরি ফিরে পান, পুরস্কৃত হন। যা বলেছেন ডিএমপি কমিশনার ॥ গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলায় মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো পেয়ার আহমেদ আকাশের সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ৮ নম্বর ফ্লোরে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘ছায়া সংসদ’ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলা ও দেশের কোন জঙ্গী তৎপরতায় পেয়ারের কোন সম্পৃক্ততা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ফেনীতে একটি অস্ত্র মামলার আসামি পেয়ার। তিনি পালিয়ে মালয়েশিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। ইন্টারপোলের মাধ্যমে সেখানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে দেশে পাঠায়। ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পিয়ারের জঙ্গী তৎপরতায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে আমরা কোন তথ্য পাইনি। এমনকি মালয়েশিয়ার পুলিশও আমাদের এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ একটি বৈশ্বিক ও সামাজিক সমস্যা, এর সমাধানে সমাজের সব শ্রেণী ও পেশার মানুষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু অপারেশনাল কাজই নয়, জনগণকে সম্পৃক্ত করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতেও অবদান রাখছে। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। সন্ত্রাস দমনে অংশীদারত্বমূলক পুলিশী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে উদ্বুদ্ধকরণ সভা এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে জঙ্গীবাদ দমনে সংলাপ অব্যাহত রয়েছে। গুলশান হামলাকারীদের ভিডিও প্রকাশ ॥ রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার ঘটনার আগে ধারণ করা হয় ৫ জঙ্গীর ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গী তৎপরতা নজরদারি সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স আইএসের কথিত সংবাদ সংস্থা আমাক। কথিত সংবাদ সংস্থার এর বরাত দিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে এ ভিডিও প্রকাশ করেছে। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার ঘটনার আগে ধারণ করা হয় ৫ জঙ্গীর ভিডিওটি ওই হামলার কয়েকদিন আগে ধারণ করা হয়। জঙ্গীদের বক্তব্যের ধারণ করা ভিডিওর শেষ অংশে গুলশান হামলায় পুলিশের অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। ১৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে আরবির পাশাপাশি বাংলাতেও বক্তব্য রাখা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গী তৎপরতা নজরদারি সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স আইএসের কথিত সংবাদ সংস্থা আমাক-এর বরাত দিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে এ ভিডিও প্রকাশের তথ্য জানিয়েছে। ভিডিওর প্রথম ৯ মিনিটে বাংলাদেশের আলেম সমাজের সমালোচনা করা হয়েছে। সেখানে ইসলামী চিন্তাবিদদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে ইসলামী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া মসজিদের ইমামসহ কয়েকজনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তৃতা তুলে ধরা হয়েছে। বাংলা এই ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্র্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনসহ বিশ্ব নেতাদের ছবি ব্যবহার করে তাদের ‘কাফের’ হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়, মুসলিমদের তাদের প্রতি কঠোর হতে হবে। গুলশানে হামলার কারণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভিডিওতে বলা হয়েছে, মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশুদের রক্তে রঞ্জিত ক্রুসেডাররা মুসলিমদের প্রতি তাদের চরম উপহাস হিসেবে বাংলাকে তাদের মনোরঞ্জনের স্থান হিসেবে বেছে নেয়। তাই তারা ৫ জন ঢাকার গুলশানে হামলা চালিয়েছিল। ভিডিওতে গুলশান হামলায় নিহত পাঁচ জঙ্গীর মধ্যে মোবাশ্বের এবং নিবরাসকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং ভারি অস্ত্রসহ ছুরি হাতে দেখা গেছে। গুলশান হামলার পর প্রকাশিত ছবিতে জঙ্গীদের যে পোশাক ও জায়গা দেখা গিয়েছিল, সেই একই পোশাকে ৫ জঙ্গীর বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা হয়। ভিডিও ধারণ করার জায়গাও একই বলে মনে হয়। ভিডিওতে নিবরাস বলছে, মানুষ আমাদের সম্পর্কে কী ভাবছে অথবা কী বলছে তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। প্রসঙ্গত. গত ১ জুলাই রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলা চালানো হয়। জঙ্গীদের হামলায় বিদেশী নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হন। জঙ্গীবিরোধী অভিযানে অংশ নেয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে ৫ জঙ্গীসহ ৬ জন নিহত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ হামলার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ী করা হয়েছে ‘নব্য জেএমবি’কে।
×