ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ৩ মে ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

গত সপ্তাহে রাজধানীর সবচাইতে আলোচিত বিষয় ছিল তাপদাহ। চল্লিশ ছুঁইছুঁই তাপমাত্রায় নগরবাসীকে জীবনের অনিবার্য কাজগুলো চালিয়ে নিতে হয়েছে। বিশেষ করে দুপুর বেলার তীব্র রোদে নাকাল মানুষ একান্ত বাধ্য না হলে দ্বিতীয়বার একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে চাননি। মাত্রাছাড়া এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে রিক্সাঅলাসহ শ্রমজীবী মানুষ। জানি না দুপুরে রিক্সায় উঠে আমার মতো অপ্রকাশিত অস্বস্তির ভেতর কেউ পড়েছেন কিনা। আমরা তো দিব্যি হুড তুলে রোদ থেকে গা বাঁচিয়ে পথ চলছি। কিন্তু রাজধানীর রিক্সাঅলারা তো গ্রামের কৃষকের মতো মাথায় মাথাল দেন না। ক্যাপ বা গামছা মাথায় দিয়ে থাকেন এমন রিক্সাচালকের সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। বৃষ্টির মধ্যে রিক্সায় চড়লে রিক্সাঅলারা নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে কিছুটা বেশিই দাবি করেন। অথচ তাপদাহের ভেতর গনগনে সূর্য মাথায় নিয়ে ভাড়া খাটা রিক্সাচালকরা এক্ষেত্রে তেমন দাবি করেন না। তারা বোধহয় এটাকে স্বাভাবিক নিয়ম বলেই মেনে নিয়েছেন। কিন্তু আমরা আরোহীরা তাদের পাঁচ-দশ টাকা বেশি দিতেই পারি। গরমে ক’দিন লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। দিনে পাঁচ সাতবারও কারেন্ট গেছে। যেসব এলাকায় বছরের পর বছর ধরে রাতের বেলা (মধ্যরাতের পর) বিদ্যুতহীনতায় পড়তে হয় না, সেখানেও একাধিকবার লোডশেডিং হয়েছে। তেলের অভাবে বহু বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে। বেশির ভাগ নাগরিকই অবশ্য লোডশেডিংয়ের আসল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে চাইবেন না। তাদের কাছে লোডশেডিং হওয়া মানেই বিদ্যুত পরিস্থিতি সামাল দেয়ায় সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই বিবেচিত। বিদ্যুত যে কত মূল্যবান- বিশেষ করে তাপদাহের কালে- সেটা হাড়েমাংসে বুঝেছেন নগরবাসী। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে এসি/ বৈদ্যুতিক পাখা চলে না। ফলে দরদর করে ঘামতে হয়। শরীরের কষ্টটা আরও বড় হয়ে ওঠে যখন বিদ্যুতের অভাবে ফ্ল্যাটবাড়ির পানির পাম্প চলে না। পানি নেই বা পানির সঙ্কট আছে- এমন পরিস্থিতিতে গোসল করার সুযোগ কমে যায়। সকালে ও রাতে মোট দুবার গোসল করার অভ্যাস যাদের গরমকালে, তারা হোঁচট খান। আরেকটি সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে এবারের গরমে। সেটি হলো, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বহু জায়গায় বহু ফ্ল্যাটবাড়ির ভূগর্ভস্থ পানির ট্যাঙ্কিতে ওয়াসার সরবরাহকৃত প্রয়োজনীয় পানি জমছে না। ফলে পাম্প চালিয়ে ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে পানি সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটছে। এ এক চরম অসহনীয় পরিস্থিতি। একটি পত্রিকায় সেদিন এ সংক্রান্ত একটি সংবাদে চোখ আটকে গেল। পুরোটা পড়ে শঙ্কিত বোধ করলাম। