ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘মিনি আইপিএল’ এ বছরই

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৫ জুন ২০১৬

‘মিনি আইপিএল’ এ বছরই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রিকেটে একই দিনে বিপরীতমুখী দুটি খবর। ঘোরতর অন্ধকারে ‘মিনি বিশ্বকাপ’ খ্যাত ওয়ানডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যত, অথচ এ বছরই বসতে যাচ্ছে আরও একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) আসর। কারণ বাণিজ্য, অর্থের কাছে সবই নস্যি। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর এটি আর অনুষ্ঠিত নাও হতে পারে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদে এমন ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় আইপিএল পরিচালনা বোর্ডের সভায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘মিনি আইপিএল’ নামে অর্থের ছড়াছড়ির এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা জনানো হয়েছে। সভায় ইন্ডিয়ান বোর্ড (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর ও আইপিএল চেয়ারম্যান রাজিব শুক্লা উপস্থিত ছিলেন। ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ অনুষ্ঠিত হতো, ব্যবসায়িকভাবে অলাভজনক হওয়ায় গত দুই বছর সেটি বন্ধ। ধারণা করা হচ্ছে ‘মিনি আইপিএল’ সেই জায়গা দখল করতে যাচ্ছে। সভা শেষে ঠাকুর বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে আটদলের অংশগ্রহণে মিনি আইপিএল বা আইপিএল ওভারসিজের আয়োজন করা হবে। এটা হবে ছোট পরিসরে, হোম এ্যান্ড এ্যাওয়ে ম্যাচ থাকবে না। ম্যাচও অনেক কম হবে, মাত্র দুই সপ্তাহের টুর্নার্মেন্ট।’ প্রথমবারের মতো টি২০ ফরমেটে এশিয়া কাপ, টি২০ বিশ্বকাপ, আইপএলÑ গত এপ্রিলে আইপিএল চলার সময় থেকেই প্রশ্নটা জোরেশোরে উঠে আসে, টি২০ ক্রিকেট কি বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে? আভিজাত্যের টেস্টের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পঞ্চাশ ওভারের ওয়ানডের আকর্ষণ? তার মধ্যেই এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ক্রিকেটের অঘোষিত মোড়ল ইন্ডিয়ান বোর্ড। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে এটি অনুষ্ঠিত হবে, সবগুলো ম্যাচ দেশের বাইরে, যা ‘আইপিএল ওভারসিজ’ নামে নামকরণ হতে পারে। কবে হবে, ফরমেট কি হবে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু ঠিক করা হয়নি। খুব শীঘ্রই সব ঠিক করা হবে। তবে বাণিজ্যিক লাভের কথা চিন্তা করে এটি যে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের জায়গা নিতে যাচ্ছে সেটি নিশ্চিত। বিশ্বের টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর সেরা সব ক্লাব নিয়ে অনুষ্ঠিত হতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টি২০। দর্শকখরা, স্পন্সর কোম্পানিগুলোর অনাগ্রহ, সব মিলিয়ে গত কয়েক বছর সেটি বন্ধ। বিপরীতে আইপিএল মানেই অর্থের ঝনঝনানি, বিজ্ঞাপন-বাণিজ্যে রমরমা, তাই অমন বৈষয়িক একটি টুর্নামেন্ট বাদ দিয়ে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট আইপিএলে এত মনোযোগ। ফলে প্রতিবছর দুটি করে আইপিএল অনুষ্ঠিত হবে, বছরের শুরুর দিকে দীর্ঘ পরিসরের (পুরনো ফরমেটে) ও সেপ্টেম্বরে ‘মিনি আইপিএল’। বলার অপেক্ষা রাখে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করেই বিসিসিআই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ আইপিএলে বিশ্বের প্রতিটি দেশের নামকরা সব ক্রিকেটার অংশগ্রহণ করে থাকেন। ট্রফি না জিতলে মেসিদের দেশে ফিরতে নিষেধ ম্যারাডোনার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর কত মাথা নত! এবার যদি শতবর্ষী কোপা আমেরিকার ফাইনালে লিওনেল মেসির দল হেরে যায় তাহলে টানা তিনটি ফাইনালে হারের যন্ত্রণা পোহাবে আর্জেন্টিনা। