ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২৫ লাখ নতুন গ্রাহকের ঘরে যাচ্ছে বিদ্যুৎ ॥ একনেকে অনুমোদন

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ৩১ মে ২০১৬

২৫ লাখ নতুন গ্রাহকের ঘরে যাচ্ছে বিদ্যুৎ ॥ একনেকে অনুমোদন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ ও পল্লী এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২৫ লাখ নতুন গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ওই ২৫ লাখ গ্রাহকের ঘরে স্থাপন করা হবে নতুন বৈদ্যুতিক মিটার। এতে করে গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে আলোর ছটা। ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ২৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৪৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৭৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) আওতাধীন ৭৭টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটিসহ একনেক সভায় মোট ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ২ হাজার ৭শ’ ৪৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন, বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ এবং ২৫ লাখ নতুন গ্রাহককে সংযুক্ত করা হবে। এই প্রকল্পটিতে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকার ইনভেস্টমেন্ট (এআইআইবি) ব্যাংক ঋণ দেবে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। সরকারের এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এলাকাভিত্তিক পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্য়ক্রমের মাধ্যমে বিদ্যুৎসেবা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩০ লাখ ১ হাজার কিলোমিটার লাইনের মাধ্যমে ১৫০ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎসেবা প্রদান করছে। অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, পল্লী বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে ২৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রকল্পের (ইসিআরআরপি : ডি১ ডিডিএম) ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও রংপুর সদর উপজেলায় তিস্তা নদীর ডান ভাঙন হতে রক্ষা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বিসিএস ইকোনমিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, আইএমইডির সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম।
×