ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জোড়া খুনের মামলায় ২৩ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ৩১ জুলাই ২০১৬

জোড়া খুনের মামলায় ২৩ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ নড়াইলে চাঞ্চল্যকর শাহীন ও লিচু হত্যা মামলায় একাধিক সহোদরসহ ২৩জন আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৬ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৪ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে এক জনাকীর্ন আদালতে নড়াইলের দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মুন্সী এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন নড়াইলের কালিয়া থানার পারবিষ্ণুপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র মো. নজরুল ইসলাম শেখ ওরফে মনির, মিজানুর রহমান শেখ ও মিল্টন শেখ, আদাড়ে শেখের পুত্র মো. নজরুল, নওয়াগ্রামের মনি মিয়া শেখের পুত্র হেনডী শেখ, ছিলিমপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক শেখের পুত্র আসাদ শেখ, দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের গোপাল সরদারের পুত্র মফিজ সরদার, তিতু সরদার ও শামছুর রহমান ওরফে ডাবলু, খুলনার দিঘলিয়া থানার সোনাাকুড় গ্রামের ডাঃ আবুল ফজল সিকদারের পুত্র মিনহাজ সিকদার, বড়মহিষদিয়া গ্রামের সৈয়দ ফুরাদ আলীর পুত্র আমজাদ হোসেন ওরফে বাচ্চু, মৃত মতি মীরের পুত্র সৈয়দ হানেফ আলী, আতোষ শেখের পুত্র গোলাম শেখ ও বালাম শেখ, মৃত মালেক শেখের পুত্র আব্দুল হাই, নড়াইলের কালিয়া থানার দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের রফি সরদার ও আলাল সরদার, পারবিষ্ণপুর গ্রামের কুটিমিয়া শেখের পুত্র সেলিম শেখ ও হারুন শেখ, আসমাইল বিশ্বাসের পুত্র বাশার বিশ্বাস, নওয়াগ্রামের মৃত জলিল মোল্যার পুত্র বাকের মোল্যা ওরফে বাছের মোল্যা ও মৃত আঃ রউফ মোল্যার পুত্র কালাম মোল্যা ও খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার পারমচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হামিদ মোল্যার পুত্র শহিদুল মোল্যা। এদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন তিতু সরদার, শামসুর রহমান ওরয়ে ডাবলু, বালাম শেখ ও বাকের মোল্যা ওরফে বাছের মোল্যা। এছাড়া মামলা চলাকালীন বিভিন্ন সময় ৬ জন আসামি মৃত্যু বরন করেন। মামলার বিবরনে জানাগেছে, ১৯৯৫ সালের ১৪ এপ্রিল নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মহিষখোলা লীজ ঘের থেকে খুলনা শহরের যাওয়ার জন্য হামিদপুর ইউনিয়নের গাজীরহাট বাজারে আলম মোল্যার অফিস ঘরের সামনে খুলনার দৌলতপুর এলাকার মো. সোনা মিয়ার পুত্র মো. শাহীন ও তেরখাদা থানার বারাসাত গ্রামের এসএমএ মজিদের পুত্র এসএম আনোয়ারুল আজাদ লিচু বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এসময় সন্ধ্যা ৭ টার দিকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারমচন্দ্রপুর গ্রামের আকবর হোসেন মোল্যার (বর্তমানে মৃত) নেতৃত্বে আসামীরা তাদের ঘেরাও করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে লিচুকে ফেলে যায় ও শাহীনকে গুম করে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় লিচুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত্যু ঘোষনা করে। এ ঘটনায় নিহত লিচুর ভাই এসএম আনোয়ারুল বাশার বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নড়াইলের সহকারি পুলিশ সুপার (সদর) শহিদুল আলম চৌধুরী ২৯জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলায় ২৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনিত পেনাল কোডের ১৪৮/৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় ২৩ আসামীর বিরুদ্ধে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ১৯ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
×