ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণের ‘দুই আঙ্গুল’ পরীক্ষা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ৯ আগস্ট ২০১৬

ধর্ষণের ‘দুই আঙ্গুল’ পরীক্ষা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্ষণের শিকার নারীদের ‘দুই আঙ্গুল বিশিষ্ট’ পরীক্ষা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত ৫ জন চিকিৎসকের নাম নির্ধারণ করে দিয়ে আগামী ১৬ আগস্ট তাদের আদালতে উপস্থিত হয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। পাঁচ চিকিৎসক হলেন- ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক প্রধান ডাঃ হাবিবুজ্জামান চৌধুরী ও ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইল ল্যাব প্রধান ডাঃ সাফিউর আখতারুজ্জামান, মিরপুরের ডেল্টা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ জাহিদুল করিম আহমেদ, বারডেম হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক ডাঃ গুলশান আরা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক এ্যাসোসিয়েশন অব ল মেডিসিন এ্যান্ড সায়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাহিরুল হক। এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এসএম নাজমুল হক শুনানি করেন। গত বছরের ৮ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ নামে ছয়টি পৃথক সংগঠন এবং ধর্ষণের শিকার নারীর ‘দ্বি-আঙুল বিশিষ্ট’ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ অক্টোবর হাইকোর্ট ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কমিটি গঠন করে আগামী তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এরপরই বিশেষজ্ঞ কমিটি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। কমিটির দাখিল করা ওই নীতিমালায় ধর্ষিত নারীর সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশসহ সবাইকে কেমন আচরণ করতে হবে তা পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ‘দুই আঙ্গুল বিশিষ্ট’ পদ্ধতিতে কেউ মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে না চাইলে জোর করে না করাতে, ধর্ষিতার রিপোর্টে ধর্ষণের বিষয় ছাড়া নারীর মর্যাদা ক্ষুণœ করে এ জাতীয় শব্দ ব্যবহার না করতেও বলা হয়। এই পদ্ধতিকে প্রাধান্য না দিয়ে অন্য কোন পদ্ধতি প্রবর্তনের ব্যবস্থা করার বিষয় তুলে ধরা হয় নীতিমালায়। সম্প্রতি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে মামলাটি রুল শুনানির জন্য আসে। শুনানির এক পর্যায়ে রিটকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত চেয়ে একটি আবেদন দাখিল করা হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই রিট মামলার সুষ্ঠু নিষ্পত্তির জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত চেয়ে আদেশ প্রদান করে।
×