ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওটিসির ১১ কোম্পানির অস্তিত্ব নেই

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১২ জুলাই ২০১৬

ওটিসির ১১ কোম্পানির অস্তিত্ব নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের ১১ কোম্পানির কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রতিটি কোম্পানির বেশ কিছু শেয়ার ইস্যু থাকলেও বাজারে তার কোনো লেনদেন নেই। এছাড়া কোম্পানিগুলোর অফিস কিংবা যোগাযোগ করার উপায়ও নেই। আবার যেসব কোম্পানির ঠিকানা রয়েছে- সেই ঠিকানায়ও তাদের অস্তিত্ব নেই। ওটিসি মার্কেট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আমান সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ: আমান সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিটির ১ লাখ ৮০০টি শেয়ার বাজারে রয়েছে। ২০০৯ সালে কোম্পানিটি ২৬ টাকা ৫৩ পয়সা লোকসান করেছিল। এ সময় কোম্পানিটির ৩ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা লোকসানে ছিল। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের সর্বশেষ মূল্য ছিল ২১৯ টাকা। কোম্পানিটি যখন ওটিসি মার্কেটে যায় তখন স্পন্সরদের শেয়ার ছিল ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ছিল ৭ দশমিক ০৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ছিল ২৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিসিটি মেটার : বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিসিটি মেটার ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৯৫ সালে। তালিকাভুক্তিকালে এর অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫ কোটি টাকা। প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটির মোট লোকসান ছিল ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বাজারে কোম্পানির বর্তমান শেয়ার রয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার। ওটিসির এই কোম্পানির স্পন্সরদের শেয়ার রয়েছে ২৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৪৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ৩১ শতাংশ। চিক টেক্সটাইল লিমিটেড ॥ ১৯৯৬ সালে তালিকাভুক্ত চিক টেক্সটাইল লিমিটেডের মূলধন ছিল ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার। ওটিসিতে কোম্পানিটির ১ কোটি ২৫ লাখ ৪৪ হাজার শেয়ার রয়েছে। যার কোন লেনদেন হয় না। কোম্পানিটির ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা রিজার্ভ রয়েছে। ২০০৪ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫ পয়সা। এ সময় শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ১০ টাকা ৫ পয়সা। ওটিসির এই কোম্পানির স্পন্সরদের শেয়ার রয়েছে ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। লেনদেন না হওয়া অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে জারমান বাংলা জেভি ফুড লিমিটেড; যার শেয়ার সংখ্যা ৫ লাখ। এছাড়া এম হোসেন গার্মেন্টসের ৬ লাখ শেয়ার, মিতালেক্স কর্পোরেশনের ৫০ হাজার শেয়ার, ফার্মাকো ইন্ডাস্ট্রিয়ালে ২ লাখ শেয়ার, রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টসে ৩০ লাখ শেয়ার রয়েছে। আর রাজপিট ডেটা ম্যানেজমেন্টের ৫০ লাখ শেয়ার, রাজপিট ইংক বিডির ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার ৬০০টি শেয়ার ও সালেহ কার্পেট মিলস লিমিটেডের ৬১ লাখ ১০ হাজার শেয়ার রয়েছে।
×