ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিসির ওপর ভিভের অসন্তোষ

প্রকাশিত: ০৫:০২, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

আইসিসির ওপর ভিভের অসন্তোষ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) কর্মকা-ে বিখ্যাত সব ক্রিকেটারের অসন্তোষের বিষয়টি নতুন নয়। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে নিয়ে ভারতের মোড়লগিরিসহ আরও অনেক কিছুতে নাখোশ তারা। প্রসঙ্গ ভিন্ন হলেও এবার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর চটলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডস। আইসিসি একেক দেশ ও একেক ব্যক্তির সঙ্গে একেক রকমের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে বলে মনে করেন ৬৪ বছর বয়সী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। তিনি বলেন, ‘আপনি আইসিসির নিয়ন্ত্রণ দেখলে বুঝবেন কারও জন্য নিয়ম আছে, আবার কারও জন্য নেই। আমি জবাব দিতে চাচ্ছি, কারণ তারা এখন আমাদের ওপর নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছে। এমন একটি সংস্থা হওয়ার চেষ্টা করছে, ঠিক করে দিতে চাইছে যে, এটা বললে এই হবে, ওটা বললে ওই। এমনটা কিছুতেই কাম্য নয়।’ অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ, অতঃপর ভারতে একই সঙ্গে টি২০ বিশ্বকাপ জয় করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পুরুষ ও নারী দল। ট্রফি জয়ের পর বিভিন্ন বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেন অধিনায়ক ড্যারেন সামি। মাঠ ও মাঠের বাইরে আশালীন আচরণ করে আলোচনায় উঠে আসেন মারলন স্যামুয়েলস। এসবেই ক্যারিবীয়দের ওপর নাখোশ আইসিসি। সম্প্রতি এক বিবৃতির মাধ্যমে তারা সামিদের ভর্ৎসনা জানায়। এমনকি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলে! তারই প্রেক্ষাপটে আইসিসির কঠোর সমালোচনা করলেন ভিভ। জীবন্ত এই কিংবদন্তির মতে, আইসিসির আইন-কানুন একেক জনের জন্য একেক রকম! মোড়ল দেশ ভারতকে উদাহরণ হিসেবে টেনে তিনি বলেন, ‘এটা যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একমাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা হয়ে থাকে তাহলে সবাই একই আইন মানবে। কিন্তু ভারত তো আইসিসিকে পাত্তা দেয় না! অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা বছরের পর বছর গোয়ার্তুমি করে পার করে দিচ্ছে।’ এটা ঠিক, এফটিপিতে আর দলগুলোর ম্যাচ পাওয়াসহ অনেক বিষয়ে ভারত অযাচিত নাক গলিয়ে থাকে। রয়েছে সর্বজনিনভাবে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) চালু না হওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও। ক্যারিবিয়ানরা আমুদে স্বভাবের। অবশ্য সাদা চোখে দেখলে এবার তাদের আনন্দের মাত্রা সীমা অতিক্রম করে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন ডোয়াইন ব্রাভো-ক্রিস গেইলরা। ফাইনালের হিরো স্যামুয়েলস মাঠে প্রতিপক্ষ ইংলিশ বোলার বেন স্টোকসের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে জরিমানা দেন। ড্রাগ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ করা হোক ॥ রাফায়েল নাদাল স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত মাসের শুরুতে টেনিস বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল মারিয়া শারাপোভার একটি সংবাদ সম্মেলনের পর। রাশিয়ান এ টেনিস সুন্দরী স্বীকারোক্তি দেন যে তিনি ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন। তারপর থেকেই শারাপোভার পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক শুরু হয়ে যায় টেনিস সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। সে সময় স্পেনের টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল এ বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘শাস্তি হওয়া উচিত শারাপোভার।’ তবে এরপরই ফ্রান্সের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন নাদাল নিজেই ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন। কিন্তু সেটাকে পুরোপুরি উদ্দেশ্যমূলক ও হয়রানিমূলক দাবি করে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন নাদাল। সেই বিতর্ক এখনও শেষ হয়নি। নাদাল আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনকে (আইটিএফ) আহ্বান জানিয়েছেন সেই ড্রাগ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ করা হোক। ১৪ গ্র্যান্ডসøাম জয়ী নাদাল অভিনয় করেছিলেন ইনজুরিতে পড়ার। ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি লুকাতেই হাঁটুর ইনজুরির নাটক করে দীর্ঘদিন ছিলেন কোর্টের বাইরে। এমনটাই অভিযোগ করেন সাবেক ফরাসী স্বাস্থ্য ও ক্রীড়ামন্ত্রী রোসেলিন ব্যাশেলো। তার বিরুদ্ধে এবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নাদাল। একইসঙ্গে আইটিএফের কাছে চিঠিও লিখেছেন তিনি। এ বিষয়ে নাদাল বলেন, ‘কোন ধরনের তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এখন থেকে এ ধরনের অভিযোগ করা আমাদের টেনিস জগতে স্বাধীন থাকা উচিত নয়। দয়া করে আমার সব তথ্যাদি মানুষের সামনে তুলে ধরুন, আমার বায়োলজিক্যাল পাসপোর্ট সবার সামনে প্রকাশ করা হোক। আমার সমস্ত এন্টি ডোপিং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হোক।’ তবে নাদালের এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে ফলাফলগুলো এমনিতেই সবার সামনে উন্মুক্ত। এ বিষয়ে আইটিএফ থেকে দাবি করা হয় সবধরণের ফলাফল আইটিএফ থেকে ভেরিফাই করেই প্রকাশ করা হয়েছে। হেরেও ফাইনালের স্বপ্ন লিভারপুলের উয়েফা ইউরোপা লীগ, সেমিফাইনালের প্রথম লেগে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় ভিয়ারিয়ালের, শাখতার-সেভিয়া ম্যাচ অমীমাংসিত, ভিয়ারিয়াল ১-০ লিভারপুল, শাখতার ডোনেস্ক ২-২ সেভিয়া স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অন্তিম মুহূর্তের গোলে উয়েফা ইউরোপা লীগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হারের স্বাদ পেয়েছে লিভারপুল। বৃহস্পতিবার রাতে স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়ালের কাছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল হার মানে ১-০ গোলে। এই হারের পরও ফাইনালের স্বপ্ন বুনছে দ্য রেডসরা। কেননা সেমির দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি ৫ মে নিজেদের মাঠ এ্যানফিল্ডে খেলবে লিভারপুল। ওই ম্যাচে জয় দিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখছেন দলটির কোচ জার্গেন ক্লপ। সেমিফাইনালের আরেক ম্যাচে ইউক্রেনের শাখতার ডোনেস্ক ও স্পেনের সেভিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। ৫ মে ফিরতি লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিপক্ষের মাঠে পুরো ম্যাচে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল লিভারপুল। ৬৬ মিনিটে দুর্ভাগ্য সঙ্গী না হলে এগিয়েও যেতে পারতো তারা। কিন্ত ব্রাজিলিয়ান তারকা রবার্টো ফিরমিনের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। গোলশূন্য স্কোরলাইনে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় এ্যাওয়ে ম্যাচে ড্রয়ের স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ার অপেক্ষায় থাকে দ্য রেডসরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ডেনিস সুয়ারেজের পাসে সহজেই বল জালে জড়িয়ে ভিয়ারিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন বদলি নামা স্পেনের ফরোয়ার্ড আড্রিয়ান লোপেজ। সুয়ারেজ নিজেই গোলটি করতে পরতেন। কিন্তু তা না করে বলটি তিনি বাড়িয়ে দেন লোপেজের উদ্দেশ্যে। গোল করতে কোন ভুল করেননি তিনি। হারের পরও লিভারপুল এখনও আশাবাদী ফাইনাল খেলতে। তাদের মতে, প্রথম লেগে হারলেও সেটা দুভার্গের কারণে। এমন খেলতে পারলে নিজেদের মাঠে জয় না পাওয়ার কারণ নেই। গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হতে বসা ম্যাচটিও কিন্তু দারুণ রোমাঞ্চকর ছিল। দুই দলের গোলরক্ষক আর পোস্ট বাধা না হয়ে দাঁড়ালে ফলটা অন্যরকমও হতে পারতো। লিভারপুলের গোলরক্ষক সিমোনে মিগনোলেট দু’টি দারুণ সেভ করেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভিয়ারিয়ালের সেড্রিক বাকাম্বুর শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। এরপর লিভারপুলকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ফিরমিনো। কিন্তু তার শটটাও দারুণভাবে রুখে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক আসেঞ্জো। সেই বল আবার পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। শেষ সময়ে এমন একটা গোল খাওয়ায় লিভারপুল কোচ জার্গেন ক্লপের হতাশা থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এসব না ভেবে ফিরতি লেগে তাকাচ্ছেন তিনি। বলেন, অবশ্যই শেষ মুহূর্তের গোল নিয়ে আমি খুশি নই। ৯২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল খাওয়ার আসলে কোন মানে হয় না। কিন্তু এখনও ৯০ মিনিট বাকি আছে। ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না, তবে সবাই জানে এ্যানফিল্ডে আমরা কতটা শক্তিশালী। ভিয়ারিয়ালের কোচ মার্সেলিনহোর অবশ্য এসব ভাবার সময় নেই। চোখে ফাইনালের স্বপ্ন আঁকতে শুরু করেছেন তিনি। বলেন, এই দল নিয়ে আমি দারুণ গর্বিত। এখনও অনেকটা পথ বাকি, তবে আমরা ফাইনালের কাছে চলে এসেছি। ইউরোপের দ্বিতীয় শীর্ষ ক্লাব টুর্নামেন্টে স্পেনের জন্য রাতটা বেশ ভালই গেছে। কেননা আরেক ম্যাচে শাখতার ডোনেস্কের মাঠ থেকে ২-২ গোলে ড্র করে এসেছে সেভিয়া। দুটি এ্যাওয়ে গোল অনেক এগিয়ে রেখেছে তাদের। এগিয়ে আছে ভিয়ারিয়ালও। ফাইনালে তাই অলস্প্যানিশ লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো।
×