ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মৌসুম সেরা ভার্ডি

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৪ মে ২০১৬

মৌসুম সেরা ভার্ডি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লিচেস্টার সিটির রূপকথার সাফল্যের দুই গর্বিত নায়ক জিমি ভার্ডি ও রিয়াদ মাহরেজ। গৌরবময় ইতিহাস গড়ায় গোটা দলের অবদান থাকলেও এ দু’জনের কীর্তিই বেশি। তাই তো মৌসুমের শেষভাগে যত পুরস্কার আসছে তার সবই ভাগাভাগি করছেন ভার্ডি-মাহরেজ। এবার যেমন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের মৌসুম সেরা হয়েছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার ভার্ডি। সেরা ফুটবলার নির্বাচনের জন্য দশজনের তালিকা করে প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্য থেকে সবার সেরা হয়েছেন ইংলিশ ফুটবলার ভার্ডি। যাদের টপকে সেরা হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন টটেনহ্যাম হটস্পারের হ্যারি কেন, আর্সেনালের মেসুত ওজিল ও ওয়েস্টহ্যামের দিমিট্টি পায়েটকে। শুধু সেরাই নয়, গোল্ডেট বুট জয়ের দৌড়েও এগিয়ে আছেন ভার্ডি। সার্জিও এ্যাগুয়েরো, ওয়েন রুনি, এ্যালেক্সিস সানচেজ, মেসুত ওজিল, রোমেলা লুকাকু, রাহিম স্টারলিংদের মতো ফরোয়ার্ডদের পেছনে ফেলেছেন তিনি। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এখন পর্যন্ত দুই নম্বরে ভার্ডি। কিছুদিন আগেই খেলোয়াড়দের ভোটে ক্লাবের বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন লিচেস্টার সিটির রিয়াদ মাহরেজ। এরপর ইংল্যান্ডের ‘ফুটবল রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশন ফুটবলার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন ২৯ বছর বয়সী ভার্ডি। এবার ইংলিশ তারকা জিতলেন ইংলিশ প্রিমিয়ারের বর্ষসেরা ফুটবলার। এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচ খেলে ভার্ডি প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন ২৪ বার। ৩৭ ম্যাচ খেলা টটেনহামের স্ট্রাইকার হ্যারি কেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে থাকতে গোল করেছেন ২৫টি। ২৯ ম্যাচ খেলা ম্যানসিটির আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও এ্যাগুয়েরো গোল করেছেন ২৪টি। ক্লাব ক্যারিয়ারে ২২৬ ম্যাচ খেলা ভার্ডির গোলসংখ্যা ১১৩। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন ৬ ম্যাচে, যেখানে তিনি গোলের দেখা পেয়েছেন দুইবার। ‘থ্রি লায়ন্স’দের হয়ে ইউরো ২০১৬’র আসরে মাঠে নামার আগে জার্মানি ও হল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করেন তিনি। দিন কয়েক আগে লিচেস্টার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মৌসুমসেরা খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করে। ক্লাবের সেরা তারকার পুরস্কার পান মাহরেজ। সেরা হতে তিনি পেছনে ফেলেন ভার্ডি ও মিডফিল্ডার এনগোলো কান্টেকে। লিচেস্টারকে ইপিএলের শিরোপা জেতাতে ১৭ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে ১১ গোল করান মাহরেজ। তবে কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে নিজ দলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে কান্টে আর ভার্ডিকে খালি হাতে ফিরতে হয়নি। খেলোয়াড়দের (প্লেয়ার্স প্লেয়ার অব দ্য সিজন পুরস্কার) বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন ফ্রান্সের মিডফিল্ডার কান্টে। দলীয় সেরা পারর্ফম হয়েছে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের ম্যাচে। আর ভার্ডি গত ফেব্রুয়ারিতে লিভারপুলের বিপক্ষে দুর্দান্ত গোলের সুবাদে জিতেছেন মৌসুমের সেরা গোলের পুরস্কার। এবারের মৌসুমে লিচেস্টার চমকের শুরুতে ছিলেন ভার্ডি আর শেষটা করেছেন মাহরেজ। যে কারণে মৌসুম শেষে সব পুরস্কারই যাচ্ছে এ দুই তারকার শোকেসে। ফুটবল অনুরাগী, পরিচালনা পরিষদ ও মিডিয়ার ভোটের ভিত্তিতে ১৯৯৫ সাল থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়ে আসছে। ওই সময় প্রথম খেতাবটি জয় করেছিলেন অ্যালান শিয়েরার। ২০০৯-১০ মৌসুমে ওয়েন রুনির খেতাবটি জয়ের পর প্রথম কোন ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরষকার জিতলেন ভার্ডি। গত মৌসুমে এই খেতাবটি জিতেছিলেন চেলসি স্ট্রাইকার ইডেন হ্যাজার্ড।
×