ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৎ বাবার নির্মমতায় দুই শিশু হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

সৎ বাবার নির্মমতায় দুই শিশু হাসপাতালে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৫ এপ্রিল ॥ সখ ছিল লেখাপড়া করার। দুই ভাই, ১০ বছরের বেল্লাল ও সাত বছরের হৃদয়। ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়েছিল। এর পরই কপাল পুড়েছে। বাবা কামাল খানের সঙ্গে মা সাবিনার বনিবনা হয়নি। সংসার আলাদা হয়ে গেছে। তিন বছর আগে দুই সন্তানসহ ফের বিয়ে করেন সাবিনা। স্বামী জেলে নৌকায় কাজ করেন। নাম ইব্রাহিম তালুকদার। চরবালিয়াতলী গ্রামে সাবিনার বাড়িতেই থাকেন। এর পর থেকেই এ শিশু দুটির ঠিকানা হয় সৎ বাবার সঙ্গে ট্রলারে কাজ। কখনও জাল থেকে মাছ ছাড়ানো, কখনও জাল তোলা। আবার কখনও জাল ফেলতে সাহায্য করা। এর পরও কপালে সুখ জোটেনি। বেল্লালের এক মামা তার সৎ বাবার দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দেয়নি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে দুই সহোদরকে বেধড়ক মারধর করে দুই হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। সুকৌশলে ট্রলারে মাছ ধরার কথা বলে সাগরে নিয়ে ১০ দিন আগে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেয়া হয় বলে বেল্লালের অভিযোগ। হৃদয়ের ডান হাত, বেল্লালের বাম হাত এখন ভাঙ্গা। কোন চিকিৎসা করানো হয়নি। ওই অবস্থায় অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ট্রলারে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। রবিবার কিনারে ফিরে বাড়িতে এলে সেখান থেকে বেল্লালের দাদা হোসেন খান দুই নাতিকে উদ্ধার করে সোমবার কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা করান। বর্তমানে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ২৫ এপ্রিল ॥ মেহেরপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে খুন হয়েছে প্রবাসী মিলন হোসেন (৩৭)। তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে গাংনী উপজেলা শহরের ঝিনেরপুল এলাকায়। সোমবার সকালে ওই এলাকার সড়কের পাশে গর্তের ভেতর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকা- ঘটেছে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে। এদিকে মিলন হত্যাকা-ে জতিড় থাকার সন্দেহে তার স্ত্রী মাকছুরা খাতুন ও ভায়রা পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রশিদকে এলাকাবাসী আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আব্দুর রশিদ বর্তমানে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় কর্মরত। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মিলন হোসেন মাস তিনেক আগে কাতার থেকে বাড়ি ফেরেন। তিনি গাংনী পৌর এলাকার বন বিভাগ পাড়ায় নতুন একটি বাড়িও নির্মাণ করেন। ওই বাড়িতে মিলন হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় মিলন হোসেন শ্যামপুর গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি গাংনীর উদ্দেশে রওনা হন। এরপর থেকে মিলনের বাবা ছেলের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সারারাত কোন খোঁজ পাননি। সোমবার সকালে গাংনীর ঝিনেরপুল এলাকার সড়কের পাশে গর্তে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
×