ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুরোহিতকে হত্যার হুমকি দেয়ার পর বগুড়ায় এক সন্দেহভাজনকে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৩১ জুলাই ২০১৬

পুরোহিতকে হত্যার হুমকি দেয়ার  পর বগুড়ায় এক সন্দেহভাজনকে পুলিশে সোপর্দ

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ যে কতটা সচেতন হচ্ছে তার প্রমাণ মিলল বগুড়ায় শনিবার সকালে। সদরের পীরগাছায় মন্দিরের পুরোহিত ও তার ছেলেকে ক’দিন ধরে চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। শনিবার সকালেও তিনি একটি চিঠি পান। ওই সময় মন্দিরের সামনে সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে দেখে এলাকার লোকজন তাকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তার নাম আশরাফুল (২৮)। সে গাবতলির উজগ্রামের কবির উদ্দিনের ছেলে। সে বগুড়া সরকারী আযিযুল হক কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স করেছে। বগুড়া সদরের পীরগাছায় কেন্দ্রীয় কালী ও শিব মন্দিরের পুরোহিত মৃণাল কান্তি ভাদুরী ও তার ছেলে শ্যামল কান্তিকে জঙ্গী সংগঠন আইএসের নামে চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি চারটি চিঠি পান। গেল বুধবার তার কাছে প্রথম চিঠি এলে তা পাঠের পর ওই দিনই সদর থানাকে অবহিত করেন। সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সদর থানার ওসি পুরোহিতের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেন। দুই কনস্টবল ও চারজন গ্রাম পুলিশ মন্দিরে মোতায়েন করা হয়। শনিবার সকালে পুরোহিতের ঘরের দরোজার নিচ দিয়ে হত্যা হুমকির একটি চিঠি দেয়া হয়। এ সময় মন্দিরের সামনে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কথা বলার পর সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় চেপে চলে যাওয়ার সময় এলাকবাসীর সন্দেহ হলে ধাওয়া করে তাকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। ধরার পর সে জানায়, তার নাম আশরাফুল। বাড়ি গাবতলির উজগ্রামে। রাতে পীরগাছায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে সকালে বাজারের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। এই রাস্তার ধারে কালী ও শিব মন্দির। এ সময় চাকরির বিষয়ে তার খালাত ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার পর সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় চেপে যাওয়ার সময় লোকজন ধাওয়া করে তাকে ধরে। এই বিষয়ে পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তি আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আটকের ভাই আবু জাফর জানান, আশরাফুল মাস্টার্স করে চাকরি খুঁজছিল। কালীমন্দির যে এলাকায় অবস্থিত তা দক্ষিণপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান সাইফুল বলেন, ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামের মানুষকে জঙ্গী বিরোধী সচেতন করা হচ্ছে। এলাকার লোক এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করে পুলিশে দিয়েছে।
×