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গবেষকরা বলছেন, পানির আধারে শূন্যতা ক্রমেই ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। পানি তুলে ফেলার ফলে আরও ভিতরের দিকে ঢুকে যাচ্ছে মাটির স্তর। ফলে দেবে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা। নগরীর উপরিভাগ হয়ে পড়ছে ভারসাম্যহীন। বিশেষজ্ঞের বক্তব্য : ঢাকার পলিমাটির নিচে আছে বালুর স্তর। আর সেই স্তরেই আটকে থাকে পানি। এই পানি তুলে ফেললে বালু নিচে নেমে যায়। ফলে যে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়, তা পূরণ করতে মাটির আরও গভীরে নেমে যাচ্ছে ঢাকাও। তার ফলে ঢাকার উপরিভাগে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে। ঢাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর একে তো গভীরতায় নেই। মূলত অপরিকল্পিতভাবে গভীর ও অগভীর নলকূপ দ্বারা বেহিসাবি পানি উত্তোলনের ফলে ঢাকাসহ সারাদেশেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নিচে সরে যাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানিও অনিরাপদ হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২ থেকে ৩ মিটার হারে নিচে নেমে গেছে পানির স্তর। দিনে দিনে সম্পূর্ণভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে মানুষ। ঢাকায় ব্যবহারের উপযোগী পানির মূল উৎস ভূগর্ভস্থ পানি। বুয়েটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিবছর ভূগর্ভের পানির স্তর দুই থেকে তিন মিটার করে নিচে নামছে। ভূগর্ভের পানির ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা না হলে আগামী পাঁচ বছর পর আরও আশঙ্কাজনক হারে পানির স্তর নিচে নেমে যাবে। আর্সেনিকের পরিমাণও বাড়বে। তখন নানা ধরনের দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করা হয়েছে ওই গবেষণায়। প্রতিদিন ঢাকা ওয়াসার ৭৪টি গভীর নলকূপ বিরামহীনভাবে পানি তুলছে মাটির নিচ থেকে। নাগরিক চাহিদা মেটাতে ওয়াসা প্রতিদিন ২১০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে । এর ৯০ ভাগই ভূগর্ভস্থ পানি আর এই পানির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু পানির তেমন কোন বিকল্প উৎস নেই। সেজন্য ওয়াসার গভীর নলকূপ প্রায় প্রতিবছরই নতুন করে বসাতে হয়। কারণ, এক বছরের বেশি একই গভীরতায় পানি পাওয়া যায় না। ফ্লাইওভার বানিয়েও যানজট! মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে রমনা থানাসংলগ্ন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল পর্যন্ত দুই দশমিক ১১ কিলোমিটার অংশটুকু চালু হয়েছে মোটে এক মাস হলো। এতকাল মগবাজার চৌরাস্তায় যে যানজট দেখা যেত, ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পর সেই যানজট ফ্লাইওভারের দু’প্রান্তে স্থানান্তরিত হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ফ্লাইওভার চালু হলেও এপথে চলাচলকারীদের ভোগান্তির অবসান হয়নি। বিশেষ করে রমনাপ্রান্তে যানজট মাঝেমধ্যেই অসহনীয় রূপ ধারণ করছে। ফ্লাইওভারের ওই অংশ চালু হওয়ার পর সাতরাস্তাপ্রান্ত থেকে যানবাহনগুলো খুব সহজে ফ্লাইওভারে উঠতে পারলেও মগবাজার রেলক্রসিং বরাবর এসে ফ্লাইওভারের ওপরেই পড়ে জটে। কখনও কখনও ওই যানজটের বিস্তৃতি কাকরাইল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ইতোমধ্যে