ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে দেশীয় ট্রান্সফরমার শিল্প

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে দেশীয় ট্রান্সফরমার শিল্প

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ দেশে ট্রান্সফরমার শিল্প বিকাশ ও রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও কাঁচামালের উচ্চ আমদানি শুল্ক ও সরকারি নীতি সহায়তার অভাবে রপ্তানির বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না দেশীয় কোম্পানিগুলো। এছাড়া সরকারি অর্থে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বড় ট্রান্সফরমার ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন শর্তের কারণে দেশিয় ট্রান্সফরমারের বাজারও হাতছাড়া হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এক্ষেত্রে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা যেমন বাইরে চলে যাচ্ছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সম্ভাবনাময় এ রপ্তানি এ খাত। বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার ট্রান্সফরমারের চাহিদা রয়েছে। এক সময় প্রয়োজনীয় ট্রান্সফরমারের অধিকাংশ আমদানি করা হলেও বর্তমানে বিতরণ লাইনের ট্রান্সফরমারের ৬০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে দেশিয় প্রতিষ্ঠান। ট্রান্সফরমার নির্মাতাদের অভিযোগ, রপ্তানির সক্ষমতা থাকলেও কাঁচামাল আমদানিতে বেশি শুল্ক ও ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের কারণে রপ্তানির ব্যাপক সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তাদের মতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মতো নগদ প্রণোদনা পেলে সার্ক অঞ্চল ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বাজার ধরতে পারতেন। এদিকে সক্ষমতা থাকলেও আন্তর্জাতিক টেন্ডারে পাওয়ার ট্রান্সফরমার কেনার ক্ষেত্রে শুল্ক বৈষম্য এবং বিদেশে রপ্তানির অভিজ্ঞতার শর্ত থাকায় দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। কনফিডেন্স ইলেকট্রিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান করিম বলেন, 'পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে আমাদের দামটা বিবেচনা করা হয় গুদাম পর্যন্ত। কিন্তু বিদেশ থেকে যখন মালামাল আসে তাদের দাম বিবেচনায় নেয়া হয় বন্দর পর্যন্ত। যে কোন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ক্ষেত্রে ক্রেতারা অনেক লম্বা অভিজ্ঞতা দাবি করে।' এতে একদিকে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে আমদানিকৃত ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে সার্ভিসের সুযোগ না থাকায় দুর্ভোগে পড়ছে বিতরণ সংস্থা। এক সময় শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান জিএম প্ল্যান্ট ট্রান্সফরমার তৈরি করলেও বর্তমানে ৩০টি প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফরমার তৈরি করছে।+ ##
×