ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পনেরো দিন পার না হতেই ফের ৩ দিনের ছুটি

টানা ছুটি পেয়ে ঢাকা ছেড়েছেন কর্মজীবী মানুষের একাংশ

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

টানা ছুটি পেয়ে ঢাকা ছেড়েছেন কর্মজীবী মানুষের একাংশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামীকাল রবিবার মহান মে দিবস। এর সঙ্গে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি মিলে আবারও তিন দিনের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন কর্মজীবী মানুষের একাংশ। প্রচ- তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির আশার পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই গেছেন গ্রামের বাড়ি। গ্রাম্য পরিবেশে একটু স্বস্তির হাওয়া উপভোগ করতে। আবার কেউ কেউ ছুটি কাজে লাগাতে ঢাকার বাইরে বা দেশের বাইরে ঘুরতে গেছেন। সর্বশেষ টানা তিন দিনের ছুটি কাটানোর পর এখনও পনেরো দিন হয়নি। চলতি মাসেই পহেলা বৈশাখের ছুটির সঙ্গে শুক্র ও শনিবার মিলে তিন দিন ছুটি পেয়েছিল কর্মজীবীরা। সেই ছুটির আনন্দঘন সময়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও তিন দিনের ছুটি। তিন দিনের এই ছুটির কারণে ব্যস্ত রাজধানী ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। সকাল থেকেই রাস্তায় গাড়ির চাপ কম। রাজধানীর কোথাও ব্যস্ততা নিয়ে ছুটে চলা মানুষের জনজট নেই। সর্বত্রই একটা ফাঁকা ফাঁকা ভাব বিরাজমান। এই ছুটিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার অফিস শেষে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেন অনেকেই। গরমের এই সময়টাকে আরামদায়ক ভ্রমণ হিসেবে বেছে নেন রাতকেই। এ জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন টার্মিনালে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নগরীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, সদরঘাট, রেল স্টেশন ও বিমানবন্দরে ছিল যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ। যারা এই চামের মধ্যে যেতে পারেনি তারাও হাল ছাড়েনি। শুক্রবার সকাল সকাল গন্তব্যের উদ্দেশে রাজধানী ছেড়েছেন। তবে শুক্রবার যাত্রীর খুব ভিড় সামলাতে হয়নি কোথাও। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন গিয়ে যাত্রীর চাপ দেখা যায়নি। যারা অপেক্ষমাণ তারা ট্রেন বিলম্ব হওয়ার কারণেই বসে আছে। স্টেশনের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানালেন, ‘অগ্রিম টিকেট কাটা আছে অনেকের। বৃহস্পতিবার যে ভিড় ছিল আজ (শুক্রবার) তা হবে না, যাদেও টিকেট কাটা তারাই শুধু আসবে।’ এবারের ২০১৬ সালটা চাকরিজীবীদের জন্য অনেকটাই ছুটির বছর! কেননা, প্রায় অধিকাংশ ছুটির সঙ্গে আগে বা পরে সাপ্তাহিক ছুটি মিলে তিন দিন হয়ে যাচ্ছে। আর চাকরিজীবীরা সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটাতে পারছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। কিংবা যে কোন জায়গায় ঘুরে আসতে পারছেন। বেড়ানোর জন্য তিন দিন ছুটি যথেষ্ট অনেকের কাছেই। ২০১৬ সালের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া ছুটির তালিকায় সাধারণ ও নির্বাহী মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটি থাকছে। ওই ২২ দিনের মধ্যে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি। আর নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে আট দিন। ছুটির তালিকা থেকে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রবিবার মিলে তিন দিন, মার্চে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার মিলে তিন দিন, এপ্রিলে বাংলা সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে বাংলা নববর্ষ ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মিলে তিন দিন, মে মাসে সাপ্তাহিক ছুটি ও মে দিবসের ছুটির পহেলা মে সঙ্গে মিলে তিন দিন, আগস্টে ২৫ আগস্ট জন্মাষ্টমি বৃহস্পতিবারের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলে তিন দিন, অক্টোবরে ১১ ও ১২ তারিখ মঙ্গল ও বুধবারও রয়েছে সরকারী ছুটি, ডিসেম্বরেও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বর বড় দিনের ছুটি মিলে তিন দিন করে ছুটি পাচ্ছেন কর্মজীবীরা। এ ছাড়াও দুই ঈদের নির্ধারিত তিন দিনের সঙ্গে আগে ও পরে সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি মিলে পাবে পাঁচ দিনে ছুটি। তাই এই বছর যে ছুটিরই বছর।
×