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ ও ২০১৫ কোপা আমেরিকার ফাইনালে যথাক্রমে জার্মানি ও চিলির কাছে হেরে হৃদয়ভঙ্গ হয় আলবেসিলেস্তেদের। এবার তাই যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিশেষ কোপার ফাইনালে উঠে সতর্ক আর্জেন্টিনা। টানা পাঁচ ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতে চূড়ান্ত মঞ্চে উঠে আসা দলটিই শিরোপা জয়ে ফেবারিট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলিও ছেড়ে কথা বলবে না বলে হুঙ্কার ছেড়েছে। কিন্তু যেভাবেই হোক, এবার ট্রফিটা চাই-ই চাই আর্জেন্টিনার! অধিনায়ক মেসি, কোচ জেরার্ডো মার্টিনো ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, শিরোপা তারাই জিতবেন। সেটা হয় কিনা সেজন্য দৃষ্টি রাখতে হবে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৬টায় শুরু হতে যাওয়া ফাইনাল ম্যাচে। ওইনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির ইস্টরাদারফোর্ডের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে চিলির বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলবে আর্জেন্টিনা। মেসি, মার্টিনোরা যতই আশ্বস্ত করুন না কেন, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা বোধ হয় শঙ্কায় আছেন। বারবার তীরে এসে তরী ডোবার কারণেই হয়ত চিন্তিত আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর। তাইতো তিনি এক সাক্ষাতকারে মেসিদের উদ্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি ট্রফি জিততে না পারো তাহলে দেশে ফিরে আসবে না তোমরা। এক অর্থে হুঁশিয়ারিই দিয়ে রাখলেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। এবারের আসরে শুরু থেকেই দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে চলেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই দাপুটে জয় দিয়ে আর্জেন্টিনা পা রাখে নকআউট পর্বে। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে ভেনিজুয়েলাকে ৪-১ গোলে ও সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে মেসিদের খেলতে হবে বর্তমান চ্যম্পিয়ন চিলির বিরুদ্ধে। গত বছরের ফাইনালে এই চিলির কাছে টাইব্রেকারে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসিদের। তবে এবার তেমনটা ঘটবে না বলেই মনে করছেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে ম্যারাডোনা বলেন, ‘আমরা ফাইনালে অবশ্যই জিতব। আর যদি জিততে না পারি, তাহলে তাদের দেশে ফেরা উচিত না।’ ১৯৯৩ সালে শেষবারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। শুধু তাই নয়, তারপর থেকে কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে পারেনি আকাশী-সাদা জার্সিধারীরা। এবার সেই শিরোপাখরা ঘোচানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছেন মেসি, হিগুয়াইন, মাশ্চেরানোরা। ফাইনাল মঞ্চে মাঠে নামার আগে আর্জেন্টাইন ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সমালোচনা করেছেন দেশটির অধিনায়ক মেসি। আর্জেন্টিনা দলের নিউজার্সিতে যাওয়ার ফ্লাইট দেরি হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন বর্তমান ফিফা সেরা তারকা। বৃস্পতিবার আর্জেন্টিনা দল বিমানে করে হিউস্টন থেকে নিউজার্সিতে যায়। কিন্তু ফ্লাইট বেশ দেরি হয়। এরপর হতাশা প্রকাশ করে মেসি বলেন, গন্তব্যের জন্য যাত্রায় আরও একবার বিমানে দেরি। এএফএ’র কি ব্যর্থতা। হায় ঈশ্বর! মেসির এই সমালোচনার পর এএফএ এক বিবৃতিতে জানায়, আবহাওয়ার সমস্যার কারণেই ফ্লাইট দেরি হয়েছে। ফ্লাইটের সব সূচী কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরের আয়োজকরা করছে বলেও উল্লেখ করে তারা। এদিকে ফাইনালে ডি মারিয়া খেলতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল, চোট কাটিয়ে ফিরবেন পিএসজি তারকা। কিন্তু শুক্রবার আবারও তার খেলা নিয়ে শঙ্কার কথা চাউর হয়েছে। জানা গেছে, ডি মারিয়া নিজেও খুব করে চাচ্ছেন ফাইনালটা খেলতে। সদ্য এক সাক্ষাকারে তিনি বলেন, আমি ফাইনালটা খেলতে চাই। সর্বশেষ দুটি ফাইনালে খেলতে পারিনি। আশা করছি, এবার খেলতে পারব।
×