ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লভ্যাংশ বণ্টন নীতি তৈরি বাধ্যতামূলক করেছে সেবি

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৫ জুলাই ২০১৬

লভ্যাংশ বণ্টন নীতি তৈরি বাধ্যতামূলক করেছে সেবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাড়তি মুনাফা আসা সত্ত্বেও বহু সংস্থা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে চায় না বলে অভিযোগ বহু দিনের। আর এ অভিযোগটি সব দেশেই কমবেশি রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এবার কঠোর হলো ভারতের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)। বাজারে শেয়ার মূলধনের ভিত্তিতে প্রথম ৫০০টি সংস্থার জন্য লভ্যাংশ বণ্টন নীতি তৈরি বাধ্যতামূলক করল তারা। এই নীতি তৈরি করা মানেই লভ্যাংশ দিতে বাধ্য থাকা নয়। তবে এর সাহায্যে কোন সংস্থার শেয়ার কিনলে কতখানি রিটার্ন আশা করা যেতে পারে, তার ছবি পাবেন বিনিয়োগকারীরা। সুবিধা হবে শেয়ার বাছাই করতে। সেবির নির্দেশ, ওই নীতি সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনের আওতায়। তাতে জানাতে হবে আর্থিক অবস্থা, কী কী কারণে শেয়ারহোল্ডাররা ডিভিডেন্ড আশা করতে পারেন অথবা পারেন না, বাড়তি মুনাফা কিভাবে ব্যবহার করা হবে ইত্যাদি। বর্তমানে সব সংস্থার ক্ষেত্রেই আগের ৫ অর্থবর্ষের লভ্যাংশ নীতি ও তার হার প্রকাশের নিয়ম চালু রয়েছে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। সেবির দাবি, এখন ৫০০ সংস্থার জন্য নতুন বিধি চালু হলেও, আগামী দিনে লভ্যাংশ বণ্টন নীতি তৈরির বাধ্যবাধকতা কার্যকর হবে সব সংস্থার জন্যই। অথচ আমাদের দেশে (বাংলাদেশ) মিউচুয়াল ফান্ডের মুনাফা বণ্টনের আইন থাকলেও তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফা বণ্টনের কোন নীতিমালা নেই। যে কারণে অনেক কোম্পানি ভাল মুনাফা করেও লভ্যাংশ দিচ্ছে নামমাত্র। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, সব কোম্পানিরই মুনাফা বণ্টনের একটি নীতিমালা থাকা উচিত। যে কাজটি করতে হবে আমাদের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকেই। ডিএসইর তথ্যানুসারে তালিকাভুক্ত বেশকিছু বড় কোম্পানিও রিজার্ভ থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বোনাস শেয়ার ইস্যু করে যাচ্ছে। এছাড়া আরও কিছু কোম্পানি রয়েছে মুনাফা করার পরও কোন লভ্যাংশ প্রদান না করে জেড ক্যাটাগরিতে থাকছে। যদিও কোম্পানিটির মুনাফা রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। তাই লভ্যাংশ বণ্টন নীতিমালা তৈরি ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
×