হলি ফ্যামিলি প্রান্তের ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয়ার পরও সমস্যার সমাধান হয়নি। কারণ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য অভিভাবকরা রমনা থানা থেকে কাকরাইল চার্চ গোলচত্বর পর্যন্ত রাস্তার পূর্বপাশে গাড়ি পার্ক করে রাখেন। ফলে রাস্তা সঙ্কুিচত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রমনা প্রান্তের যানজট লেগেই থাকে। ফ্লাইওভার বানিয়েও তাই ভোগান্তির অবসান ঘটছে না। ইভটিজিং বা নারীনিগ্রহ পথেঘাটে কতভাবেই না নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটে চলেছে। নারীর উদ্দেশে অশ্লীল ইশারা কিংবা ছুড়ে দেয়া বাক্যবাণও হতে পারে গভীর নারীনিগ্রহরে কারণ। আবার এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধও কিন্তু কিছুটা বাড়ছে। আজকে যে ঘটনাটির কথা তুলে ধরছি এটি ফেসবুক থেকেই নেয়া। হাবীবুর রহমান জুয়েলের এই পোস্ট ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে। এ থেকে তরুণ-তরুণীরা মেসেজ পাবেন ভেবেই এই কলামে শেয়ার করা। জুয়েল লিখেছেন : ‘কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে থেমে থাকা কালো রঙের প্রাইভেটকারটি লক্ষ্য করে তীব্র গতিতে মেয়েটি তার পায়ের একপাটি জুতা ছুড়ে মারল। এর পর পরই কালো রঙের গাড়িটি সামনে এগুতে লাগল। কিছুটা পেছনেই ছিল আমার গাড়ি। আমি গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিয়ে কালো রঙের গাড়িটির গতিরোধ করে সামনে এসে পথ আগলে দাঁড়ালাম। গাড়িটি সাইড করাতে বাধ্য করলাম। গাড়িটিকে থামতে দেখে মেয়েটি দ্রুত হেঁটে এলো আমাদের দিকে। ড্রাইভিং সিটে থাকা ছেলেটি বের হয়ে এলো। চুলের রঙ ও চেহারা দেখে প্রাথমিক দৃষ্টিতে বড় লোকের কুলাঙ্গার বলেই মনে হলো। ‘হেই ম্যান হোয়াটস রং?’ উচ্চৈস্বরে বলল আমাকে। কী জবাব দেব ভেবে পেলাম না। মাথা কাজ করছিল না কিছু সময়ের জন্য। এমন সময় মেয়েটি হন হন করে কাছে এসে দাঁড়াল আমাদের। চিৎকার করে বলল, ‘ভাই, আমি হেঁটে আসছিলাম। এই বদমাইশ বাজে মন্তব্য করে আমাকে ওর গাড়িতে উঠতে বলেছিল। এজন্য ওকে আমি পায়ের জুতা ছুড়ে মেরেছি।’ জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি রে ব্যাটা ঘটনা সত্য? চড় মেরে তোর সব দাঁত ফেলে দেব। বল ঘটনা সত্য?’ ‘আপনি জানেন আমি কে?’ নিজের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলল কুলাঙ্গার। ‘তুই নিজেই তো জানস না তুই কে। আমি কী করে জানব রে?” বললাম আমি।... অপরাধীর চিত্ত সদা দুর্বল হয়- এ কথা আমার জানা রয়েছে। তাই নিজের চেয়ে গা-গতরে ডাবল হওয়া সত্ত্বেও ভয় পেলাম না মোটেও। কথার ফাঁকেই মেয়েটি ‘ঠাস’ করে কুলাঙ্গারের গালে কষে আড়াই মণ ওজনের এক চড় বসিয়ে দিল। লম্ফ দিয়ে বাম হাতে মারলাম আমিও একটা।অবস্থা বেগতিক দেখে অবশেষে কুলাঙ্গার মেয়েটির কাছে মাফ চাইল দুহাত জোড় করে। তরুণীটির সাহস দেখে আমি মুগ্ধ এবং অভিভূত।কুলাঙ্গারকে পুলিশে দিতে চাইলাম। তরুণী বলল, ‘থাক ভাইয়া, বদমাইশটার শিক্ষা হয়েছে। ছেড়ে দিন।’ আমি আরও অভিভূত হলাম, যখন জানতে পারলাম, তরুণীটি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। কারখানায় কাজ শেষে বাসায় ফিরছিল সে।আজকাল পথ চলতে প্রায়ই মেয়েদের এরকম বদমাইশদের কবলে পড়তে হয়। তবে সেই বদমাইশদের কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় এই তরুণীটির কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন অনেকেই। আগপিছ না ভেবে পায়ের একপাটি জুতা খুলে সজোরে ছুড়ে মারুন এদের দিকে।...... গালে বসিয়ে দিন আড়াই মণ ওজনের চড়...।’ অবশেষে শান্তির বারি পুরো এপ্রিল ছিল নির্মম, তাপখরা, স্বস্তিহরা। এক ফোঁটা বৃষ্টির মুখ দেখেনি রাজধানী। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কথাই আমরা বলে থাকি। এবার পড়েছিল রেকর্ড পরিমাণ গরম! দুপুর বেলা রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতিও কমতে শুরু করেছিল। সত্যিই এক অসহায় অবস্থা। শেষ পর্যন্ত রাজধানী বৃষ্টির দেখা পেয়েছে। মে মাসের প্রথম সন্ধ্যাতেই এলো শান্তির বারি, সঙ্গে প্রচুর বাতাস। কোথাও বা তা কালবৈশাখীর রূপ নিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কোথায় হারাল গরম হল্কার বাতাস, দখল করে নিল হিম-হিম মিষ্টি হাওয়া। রাজধানীবাসীর হৃদয়ে বৃষ্টির জন্য যে কী তীব্র প্রতীক্ষা ছিল তা বোঝা গেল তাদের স্বস্তি আর আনন্দ প্রকাশের ধরন দেখে। টিভি চ্যানেলগুলোও প্রতিযোগিতা শুরু করে দিল বৃষ্টির লাইভ প্রদর্শনে। সত্যিই এক অভাবনীয় পরিস্থিতি! তবে কিছু দুঃসংবাদও আছে। নগরীর অনেক গাছই কালবৈশাখীর আঘাত সহ্য করতে পারেনি। তাদের অকালপ্রয়াণ ঘটেছে। সুস্মিতা পাত্রের গান রবীন্দ্রসঙ্গীতের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের কাছে তালিম নিয়েছেন, এমনকি হাল আমলের গুণী শিল্পী শ্রাবণী সেনেরও ছাত্রী ছিলেন। আবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সঙ্গীত বিষয়ে মাস্টার্সে প্রথম শেণীতে প্রথম হওয়া। একটু কৌতূহল নিয়েই শনিবার সন্ধ্যায় জাদুঘরে তার গান শুনতে যাওয়া। রবীন্দ্র একাডেমির আমন্ত্রণে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের মেয়ে সুস্মিতা পাত্র। অনেকের কাছেই একটু অচেনা আর অল্পশ্রুত কিছু গান পরিবেশন করবেন- এমনটাই জানালেন সঞ্চালক। প্রথম গানটি শুনেই দর্শকরা নড়েচড়ে বসলেন। চর্চিত, কনফিডেন্ট, আর মিষ্টি গলা। চেহারায় ধ্যানী ভাব, চোখদুটো স্বপ্নালু। শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল আমরা বুঝি আরও এক সঙ্গীত-পাত্র পেলাম যার মাধ্যমে রবিঠাকুরের অধরা গানগুলোকে একটুখানি ধরবার চেষ্টা করতে পারব; নতুনতর আরেকটি কণ্ঠের ভেতর দিয়ে ছোঁব তার আনন্দভুবন। একটানা প্রায় এক কুড়ি গান শোনালেন। ‘আকাশ আমায় ভরল আলোয়, আকাশ আমি ভরব গানে। সুরের আবীর হানব হাওয়ায়, নাচের আবীর হাওয়ায় হানে ... ওরে পলাশ, ওরে পলাশ, রাঙা রঙের শিখায় শিখায় দিকে দিকে আগুন জ্বালাস- আমার মনের রাগ রাগিণী রাঙা হল রঙিন তানে’ এই গানটি যেন বিদায়ী বসন্তের পর গ্রীষ্মের প্রখর তপন তাপের বহ্নি জ্বালানোর বিষয়টিকেই দর্শক শ্রোতাদের স্মরণ করিয়ে দিল। ‘আমি তোমারি মাটির কন্যা’, ‘মধুর তোমার শেষ যে না পাই’, ‘চিরসখা হে ছেড়ো না’, ‘তোমার অসীমে প্রাণময় লয়ে’সহ কত গান! দর্শকশ্রোতার সব অনুরোধই রাখার চেষ্টা করলেন। বাস্তবিকই মধুর এক অভিজ্ঞতা। ১ মে ২০১৬ [email protected]
×